কলার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত

  
কলা একটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল । সাথে মানব জীবনে কলার চাহিদা অনেক। প্রতিটা মানুষের কলা খাইতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। কলা একটি উপকারী ফল এর অনেক ভালো দিক রয়েছে সাথে খারাপ কিছু দিক রয়েছে। কলা যেমন উপকারী ফল তেমন এর অপকারিতা আছে। 


এটি মানব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং বিভিন্ন খাদ্য পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কলা যা সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত ও খাওয়া হয়। কলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম "মুসা" এবং এটি প্রধানত উষ্ণ মন্ডলীয় অঞ্চলের জন্মায়।

পোস্ট সুচিপত্রঃ কলার পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত

কলার পুষ্টিগুণ অনেক। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ , পটাশিয়াম , ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । প্রতি ১০০গ্রাম কলার প্রায় ৮৯ গ্রাম ক্যালোরি শক্তি, ১.১ গ্রাম প্রোটিন , ২২.৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং২.৬ গ্রাম ফাইবার থাকে। এছাড়া এতে সামান্য পরিবারের ফ্যাট থাকে। কিন্তু কোলেস্টেরল থাকে না । কলায় একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং জনপ্রিয় ফল, যা বিভিন্ন প্রকারের স্বাস্থ্য ও উপকারিতা করে । এছাড়াও অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে কলার মধ্যে যেটা মানুষের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। 

কলা সাধারণত দেখতে কাঁচা অবস্থায় কলা সবুজ বর্ণের হয়ে থাকেন তবে কলার বিভিন্ন ধরনের জাতের ভঙ্গিতে কিছু কিছু কলার রং লাল বর্ণের হয়ে থাকে। কলার ভেতরের অংশ নরম এবং মিষ্টি স্বাদযুক্ত।কলার অনেক পুষ্টি রয়েছে সাথে রয়েছে ভিটামিন পটাশিয়াম এবং ফাইবার রয়েছে। এটি দ্রুত শক্তি প্রদান করে এবং হজমের উপকারিতা । কলা প্রধানত মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয় এছাড়াও কলা রূপচর্চায় ব্যবহার করা হয়, কলা উৎপাদন করে ব্যবসা করে ওদের পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা যায়। তাই কলা একটি উপকারী ফল। 

কলার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে 

প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কলা মানবদেহের অনেকাংশে উপকার করে থাকে। 

  1. হৃদরোগ প্রতিরোধঃ গলায় থাকা পটাশিয়াম হৃদ রোগের ঝুমকে কমাতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং যন্ত্রের ক্ষমতা বাড়ায়। অতএব যাদের রোগ জনিত সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কলা খাইলে উপকার পাবেন। 
  2. হজমে সহায়কঃ কলার ফাইবার হজম প্রক্রিয়া সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। বাংলাদেশ এখন গ্যাস্ট্রিক আলসার, পাইলসের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে তা নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে এমন জটিল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। 
  3. শক্তি বৃদ্ধিঃ কলাতে অধিক পরিমাণ আয়রন থাকে যেটি মানব শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। নিয়মিত কলা খাওয়ার ফলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়। আর কলা হলো তাৎক্ষণিক শক্তির একটি ভালো উৎস , যা শরীরের জন্য দ্রুত শক্তি প্রদান করে।
  4. মানসিক স্বাস্থ্যঃ কলা থাকা ভিটামিন বি৬ সেরোটোনিন হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে , যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং মানসিক চাপ কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। 
  5. দৃষ্টি শক্তিঃ করাতে থাকা ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি চোখে স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অতএব যারা দৃষ্টিশক্তি, নিজের দেখার যে শক্তি হারাতে না চান তারা নিয়মিত কলা খেতে পারেন। 

রূপচর্চায় কলার ব্যবহার 

কলার বহুমুখী ব্যবহার রয়েছে রূপচর্চায়। যাদের মুখে অনেক ধরনের দাগ সার্কেল রয়েছে তা সারাতে কলা খোসা বিভিন্নভাবে কাজ করে থাকে। 
  1. ত্বকের যত্নঃ কলা ত্বকের আদতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এবং মুখে ত্বকে লাগালে ত্বক কোমল ও  মসৃণ হয়। 
  2. চুলের যত্নঃ কলার পুষ্টি উপাদান চুলের বৃদ্ধি ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। কলা মুখে তুলে উজ্জ্বল হয়। এবং চুল পড়া থেকেও মুক্তি মিলে। 

কলার বিভিন্ন প্রকার প্রজাতি

কলার বিভিন্ন প্রজাতি রয়েছে, যেগুলো স্বাদ ,রং, এবং আকৃতিতে ভিন্ন হয়। 


  1. ক্যাভেন্ডিস কলাঃ এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রজাতীয়, যা বাজারের সহজলভ্য এবং সাধারণত খাওয়া হয়। 
  2. লেডি ফিঙ্গার কলাঃ এটি আকারে ছোট এবং মিষ্টি স্বাদযুক্ত । 
  3. রেড কলাঃ এ প্রজাতের কলার সাধারণত লাল রঙের হয়ে থাকে। এর স্বাদ-মিষ্টি ও সুবাসিত হয়। 

কলা দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি 

কলার ব্যবহার শুধুমাত্র কাচা খাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় । কলা দিয়ে বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করা যায় । 
  1. কলা শেক ঃ কলা ,দুধ, মধু, ও বরফ একত্রে ব্লেন্ড করে সুস্বাদু কলা শেক তৈরি করা হয়। 
  2. কলাক পুডিংঃ কলা, ডিম, চিনি ও দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় মজাদার কলা পুডিং।
  3. কলা প্যানকেকঃ কলা মেখে প্যানকেকের বাটার মিশিয়ে বানানো যায় স্বাস্থ্যকর প্যানকেক।

কলা আমরা যেভাবে সংরক্ষণ করতে পারি

কলার সংরক্ষণ খুবই সহজ। কলা আমরা বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ করতে পারি। তাজা কলা সাধারণত কক্ষ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়। তবে দ্রুত পাকার আশঙ্কা থাকলে ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা যেতে পারে, তবে কলার ফ্রিজে না রাখাই ভালো এতে কলার রং কালো হয়ে যায় বেশি। কলা ত্বক যখন কালো হয়ে যায় তখন এটি সাধারণত বেশি পেকে যায় এবং তখন এটি ব্যবহার করা আরো সহজ হয়। সংরক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা করার পুষ্টি ও সাত অক্ষুন্ন রাখতে সহায়তা করে। 

প্রথমে, তাজা কলা নির্বাচিত করুন এবং মিষ্টি গন্ধ পেতে পারলে তা শুকনো স্থানে রাখুন। সংরক্ষণের জন্য কাগজের ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে যা কলার পাকানোর প্রক্রিয়া ধির করে। এছাড়া, কলার ডাটা ফয়েল প্লাস্টিক দিয়ে মোরালে তা দীর্ঘ সময় তাজা থাকে।  তবে ার কলার সংরক্ষণের অত্যাধিক তাপ বা ঠান্ডা পরিবেশ থেকে এগিয়ে চলা উচিত। এভাবে কলা সং রক্ষণ করার পুষ্টিগুণ ও স্বাদ বজায় থাকে।

লেখকের মন্তব্য 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url