মোবাইল দিয়ে প্রতিদিন হাজার টাকা ইনকামের গোপন ১৫ টি উপায়
SHAMS A2Z ✅
১২ জুল, ২০২৪
বর্তমান সময়ে অনেক মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব। হাজার হাজার
প্ল্যাটফর্ম আছে যেখান থেকে সহজেই অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব। অনলাইন থেকে
দুইভাবে ইনকাম করা যায়।ইনভেস্ট করে ও ইনভেস্ট না করে।
তো আসুন আজকে দুই ভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম সম্পর্কে একদম ১০০% নির্ভরযোগ্য তথ্য
জানি এবং প্রতিদিন ইনকাম করি। নিচে গোপন উপায় গুলো সহজে বিস্তারিত আলচনা করা হলো
।
পোস্ট সূচীপত্রঃ মোবাইল দিয়ে হাজার টাকা ইনকামের গোপন ১৫ টি
উপায়
লোগো কিঃ যে গ্রাফিকাল চিহ্ন বা প্রতি বা
কোন কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান পণ্য বা কোন সেবাকে একটি সুন্দর ছবির মধ্যে দিয়ে
উপস্থাপন করা হয় তাকে লোগো বলে । এটি সাধারণত ব্র্যান্ড
আইডেন্টিটির গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষ।
লোগো প্রধানত কত প্রকার ও কি কিঃ
লোগো প্রধানত তিন প্রকার।
১। টেক্সট লোগজেম ঃ যেখানে শুধুমাত্র লেখা ব্যবহার করা হয় সেটাই হচ্ছে
লোগো ।যেমনঃ মোজো, গুগল।
২। গ্রাফিক লোগো ঃ যেখানে শুধুমাত্র গ্রাফিক বা চিত্র ব্যবহার করা হয়।
যেমনঃ অ্যাপল, নাইক , সেল ।
৩। কম্বিনেশন লোগো ঃ যে লোগোতে লেখা ও গ্রাফিক্স দুটো একসাথে ব্যবহার করা
হয় সেটাই হচ্ছে কম্বিনেশ লোগো। যেমনঃ amazon, adidas ইত্যাদি।
লোগো ডিজাইনঃ মোবাইল দিয়ে লোগো ডিজাইন
করে ইনকাম করা আজকাল অনেক ও সহজ লাভজনক। বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ দিয়ে লোগো ডিজাইন
করা যায়। যেমনঃcanva, adobe spark, logo maker ব্যবহার করে একটি
পেশাদার মানের লোগো তৈরি করা সম্ভব। এবং এগুলো বিদেশে বায়ার দের কাছে
বিক্রি করে বা নিজের দেশের কোন কোম্পানির কাছে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা
যায়। তবে নিজের দেশের থেকে বাইরের দেশের বায়ারদের কাছে বিক্রি করলে অধিক
উপার্জন করা সম্ভব হয়।
লোগো নিয়ে কাজ করার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেমনঃ ফাইভার, আপওয়ার্ক ও
ফ্রিল্যান্সার। এগুলো হচ্ছে লোগো ডিজাইন সহ ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ভালো
প্ল্যাটফর্ম । এখান থেকে অন্য দেশের ক্লায়েন্ট এর কাজ করে দিয়ে অনেক টাকা
আয় করা সম্ভব। এছাড়ও সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের কাজ প্রচার করে ক্লায়েন্ট
পাওয়া যেতে পারে। সৃজনশীল ও মানসম্মত ডিজাইন তৈরি করতে পারলে মোবাইল দিয়ে
লোগো ডিজাইন করে বাড়ি বসেই ভাল ইনকাম করা সম্ভব।
মোবাইল ও ইন্টারনেট প্রযুক্তির বিকাশের ফলে বর্তমান যুগে ইবুকিং এর মাধ্যমে অর্থ
উপার্জন করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার
করে বিভিন্ন পরিষেবা ও পণ্য বুক করার মাধ্যমে ই বুকিং একটি ভালো অর্থ
উপার্জনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা এই বুকিং থেকে ইনকাম
করতে পারি, যেমনঃ উবার , এ আর বিএনপি, ফুড পান্ডা, বুকিং ডট.কম, ওলা।
উবারঃ রাইট শেয়ারিং এর জন্য সব
একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম এর নাম হচ্ছে উবার। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে উবার
প্ল্যাটফর্মটি পরিচালিত হয়। ধরা যাক, আপনি একটি গাড়ির
মালিক, তবে আপনি উবার ড্রাইভার হিসেবে নিবন্ধন করে রাইট শেয়ারিং এর মাধ্যমে
অর্থ উপাদান করতে চান। শুধু মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে রাইড এর অনুরোধ গ্রহণ
এবং যাত্রী পরিবহন করলে এই অ্যাপ কিছু অর্থ তার ভ্যাট কেটে নিয়ে বাকি অর্থ
আপনাকে অন্তর করবে। এভাবে অধিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
ফুডপান্ডাঃ অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের খাবার
ডেলিভারি করার একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। আপনি যদি একটি রেস্টুরেন্টের
মালিক হন বা ফুড ডেলিভার ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতে চান তবে মোবাইলে ব্যবহার করে
ফুড অর্ডার গ্রহণ এবং ডেলিভারি করতে পারেন। এক্ষেত্রে ফুড পার্টনার
মাধ্যমে আপনি আপনার রেস্টুরেন্টের বিক্রি বাড়াতে পারেন অথবা ডেলিভারি ড্রাইভার
হিসেবে ইনকাম করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সারাদিনে অনেক টাকা ইনকাম করা
যায়।
Booking.com অনলাইন ট্রাভেলস এজেন্সি হলো
booking.com, যা হোটেল ও অন্যান্য বাসস্থানে বুকিং এর জন্য ব্যবহার করা হয়।
আপনি যদি একটি হোটেলের মালিক হন, তবে আপনি বুকিং ডটকম প্লাটফর আপনার
হোটেল তালিকাভুক্ত করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
মোবাইল দিয়ে সহজেই ফেসবুক থেকে অনলাইন ইনকাম
আপনি যদি মনে করে থাকেন যে ফেসবুক একটি সদস্যশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তাহলে সেটা
ভুল ধারণা আপনার। ফেসবুক একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বটে তবে এখন এটি
একটি শক্তিশালী ইনকাম উৎস হয়ে উঠেছে। ফেসবুক থেকে এখন প্রতিদিন মানুষ হাজার
হাজার টাকা ইনকাম করছে। সঠিক ভাবে সময় দিলে এবং পরিশ্রম করলে এখন খুবই
স্বল্প সময়ে ফেসবুক থেকে অধিক টাকা ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে। ফেসবুক পেজ বা
ফেসবুক থেকেই এখন ইনকাম করা সম্ভব হচ্ছে।
ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ ব্যবহার করে ইনকামঃ আপনি ফেসবুক থেকে খুব সহজে একটি ফেসবুক পেজ খুব গ্রুপ তৈরি করতে
পারবেন। একটি পেজ তৈরি করে সেখানে নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করুন এবং ফলোয়ারের
সাথে যোগাযোগ রাখুন। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন বিষয়ের উপর বিশেষজ্ঞ হয়ে
থাকেন তবে, গ্রুপ তৈরি করে সেই বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন। যেমনঃ কবিতা,
গল্প , ছবি ফুল, ইত্যাদি। এতে সদস্য আকৃষ্ট হবে এবং আপনার পণ্য বা
পরিষেবা কিন্তু আগ্রহী হবে।
ফেসবুক মার্কেটপ্লেসঃ ফেসবুক
মার্কেটপ্লেস একটি অনলাইন বাণিজ্যিক প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনি আপনার পণ্য
বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার ফোন দিয়ে আপনার পণ্যের ছবি
আপলোড করতে হবে, সাথে আপনার পণ্যের বিবরণ এবং আপনার পণ্যের মূল্য নির্ধারণ
করবেন, এবং আপনার একসাথে যোগাযোগের একটি মাধ্যম দিবেন, এতে করে
আপনার কোন পণ্য কোন ক্রেতার কাছে ভালো লাগলে সে আপনার সাথে সহজে সে মাধ্যমে
যোগাযোগ করতে পারবে।
এছাড়াও আপনি লাইভ স্ট্রিম করে আপনার আপনার ফেসবুক পেজে আপলোড দিয়ে সেখান থেকে
অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ধরুন আপনি একজন বাইকার আপনি যদি রাই্ডিং করেন
তাহলে আপনি কোথায় যাচ্ছেন না যাচ্ছেন কি করছেন সেগুলো আপনার ফেসবুক পেজে আপলোড
দিয়ে সেগুলো সবার মধ্যে শেয়ার করে আপনি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন
এক্ষেত্রে আপনার মোবাইলে যথেষ্ট।
বর্তমানে ভিডিও এডিটিং করে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছে আমাদের দেশের
মানুষ। আপনি বিভিন্নভাবে ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে উপার্জন করতে
পারেন। ফেসবুক, ইউটিউব্, ইনস্টাগ্রাম , টিক টক এর মত সোশ্যাল মিডিয়া
প্ল্যাটফর ভিডিও আপলোড করে আয় করতে পারেন। এছাড়াও নিজের দেশের এবং বাইরের
দেশের ক্লায়েন্ট এর কোন ভিডিও এডিট করে দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে সেখান থেকে
আপনি অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন।
এছাড়াও আপনার যদি ভালো ভিডিও এডিটিং এর দক্ষতা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং
ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ করতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন সফটওয়্যার টুলসের টিউটরিয়াল
ভিডিও তৈরি করে আয় করা যায়। ভিডিও এডিটিং এর বিভিন্ন apps রয়েছে যেগুলো মোবাইল
দিয়ে আপনি প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটিং করতে পারবে। যেমনঃ CapCut,
kingmaster, Inshort, Viva video ইত্যাদি।
মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলে মাসে হাজার টাকা ইনকাম
মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খুলে মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এর জন্য
লাগবে কঠোর পরিশ্রম , আর একটু ধৈর্য। youtube এ চ্যানেল খুলতে হলে
প্রথমে আপনি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন , অতঃপর ইউটিউব চ্যানেলটি ইন্সটল
করুন , ইউটিউবে আপনি আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টটি লগইন করুন অতঃপর একটি
চ্যানেল তৈরি করুন। ইউটিউব চ্যানেলে আপনি কোন ধরনের ভিডিও পোস্ট করবেন সেই
বিষয়বস্তু নির্বাচন করুন যা আপনার পছন্দ ।
এবং এমন ভিডিও পোস্ট করুন যা আপনার দক্ষতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। নিয়মিত
ভিডিও আপলোড করুন এবং আপনার দর্শকের সঙ্গে সংযুক্ত থাকুন। আপনি আপনার ভিডিওগুলোতে
উচ্চ মানের এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট আপলোড করুন। আপনার দর্শকদের থেকে ভালো
প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য ভিডিওগুলি শিরোনাম , বিবরণ এবং ট্যাগ গুলো সঠিকভাবে
ব্যবহার করুন। ভিউ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের মাধ্যমে
বিজ্ঞাপন পাবেন সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার চ্যানেল টি আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করতে থাকুন এবং অন্য
যে চ্যানেলগুলো আছে তাদের সাহায্য সহযোগিতা করুন এর ফলে আপনিও সহযোগিতা পাবেন।
ধৈর্য এবং পরিশ্রম করতে থাকলে মাসে হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
মোবাইল দিয়ে রিভিউ লিখে প্রতিদিন অনলাইন ইনকাম
এটি অনলাইন জগতের এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে, খুব বেশি সময় ও দক্ষতার প্রয়োজন
হয় না ইনকাম করতে। আপনাকে শুধুমাত্র বিভিন্ন পণ্য বা সেবা নিয়ে সৎ এবং
বিস্তারিত মতামত দিতে হবে যার ফলে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অনেক
কোম্পানি যেমন amazon, flipkart বা অন্যান্য ই-কমার্স প্লাটফর্মে পণ্যের
রিভিউ দেয়ার জন্য পেমেন্ট করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন
swagbucks , inbox dollars, বা User testing -এ নিবন্ধন করে আপনি রিভিউ লিখে
অর্থ উপার্জন করতে পারেন ।
লিখতে আপনার মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ এবং একটি ভাল ভাষার দক্ষতা থাকতে
হবে। সহজে পাঠ করা যাবে এবং স্পষ্ট বুঝতে পারা যাবে সেভাবে রিভিউগুলি সঠিক
এবং সুসংগঠিত করতে হবে। এভাবে প্রতিদিন কিছু সময় আপনি অনলাইনে ব্যয় করলে
সেখান থেকে ভালো মানের ইনকাম পাবেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতিদিন বিদেশের ডলার ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং হলে একটি মুক্ত পেশা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জনপ্রিয় পেশা
হয়ে উঠেছে, যেখানে আপনি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেও সহজে বিদেশের ডলার ইনকাম করতে
পারেন। মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা গুলি অনেক। বর্তমান
সময়ের মোবাইল ডিভাইস বলে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং এমন ক্ষমতা বান সম্পন্ন যে
আপনি সহজেই কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমন
upwork, fiver এবংfreelancer এখান থেকে আপনি ১০০% কাজ খুঁজে পেতে
পারেন।
মোবাইল দিয়ে কাজ করা অনেক সুবিধা জনক। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তে থাক না কেন
আপনার কাছে মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে আপনি যে কোন জায়গায় বসে কাজ করতে
পারবেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন
যেমন গ্রাফিক্স ডিজাইন আর্টিকেল রাইটিং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং অনলাইন
টিউটরি । এই কাজগুলো ন সাধারণত অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যায় ফলে
প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ ডলার ইনকাম করা যায় ।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতিদিন ডলার ইনকাম করা যায় এটা অসম্ভব কিছু
নয় 100% সম্ভব। তবে সঠিক দক্ষতা এবং পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে আপনি সফলভাবে
এই পেশায় প্রবেশ করতে পারবেন এবং এটি বেশ লাভজনক।
আর্টিকেল রাইটিং করে প্রতিদিন প্রচুর ইনকাম অনলাইন থেকে
ঘরে বসে উপার্জন করার একটি অন্যতম উপায় হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং। যেখান
থেকে আপনি প্রতিদিন হাজার টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবে। তবে আপনার অবশ্যই অনেক
দক্ষতা থাকতে হবে, তবে আপনি প্রতিদিন অধিক টাকা ইনকাম করতে পারবেন
। অতঃপর ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে সাইন আপ করে ক্লায়েন্টদের থেকে কাজ খুঁজে
নিতে হবে। এছাড়া ব্লগে বা নিজের ওয়েবসাইট চালিয়ে বিজ্ঞাপন ও অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।
আপনি আপনার ওয়েবসাইটে মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করে আস্তে আস্তে আয় বৃদ্ধি করতে
পারবেন। সুতরাং ধৈর্য ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আর্টিকেল রাইটিং থেকে ভালো আয়
করা সম্ভব। অতঃপর আপনার ব্লগিং ওয়েবসাইটে এডসেন্সের মাধ্যমে মাসে
হাজার হাজার ইনকাম শুরু হবে। অতএব ধৈর্য ধরে কাজ করলে জীবনে অনেক বড় কিছু
পাওয়া সম্ভব।
অনলাইন কোর্স বিক্রি করে প্রতিদিন হাজার টাকা আয়
অনলাইনে কোর্স বিভিন্ন রকম হতে পারে , যেমন আপনি যদি একজন শিক্ষক হয়ে থাকেন
তবে আপনি যে বিষয়ের উপর কোর্স করাতে চান সেই বিষয়ের উপর একটি পিডিএফ তৈরি
করুন। সে পিডিএফ গুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে কিছু পরিমাণ শেয়ার করুন যাতে করে
স্কুল ,কলেজ এর ছাত্র-ছাত্রী সেগুলো দেখতে পায়। এবং আপনি আপনার
সেই পিডিএফ গুলোর মূল্য নির্ধারণ করে দিবেন যাতে করে সকলের বুঝতে সুবিধা
হয়। এভাবে পিডিএফ এর মাধ্যমে কোর্স ভিত্তি করে ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া অনলাইনের যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া সেখানে লাইভ ক্লাস এর মাধ্যমে
কোর্স কমপ্লিট করে দিয়ে কাম করতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি একজন
ফ্রিল্যান্সার হন এবং এটা আপনি সকলকে উদ্যোক্ত হয়ে শেখাতে চান তবে আপনি আপনার
ফ্রিল্যান্সিং যে সকল প্লাটফর্ম আছে সেখানে আপনার কোর্সের মূল্য নির্ধারণ
করে পোস্ট করতে পারেন। ফলে আগ্রহী ব্যক্তিগণ থেকে সে কোর্সটি ক্রয়
করতে চাইবে ফলে আপনি সেখান থেকে প্রতিদিন হাজার টাকারও অধিক ইনকাম করতে
পারবেন।
অনলাইন থেকে কনসালটিং করে আয়
অনলাইন থেকে কনসালটিং করে ইনকাম করার জন্য সবার প্রথম আপনাকে একটি নির্দিষ্ট
ক্ষেত্র নির্বাচন করতে হবে। অতঃপর এটি হতে পারে ব্যবসা, প্রযুক্তি,
মার্কেটিং, স্বাস্থ্য , ফিটনেস , লেখালেখি বাজে কোন বিশেষ সাহিত্য
ক্ষেত্র। এরপরে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বা ব্লক তৈরি করুন। এখানে আপনার
ওয়েবসাইটের সেবার বিবরণ দিতে থাকুন যোগাযোগের তথ্য প্রকাশ করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করতে থাকুন যেমন facebook twitter এবং
instagram ইত্যাদি। মানসম্পন্ন কনটেন্ট শেয়ার করুন যা আপনার টার্গেট
এগিয়ে যাবে।
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ের সাইন আপ করুন। এই প্লাটফর্ম গুলো আপনাকে
ক্লাইন্টের সাথে সংযোগ করতে সাহায্য করবে। নেটওয়ার্কিং এবং
রেফারেল অন্যান্য পেশাদারদের সাথে সংযোগ স্থাপন করুন এবং রেফারেল অর্জনের
জন্য একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন। ওয়ার্কশপ বা
ওয়েবিনার বিনামূল্যে আয়োজন করে আপনার দক্ষতা প্রদর্শন করুন। এটি
আপনাদের বিশাল এভিয়েন্স তৈরি করতে এবং তাদের বিশেষ অর্জন করতে সাহায্য
করবে। সাথে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করুন এবং সঠিক মূল্য নির্ধারণ করুন।
গ্রাফিক ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপার করে ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে কাজ করুন যেমনঃ আপ ওয়ার্ক , ফাইভার
, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে সাইন আপ করুন এবং
সেখানে বিভিন্ন প্রজেক্টে বিট করে কাজ করতে পারেন। পোর্টফোলিও তৈরি করুন। এটি
আপনি একটি ওয়েবসাইট ব্লগ বা বিহান্স, ড্রিবল , এর মতো প্ল্যাটফর্মে আপলোড
করুন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যেমন ফেসবুকে , ইনস্টাগ্রাম
, টুইটার, ইত্যাদি এর মাধ্যমে আপনার ডিজাইনগুলো প্রচার করতে
থাকুন। সে ক্ষেত্রে আপনার পোস্ট দেখে বাইরের দেশের বা নিজের দেশের বায়ার
আপনার কাজ করে নিবে ফলে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার কাজের সঠিক মূল্য নির্ধারণ করুন। আপনার সময় ও দক্ষতার মান
অনুযায়ী মূল্য নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ক্লায়েন্টদের মতামত
নিন তাদের থেকে ফিডব্যাক নিন এবং সেটি কাজে লাগিয়ে আপনার সেবা উন্নত করতে
থাকুন। নতুন নতুন টুল এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে শিখন এবং
আপনার স্কিল এর ওপর খাটাতে থাকুন ফলে আপনার স্কিল দ্রুত উন্নত হতে
থাকবে । বিভিন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স এবং
সার্টিফিকেসান সম্পূর্ণ করুন ফলে সম্পূর্ণভাবে ধারণা নিতে পারবেন।
লেখক এর মতামত
উপরোক্ত যে বিষয়গুলো রয়েছে সেখান থেকে মাসে হাজার টাকা নয় লাখ টাকা ইনকাম করা
সম্ভব। নিজের মেধা এবং পরিশ্রম সঠিকভাবে দিলে যে কোন কাজে সফলতা অর্জন করা
সম্ভব। গোটা পৃথিবীতে এবং আমাদের দেশে যত ধরনের অনলাইনে ইনকাম করার মাধ্যম
রয়েছে সেখানে থেকে ইনকাম করা 100% সম্ভব। উপরোক্ত যে বিষয়গুলি সম্পর্কে
আলোচনা করা হলো প্রতিটা বিষয় থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এবং কোন
সমস্যা সমাধানের জন্য নিচের যোগাযোগ পেজে মেসেজ করুন।
SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url