শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার

  


শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার জেনে নিন অন্য জায়গায় খোঁজাখুঁজি বাদ দিয়ে। পুরো তথ্য টির মধ্যে কিছু তথ্য আছে যেগুলো আপনার অজানা। সেসব তথ্য পেলে অনেক উপকৃত হবেন। যেটি আপনি অন্য জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর ব্যর্থ হয়েছেন।



আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার প্রচুর। তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক। আধুনিক যুগে এসে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন ভাবে জড়িয়ে গেছে যে, তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া শিক্ষাক্ষেত্র দুর্বল হয়ে পড়েছেন। নিচে শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার



অনলাইন শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তির অসাধারণ ব্যবহার

তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে শিক্ষার ধরনের ও এসেছে বিশাল পরিবর্তন. আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এখন তথ্য প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল এবং অনলাইন শিক্ষার সেই উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বিশেষ। একসময় অনলাইন শিক্ষা অসম্ভব ছিল কিন্তু এখন তা সম্ভব হচ্ছে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের শিক্ষা খুব সহজে গ্রহণ করতে পারছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা খুবই সহজে অধিক জ্ঞান সঞ্চয় করছে। ফলে আরো ভালো পরীক্ষায় ফলাফল করতে পারছে।

অনলাইনে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেখানে সেখানে যেকোনো সময় শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী তাদের সময় অনুযায়ী পড়াশোনা করতে পারে। এটি বিশেষ করে যারা কাজ করেন বা অন্যান্য দায়িত্ব পালন করেন পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত উপযোগী। অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ইন্টারেক্টিভ লার্নিং টুল, যেমন ভিডিও লেকচার্‌ e-book , rticle ইত্যাদিতে জে প্রবেশ করতে পারে। ফলে এই ধরনের সামগ্রী শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক সামগ্রী যেমন ভিডিও অডিও দেখতে পারে হলে এগুলো শিক্ষার্থীদের শিখতে আগ্রহী করে তোলে এবং তাদের শেখাটাকে আরো আনন্দময় ও মজাদার করে তোলে। এতে শিক্ষার্থীদের কাছে পড়াশোনা বিরক্তি মনে হয় না।অনলাইনে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারে এবং লাইভ লেকচার শুনতে পারে। ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে এবং প্রশ্ন করতে পারে ।

তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার অনলাইন শিক্ষাকে খুবই উন্নত এবং সহজ করে তুলেছে। অনলাইন শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে এবং শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করেছে। ভবিষ্যতে অনলাইনে শিক্ষার গুরুত্ব আরো উন্নত হবে। তথ্য প্রযুক্তি আরো উন্নতির সাথে সাথে এটি আরো জনপ্রিয় হবে।

মাল্টিমিডিয়া লার্নিং এ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার

মাল্টিমিডিয়া লার্নিং হল একটি শিক্ষা দান এর মাধ্যম। যেখানে পাঠ্য বিষয়কে অডিও, ভিডিও্, গ্রাফিক্স এবং এনিমেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়। মাল্টিমিডিয়া লার্নিং শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বিষয় সম্পর্কে সরাসরি ইন্টারেক্ট করার সুযোগ দেয়। এটি তাদের শেখার আগ্রহ বাড়ায় এবং বিষয়বস্তুকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। এদিকে মূলত ইন্টারেক্টিভ শিক্ষা বলা হয়ে থাকে। শিক্ষা গ্রহণের একটি বড় সুযোগ করে দেয় মাল্টিমিডিয়া লার্নিং হলে শিক্ষার্থীদের সময় এবং স্থানের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই করা যায়।

শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো সময় যেকোন স্থান থেকে শিক্ষার উপকরণ গুলো প্রবেশ করতে পারেন। এটিকে উপস্থিত নিরপেক্ষতা বলা হয়। মাল্টিমিডিয়া লার্নিং শুধু যে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকেই শেখা যায় তা নয় এছাড়াও মাল্টিমিডিয়া লার্নিং শিক্ষার্থীদের শেখার গতিশীলতা বৃদ্ধি করে। শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের গতিতে পাঠ্য বিষয় অধ্যয়ন করতে পারে। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত শিক্ষার গতির সাথে মিল রাখে মাল্টিমিডিয়া লার্নিং। মাল্টিমিডিয়া লার্নিং শিক্ষার্থী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

তথ্য প্রযুক্তির ৫ টি ব্যবহার

১। ডিজিটাল লাইব্রেরিঃ তথ্য প্রযুক্তির একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ডিজিটাল লাইব্রেরি । এটি হচ্ছে একটি বিশাল পরিমাণ তথ্যের মেলা। এবং গবেষণা পত্র সহজে অ্যাক্সেস করতে পারেন। ডিজিটাল লাইব্রেরীর সুবিধা হল যেকোনো সময় শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে এই লাইব্রেরীর বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। আরেকটি সুবিধা হল ডিজিটাল লাইব্রেরির মাধ্যমে তথ্য দ্রুত অনুসন্ধান করা যায়। এই লাইব্রেরীতে পৃথিবীর যেকোনো বইয়ের অনুসন্ধান খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়।

২। শিক্ষণ ব্যবস্থাপনা সিস্টেম(LMS)ঃ শিক্ষণ ব্যবস্থাপনার সিস্টেম হল একটি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম যা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিক্ষার প্রসেসে পরিচালনা করতে সহায়তা করে। LMS এর মাধ্যমে অতি সহজেই শিক্ষার্থীরা ক্লাসের উপকরণ আপলোড করতে পারেন।শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি ট্র্যাক করতে পারে এবং নিজেকেই নিজেই বিষয় বিশ্লেষণ করে মূল্যায়ন করতে পারে। শিক্ষার্থীরা তাদের এসাইনমেন্ট জমা দিতে পারে, এছাড়াও শিক্ষকদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে এবং গ্রেড চেক করতে পারে। 

৩। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিঃ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার অভিজ্ঞতা কে আরো সমৃদ্ধ এবং ইন্টারেক্টিভ করে তোলে। ভার্চুয়াল িটির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল পরিবেশ ব্যবহার করে যেখানে তারা বিভিন্ন বিষয়বস্তু সম্পর্কে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে। ফলের শিক্ষার্থীরা বাস্তব বিষয়ের উপর ডিজিটাল উপকরণ দেখতে পাই এবং তাদের শিক্ষার প্রক্রিয়াকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। এইসব প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের শেখার অভিজ্ঞতা কে আরো মজবুত করে তোলে এবং তাদের চিন্তা ভাবনা এবং দক্ষতা আরো বৃদ্ধি হতে থাকে।

৪। পরিবেশ সুরক্ষাঃ পরিবেশ সুরক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এই আধুনিক সমাজে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে ভূমিকা পালন করছে। রিমোর্ট সেন্সিং ও স্যাটেলাইট ইমেজিং, জিআইএম্, ডাটা এনালিটিক্স, স্মার্ট সেন্সর নেটওয়ার্ক , স্মার্ট কিড ও জ্বালানি ব্যবস্থাপনা, বায়োমেট্রিস সিকিউরিটি ছাড়াও  অনেক ধরনের মাধ্যম হচ্ছে যা দিনদিন পরিবেশকে সুরক্ষা করে আসছে। এবং ভবিষ্যতে পরিবেশকে আরো সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করছে অনলাইন জগতের এই উপাদানগুলো।

৫। বিজ্ঞাপন ও বিপণনঃ বিজ্ঞাপন ও বিপণন এর মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং গুগল অ্যাডস এবং এসইও এর মাধ্যমে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ও বিপণন। ব্লগার এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া য় মার্কেটিং করা হয়। 

অনলাইন লাইব্রেরী এবং রিসোর্টসে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার

অনলাইন লাইব্রেরীঃ অনলাইন লাইব্রেরী ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজিটাল বই , জার্নাল, এবং অন্যান্য রিসোর্স সহজলভ্য করে তোলে। ই-বুক এবং পিডিএফ ফরমেট এ বই পড়া এবং ডাউনলোড করা খুবই সহজ। গবেষক এবং শিক্ষার্থীরা অনলাইন ডেটাবেজ জার্নাল এবং অন্যান্য রিসার্চ টুলস ব্যবহার করে সহজে তাদের গবেষণা পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছে। এতে সময় এবং খরচ দুইটারে অপচয় কম হয়। ক্লাউন্ড ট্রোরেজের মাধ্যমে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে রিসোর্স এক্সেস করা সম্ভব হয়।



অনলাইন লাইব্রেরীতে আরো রয়েছে রিমোট এক্সেস এবং ক্লাউড স্টোরেজ, ই লার্নিং প্ল্যাটফর্ম অনলাইন ডাটাবেজ এবং রিসার্চ টুল্‌ । এগুলো ব্যবহারকারীদের সুবিধা বৃদ্ধি পায়। অনলাইন লাইব্রেরীগুলোতে ফ্রম সরবরাহ করে যেখানে ভিডিও লেকচার, ওয়েবিনার, এবং অনলাইন কোর্স উপলব্ধ করা থাকে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিখনের উপায়। 

রিসোর্টঃ রিসোর্ট এর মধ্যে রয়েছে অনলাইন বুকিং সিস্টেম,ডিজিটর ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, স্মার্ট ক্লাসরুম এবং অটোমেশন, ডিজিটাল ফিডব্যাক এবং রিভিউ সিস্টেম, এবং ওয়েবসাইট। অনলাইন বুকিং সিস্টেম অনলাইন বুকিং সিস্টেম ব্যবহার করে দেয়। এতে অতিথিরা সহজে তাদের পছন্দের সময় এবং স্থানে বুকিং প্রক্রিয়া করতে পারে। ডিজিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে অতিথিদের চেক ইন এবং চেক আউট প্রক্রিয়ার সহজ অর্থ করে। এতে সময় পাশে এবং ব্যবস্থাপনা উন্নত হয়।

শর্টরুম প্রযুক্তির মাধ্যমে অতিথীরা তাদের কক্ষের তাপমাত্রা ,আলো এবং অন্যান্য সেবা সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। জন্য একটি সুবিধা জনক ব্যবস্থা। অতিতরা অনলাইনে ফিডব্যাক এবং রিভিউ সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে খুব সহজেই। রিসোর্ট গুলো তাদের নিজস্ব অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট তৈরি করে। যেখানে অতিথিরা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে পারেন এবং সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। এবং সকল প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে থাকে।

স্মার্ট ক্লাসরুম এর মাধ্যম দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার

শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে যেটা হচ্ছে স্মার্ট ক্লাস রুম। ডিজিটাল টুলস এর সাহায্যে শিক্ষার প্রক্রিয়া উন্নত করে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টারেক্টিভ বোর্ড এবং প্রজেক্টর। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা শিখন সামগ্রিকে আরো আকর্ষণীয় এবং স্বচ্ছ ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। এতে অডিও গ্রাফিক্স এনিমেশন ব্যবহার করে শেখানো এবং বিষয়গুলোকে খুব ভালোভাবে শিক্ষার্থীদের বোঝানো হয়। স্মার্ট ক্লাসরুমের ডিজিটাল বই,ই-লেখা এবং অন্যান্য অনলাইন রিসোর্স ব্যবহার করে শিক্ষার উপকরণগুলো উন্নত করা হয়।

শিক্ষণ সফটওয়্যার এবং অ্যাপস এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ইন্টারেক্টিভ অনুশীলন করে থাকে খুব সহজে। ফলে গতির সাথে পড়াশোনা করতে পারে এটি ছাত্রদের জন্য ব্যক্তিগতকৃত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে। আরও রয়েছে স্মার্ট ক্লাস রুম ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যার মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি, উপস্থিতি এবং পারফরম্যান্স ট্যাক করতে পারেন এবং গ্রুপ প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এটি দলবদ্ধ ভাবে কাজের দক্ষতা বাড়ায় এবং তথ্য ভাগাভাগির সুযোগ সৃষ্টি করে। তথ্য ভাগাভাগির ফলে জ্ঞান আরো বৃদ্ধি পায়।

আরো রয়েছে ভার্চুয়াল লাভ এবং সিমুলেশন। ভার্চুয়াল ল্যাব বলতে মানুষের তৈরি এমন একটি কৃত্রিম ল্যাব যেখানে কৃত্রিমভাবে সকল কিছু সাজানো আছে কিন্তু এমন ভাবে উপলব্ধে করা হয় মনে হয় একদম বাস্তব। ভার্চুয়াল ল্যাব শিমুলেশন এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব বিশ্বের সকল সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারে। ভার্চুয়াল সিম্পল রেশনের মাধ্যমে ভার্চুয়াল সিমুলেশন এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে অভিজ্ঞতা প্রদান করা সম্ভব হয়। 

শিক্ষামূলক গেমস এবং অ্যাপস এর মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার

তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে শিক্ষাক্ষেত্রে অ্যাপস এবং গেমস ব্যবহার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শিশু বাচ্চারা যখন পড়াশোনা করতে জেদ ধরে বসে তখন কিছু অ্যাপস এবং গেমস এর মাধ্যমে তাদেরকে আনন্দ এর সহিত শেখানো হয় যে টিম তথ্যপ্রযুক্তির একটি বিশাল মাধ্যম। শিক্ষামূলক গেমস এবং অ্যাপ শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়াকে আরো আকর্ষণীয় এবং কার্যকরী করে তোলে। এগুলো শিক্ষার্থীদের মেধা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক গেমস ও শিক্ষামূলক অ্যাপস দেওয়া হলঃ
 
কাহুত(kahoot) কাহুত একটা জনগণের শিক্ষামূলক গেমস আর শিক্ষার্থীদের কুইজের মাধ্যমে শেখা সুযোগ করে দেয়। শিক্ষকেরা সহজে কুইজ তৈরি করতে পারেন এবং শিক্ষার্থীরা মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে সেগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এই গেমটি খেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আনন্দের সহিত সবকিছু শিখতে পারবে। এছাড়াও তাদের বড় বড় প্রতিষ্ঠানে যেখানে কুইজ খেলা সেখানে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে। কুইজ খেলার একটি সাধারণ ধারণা তারা এখান থেকে পাবে। 


ডুডল ম্যাথ(doodleMaths) ডুডল ম্যাথ এটি অ্যাপ বা গণিত শেখা কে মজাদার করে তোলে। বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক সূত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের গণিত এই অ্যাপস থেকে শিক্ষার্থীরা সহজে শিখতে পারবে। এই গেমটি খেলার ফলে বিভিন্ন ধরনের গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে পারবে।ডুডল ম্যাথ বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যার সমাধানের সহযোগিতা করে। সাথে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে । শিক্ষার্থীরা এ গেমস খেলার ফলে গণিত খুবই সহজে আয়ত্ত করে ফেলতে পারে। 

ডুওলিঙ্গ(duolingo) ডুওলিঙ্গ এই অ্যাপসটি হচ্ছে ভাষা শেখার জন্য অনেক ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে পৃথিবীর যেকোনো দেশের ভাষা খুব সহজে শেখা যায়। ইংরেজি থেকে যত ধরনের ভাষা আছে পৃথিবীতে সব ধরনের ভাষা খুব সহজে এই অ্যাপসটির মাধ্যমে শেখা যায়। এই অ্যাপটি থেকে ভাষা শেখা সকল শিক্ষার্থীদের ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ভাষায় পড়া ,লেখা, শোনা, এবং বলার দক্ষতা উন্নত করতে সহায়তা করে।সহজ কথায় ডুওলিঙ্গ ভাষা শেখার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অ্যাপ , যেখানে খুব সহজে ভাষা শেখা যায়।
  
খান একাডেমি(khan academy) খান একাডেমী একটি শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম যা বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য সহযোগিতা করে থাকে । খান এ প্লাটফর্ম বিভিন্ন শিক্ষামূলক ভিডিও এবং ইন্টারেক্টিভ অনুশীলনী  সরবরাহ করে থাকে। এটি শিক্ষার্থীদের গণিত, বিজ্ঞান , ইতিহাস, এবং অন্যান্য বিষয়ে শেখার সুযোগ করে দিয়েছে। এই একাডেমি থেকে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে তাদের পড়াশোনা অনুশীলন করতে পারে তাদের সময় অনুযায়ী। 

অনলাইন শিক্ষায় সুবিধা ও অসুবিধা গুলো

প্রযুক্তির উন্নতির ফলে বর্তমান যুগে অনলাইন শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইন্টারনেটের সহজ লভ্যতা এবং প্রযুক্তির প্রসার এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো জনপ্রিয় করছে। তার ফলে  দিন দিন শিক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নত হচ্ছে। তবে সব কিছুরই একটি সুবিধা যেমন আছে, তেমনি অসুবিধা আছে। ভালো দিকও যেমন আছে, খারাপ দিকও তেমন আছে । তেমনই অনলাইন শিক্ষা সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছেন। শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য উভয় ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার সমন্বয় প্রয়োজন। নিচে সুবিধা ও অসুবিধা গুলো দেওয়া হল।

অনলাইন শিক্ষা সুবিধাঃ অনলাইন শিক্ষা সবচেয়ে বড় সুবিধা হল সময়ের স্বাধীনতা। শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধাজনক সময় ক্লাস করতে পারে এবং এটি বিশেষ করে যারা কাজের সাথে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ক্ষেত্রে খুবই সুবিধাজনক। অনলাইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির খরচ কম এবং ভ্রমণ খরচ বাঁচে  এছাড়াও, বিভিন্ন কোর্সের জন্য বিনামূল্যেও অনেক সমৃদ্ধ সংস্থান পাওয়া যায়। অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষকও কোর্সের সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।

অনলাইন শিক্ষার অসুবিধাঃ অনলাইন শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা সরাসরি শিক্ষক ও সহপাঠীদের সাথে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে না। এতে মানসিক ও সামাজিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি হয়। অনেক সময় ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা হার্ডওয়ার সমস্যার কারণে শিক্ষার গতিতে ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়া সবাই উন্নত মানের প্রযুক্তিগত সংস্থান ব্যবহার করার ক্ষমতা রাখেনা। ফলে গরিব অসহায়দের জন্য লেখাপড়া কঠিন হয়ে পড়ে। বিজ্ঞান বা প্রযুক্তিগত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ অনলাইন মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রদান করা কঠিন। এতে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের ব্যর্থ হতে পারে। 

লেখকের মন্তব্য 

অনলাইন শিক্ষা শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সুবিধা প্রদান করলেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে যা অতিক্রম করা প্রয়োজন। অনলাইন ছাড়াও মুখোমুখি শিক্ষারও অনেক প্রয়োজন রয়েছে। তবুও সঠিক উপায়ে ব্যবহৃত হলে অনলাইন শিক্ষা ভবিষ্যতে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাতে পারে। অনলাইন শিক্ষার প্রসার এভাবে বাড়তে থাকলে একসময় দেখা যাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি ব্যাপক খারাপ প্রভাব পড়ছে। শিক্ষার্থীরা ডিভাইসের প্রতি আসক্ত হতে থাকবে।আরো অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবে শিক্ষার্থীরা।

 এছাড়াও অসহায়, গরিব, দরিদ্র, পড়াশোনা থেকে অনেক পিছিয়ে যাবে। তাই উচিত অনলাইন শিক্ষার পাশাপাশি, মুখোমুখি শিক্ষাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url