জিমে না গিয়ে ঘরে গোপন এই ৯টি ব্যায়াম করুন

 

জিমে না গিয়ে ঘরে গোপন ৯টি ব্যায়াম করুন খুবই সহজে। শরীর সুস্থ রাখার মূল মন্ত্র ব্যায়াম। কিন্তু আপনি কি জানেন, কিছু ব্যায়াম রয়েছে যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে আপনাকে করে তুলবে আরও বেশি আকর্ষণীয়।এবং আপনার মনকে ও দেহকে সতেজ ও বলবান করে তুলবে।



শরীরকে রোগমুক্ত করতে,  মেয়ের ঝরাতে আমরা সাধারণত যোগব্যায়াম করে থাকি। কিন্তু যোগব্যায়াম ছাড়াও আরো অনেক ধরনের ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো আমরা ঘরে থেকেই করতে পারি। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই ব্যায়ামগুলি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ জিমে না গিয়ে ঘরে গোপন এই ৯টি ব্যায়াম করুন।

জিম নয়, ঘরে ব্যায়াম করুন নিশ্চিন্তে

শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রত্যেকের ব্যায়াম করা উচিত। কিন্তু জিমে গিয়ে ব্যায়াম করা সব সময় হয়ে ওঠেনা, অনেকে হয়তো সামর্থ্য থাকে না। নিজেকে ফিট রাখতে হলে ব্যায়াম অবশ্যই করতে হবে। যারা জিমে যেতে পারেন না, তারা ঘরে করতে পারেন এই ব্যায়ামগুলো। ব্যায়ামের নিয়মঃ- ব্যায়াম শুরুর আধাঘন্টা আগে বা পরে কিছু খাবেন না। ভরা পেটে ব্যায়াম করলে শরীর খুব নার্ভাস বা কাহিল হয়ে পড়ে। শরীরের ভিন্ন ভিন্ন অংশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ব্যায়াম রয়েছে। আগে বুঝে নিতে হবে আপনার এনার্জি লেভেল কতটুকু।


কি ধরনের ব্যায়াম, কতক্ষণ আপনি করতে পারবেন এগুলো আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। প্রথমে ভারী ব্যায়াম শুরু করবেন না, হালকা কিছু ব্যায়াম করে নিন যাতে আপনি অল্পতে কাহিল হয়ে না পড়েন, এভাবে আস্তে আস্তে হালকা ব্যায়াম থেকে ভারী ব্যায়াম এর দিকে অগ্রসর হন। শরীর একটু চটপটে হালকা লাগলে ভাববেন আপনি ফিট হয়ে গেছেন। একদিনে বেশি চাপ না নিয়ে শরীরের এক এক অংশের জন্য এক একদিন ব্যায়াম করবেন। ফলে আপনি কাহিল না হয়েও আপনার শরীর ফিট হবে। 

ঘরের ব্যায়ামঃ- জিমে সাধারণত ছেলে আর মেয়ের জন্য আলাদা ব্যায়াম আছে, আবার কিছু কিছু ব্যায়াম ছেলেদের ও মেয়েদের উভয়েরই একই ধরনের ব্যায়াম। জিমের ব্যায়ামগুলোর মধ্যে অ্যারোবিক, রানিং বা স্ট্যান্ড জগিং, ডাম্বেল লিফটিং, স্ট্রেচিং , পুশআপ , স্কিপিং, ইয়োগা সহ আরো অনেক ধরনের ব্যায়াম শেখানো হয়ে থাকে। এদের মধ্যে সহজ কিছু ব্যায়াম আপনি বাসা থেকে করতে পারেন।অ্যারোবিক ব্যায়াম হলো খুবই মজার একটি ব্যায়াম। গানের তালে তালে ফ্রি হ্যান্ড কসরত করাই হলো অ্যারোবিক।

অ্যারোবিক মিউজিকের সঙ্গে ছন্দ মিলে হাত-পা ও শরীরের অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়াচড়া করতে হয় তাই ব্যায়ামটা পুরো শরীরের জন্যই খুবই কার্যকরী একটি ব্যায়াম। বাজারে অ্যারোবিক এর সিডি প্লেয়ার কিনতে পাওয়া যায়। খুব সহজে এই ব্যাটে আপনি বাসায় করতে পারেন।

স্কিপিং এবং স্ট্যান্ড জগিং ঘরের মধ্যেই করুন

স্ট্যান্ড জগিংঃ স্ট্যান্ড জগিং এর জন্য কোন যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে কোন কিছু ধরে আপনি জগিং করতে পারেন। যদি ঘরেও করা যায়। এতে করে আপনার পুরো শরীরের ব্যায়াম হবে। শরীরের মেদ কমানোর জন্য এই ব্যায়ামটি খুবই কার্যকারী একটি ব্যায়াম। পুশআপ এই ব্যায়ামটা সাধারণত ছেলেরা দিয়ে থাকে । উপর হয়ে কাঁধ থেকে পা পর্যন্ত সোজা রেখে হাতের উপর ভর দিয়ে এই ব্যায়ামটি করা হয়। এতে বডি শেপে আসে এবং মেদ কমতে সাহায্য করে। শোল্ডার সার্কেল সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সামনে তাকান।

ডান হাত ভাঁজ করে ডানকান বরাবর তুলুন। তারপর একটি নির্দিষ্ট তালে হাতে ওপরে , নিচে , পেছনে ঘোরান। তারপর একইভাবে বাম হাত ঘরান। নিশ্বাস স্বাভাবিক রেখে অপর হাতও একই রকম ভাবে ঘোরাবেন। এই সহজ ব্যায়ামগুলো অনুশীলন করে আপনি থাকতে পারবেন একদম ফিট। এর জন্য আপনার জিও যেতে হবে না, নিজের বাড়ির মধ্যে এটা অনুশীলন করতে পারবেন। সকাল অথবা বিকালে ব্যায়াম করা অনেক ভালো। আপনি অন্য সময়ও করতে পারেন কিন্তু প্রতিদিন করার চেষ্টা করবেন।

স্কিপিংঃ ছোটবেলায় আমরা সবাই দড়ি লাফ খেলেছি তাই এই ব্যায়ামটির সঙ্গে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। বাজারে দড়ি বা প্লাস্টিকের স্কিপিং রোপ পাওয়া যায়। এটি কিনে সহজে আপনি আপনার বাসাতে অনুশীলন করতে পারেন । তবে একদিনে বেশি স্কিপিং না করে আস্তে আস্তে বাড়াবেন। যারা বেশি মোটা তাদের স্কিপিং না করাই ভালো।

পদ্মাসন এবং শবাসন দুইটি ব্যায়াম করুন ঘরে থেকে

পদ্মাসনঃ বলা হয় মনকে শান্ত করতে পদ্মাসন একটি মাত্র উপায়। কিন্তু আপনি কি জানেন নিয়মিত পদ্মাসন করলে আপনি হয়ে উঠবেন পদ্মের মতোই সুন্দর। এবার আসুন জানা যাক পদ্মাসন ব্যায়ামটি কিভাবে করা হয়।



কিভাবে করবেন পদ্মাসন ব্যায়ামঃ
প্রথমে দুপা সামনের দিকে ছড়িয়ে বসুন। এবার বা হাত দিয়ে ডান পায়ের বুড়ো আঙ্গুল ধরে হাটুর কাছ থেকে ভাজ করে বাম পায়ের উরুর ওপর ডান পা রাখুন। তারপর বাম পায়ের হাটু ভাঁজ করে একই নিয়মে ডান উরুর ওপর রাখুন। দেখবেন যেন দুই পায়ের গোড়ালি দুটো তলপেট স্পর্শ করে ঠিক এমন ভাবে। হাত দুটো দুই হাত ওর উপর রাখুন। হাতে তালু উপরের দিকে থাকবে এবং মাঝের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে তর্জনী ধরে রাখুন। মেরুদণ্ড সোজা রাখুন এবং শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।

পদ্মাসন ব্যায়াম করার উপকারিতাঃ 

  • মন সংযোগ বৃদ্ধি পায় এবং মন স্থির হয়।
  • পায়ের ব্যথা, হাঁটুতে বাতের ব্যথা হতে পারে না।
  • মুখের ত্বক সুন্দর থাকে।
সতর্কতাঃ হাঁটুতে ব্যথা থাকলে এই ব্যায়ামটি থেকে বিরত থাকুন।

শবাসনঃ শরীরকে সম্পূর্ণ রিল্যাক্স করতে ব্যায়াম শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ব্যায়াম। শরীরকে রিলাক্স করার পাশাপাশি ব্যায়াম আমাদের ত্বকে পুনরুজ্জীবিত করে। ব্যায়ামটি করা খুবই সহজ । করতে হলে শরীর সোজা রেখে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটি সোজা রাখুন শরীর বরাবর এবং শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।

উপকারিতাঃ
  • মনকে শান্ত করে।
  • শরীরকে একদম রিলাক্স করে।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

ধনুরাসন ব্যায়াম করলে খুবই উপকার

এই ব্যায়ামটি করলে শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। তারপরে আপনার ত্বক এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 

ধনুরাসন ব্যায়াম করার নিয়মঃ শরীরের দুপাশে হাত রেখে উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার মাটি থেকে উরু উপরে তুলে হাট ভেঙ্গে খারা করুন। পেট মাটিতে লেগে থাকবে। বুক ও গলা ওপরে তুলে দুহাত দিয়ে দু পায়ের গোড়ালি ধরুন। টানটান সোজা থাকবে আপনার হাত দুটো। শ্বাস-প্রশ্বাস একদম স্বাভাবিক রকম। হাঁটু যথাসম্ভব মাটি থেকে উপরে তুলতে চেষ্টা করুন। দু হাটো জোড়া লেগে থাকবে দৃষ্টির উপরে থাকবে। এভাবে ব্যায়ামটি করতে থাকুন , হাঁটুতে ব্যথা অনুভব করলে হাঁটুর নিচে আরামদায়ক কিছু দিয়ে ব্যায়াম করুন।
 

ধনুরাসন ব্যায়ামের উপকারিতাঃ
  • ও অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি সুস্থ স্বাভাবিক রাখে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে দূর হয়।
  • পিঠের মাংসপেশিগুলোতে বেশ চাপ পড়ায় মেরুদন্ডে অবস্থিত স্নায়ুগুলোতে প্রচুর রক্ত চলাচল হয়ে সুস্থ ও সতেজ রাখে
  • যাদের কোমরে বেশি চড়বে আছেন এবং যাদের বুকের খাঁচা অনুন্নত তারা নিয়মিত করলে অবশ্যই উপকৃত হবেন।
সতর্কতাঃ পেটে কোন ধরনের অপারেশন করা থাকলে এই ব্যায়ামটি থেকে এড়িয়ে চলুন

যোগ ব্যায়াম করুন শরীর সুস্থ রাখতে

Beginners বিস্তারিত ব্যাখ্যা ছাড়া আপনার ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন Yoglessen মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। সেখানে টান মুক্ত করার জন্য বিভিন্ন উপায় আছে। মনোযোগ সহকারে প্রায়ই মানুষ শরীরের সাথে এবং যোগব্যায়াম শুরু ঝিমঝিম দিয়ে শুরু। যোগব্যায়াম আপনার শরীরের সঙ্গে আরও বেশি উদ্বিগ্ন হতে পারে। সব যোগব্যায়াম সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার শরীর থেকে শুনতে, আপনার মাথার পরিবর্তে শুধু আপনার শরীরের আপনি বলতে পারেন যেখানে আপনার সীমা ।

 যখন এটা ভালো সামান্য কম গভীর প্রসারিত করতে, আপনি যে আপনি পরিশেষে আরও অনেক প্রসারিত করতে পারেন যদি আপনি এটি গ্রহণ সহ এবং অনুমতি চান আবিষ্কার করবে। যোগ ব্যায়াম এর ফলে মানুষ নিজের মধ্যে এক অন্য ধরনের অলৌকিক শক্তি অনুভব করতে পারে। ফলে যেকোনো কঠিন কাজ কেও সেই ব্যক্তির তখন সহজ মনে হয়। অত্যন্ত উপকারী একটি ব্যায়াম হলো যোগব্যায়াম। সুস্থ থাকতে হলে যোগব্যায়ামের উপকারিতা অনেক রয়েছে। 


পবনমুক্তাসন এবং ভুজঙ্গাসন ব্যায়াম শিখে রাখুন

পবনমুক্তাসনঃ এই ব্যায়ামটি করার নিয়ম , প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন তারপর ডান পা হাটু থেকে ভাজ করে পেট ও বুকের উপর রেখে দুহাত দিয়ে চেপে ধরুন। শ্বাস-প্রসার স্বাভাবিক রেখে মনে মনে ত্রিশ পর্যন্ত গণনা করুন। অথবা ডান পা নামিয়ে বা পা এবং বা পা নামিয়ে শেষে দুপা চেপে ধরে সংখ্যা গোনা হয়ে গেলে এটাকে বলতে হবে আরো একবার। সবাসনে সমান সময় বিশ্রাম নিয়ে তারপর তিনবার এটা করা উচিত। একই নাগাড়ে করতে থাকলে সেটা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে ব্যায়ামটি করুন।

ভুজঙ্গাসনঃ ব্যায়ামটি করার জন্য প্রথমে পা দুটি সোজা রেখে সটান উপুর হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুহাতের তালু উপুড় করে পাঁজরের কাছে দু'পাশে মেঝেতে রাখুন। এবার পা থেকে কোমর পর্যন্ত মেঝেতে রেখে হাতে তালুর ওপর ভর দিয়ে মাথা যত দূর সম্ভব উপরে তুলুন। এখন মাথা সাধ্যমত পিছন দিকে বাঁকে উপরের দিকে তাকান। ২৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড শ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে এই অবস্থাতে থাকুন। তারপর আস্তে আস্তে মাথা বুক নামিয়ে উপর হয়ে শুয়ে পড়ুন এবং শবাসনে বিশ্রাম নিন। এইটি দুইবার করলে চলে।

যোগশাস্ত্র বা শ্বাসযন্ত্রের যোগব্যায়াম

যোগশাস্ত্র বা শ্বাসযন্ত্রের যোগব্যায়াম করার নিয়মঃ হাটু গেড়ে বিড়াসনে বসে পড়ুন। দুই হাত সামনে ম্যাটের উপর রাখুন। এরপর ডান পায়ের পাতা ২ হাতের মধ্যে নিয়ে রাখুন এবং বাবা পেছনে টানটান করে দিন। তবে বা পায়ের হাটু ম্যাটের সঙ্গে লেগে থাকবে। এ অবস্থায় সাহস নিতে নিতে মাথা অগ্রীবা পেছনের দিকে ঝুকবে। ফলের দৃষ্টি ওপরের দিকে যাবে এবং মেরুদন্ড পিছনের দিকে বা বেঁকে যাবে। এবার সামনে রাখা অর্থাৎ ডান পা গোড়ালি থেকে হাঁটু পর্যন্ত লম্বা থাকবে বা পায়ের গোড়ালি উঠে হাঁটু সামনের দিকে এগিয়ে দিতে হবে।



আসনে থাকা অবস্থায় স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হবে। ডান পাশ সামনের দিকে করার পর বাম পা দিয়েও করবেন। ঠিক এমন অবস্থায় ২০ থেকে ৩০  সেকেন্ড পর্যন্ত এভাবেই থাকুন। প্রতি পায়ে তিনবার করে ব্যায়ামটি করুন।এই ব্যায়ামটিকে অশ্বাসঞ্চালন আসনও বলা হয়ে থাকে। 

উপকারিতা গুলোঃ
  • বুকের মাংস বেশি প্রসারণের মাধ্যমে ফুসফুসের কার্যকর ক্ষমতা বাড়ে।
  • হাটু ও গোড়া লিখে শক্তিশালী করে তোলে।
  • মেরুদন্ডের নমনীয়তা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • কিডনি ও লিভারের ব্যায়াম হয়, ফলে কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

আরো সুন্দর ২টি যোগব্যায়াম শিখুন

সিংহাসন ব্যায়ামঃ ভদ্রাসনে বসে চিবুক বা থুতনি নামিয়ে বুকে ঠেকান। তারপর বড় হা করে যতখানি পারবেন জিব্বা বের করুন। এবার নাক দিয়ে বুক ভরে শ্বাস টেনে মুখ দিয়ে যত জোরে সম্ভব শব্দ করে শ্বাস ছাড়ুন। পরপর ৬ বার এরকম করে শবাসনে বিশ্রাম নিন। ধীরে ধীরে সংখ্যা দিয়ে বাড়িয়ে ১২বার করতে পারেন। 

বজ্রাসন ব্যায়ামঃ হাটু ভাজ করে পা দুটি পিছন দিকে মুড়ে নামাজে বসার মত ভঙ্গিতে সিঁরদাঁর 
সোজা হয়ে বসুন। হাতে তালুু ুউপুড় করে দুই হাঁটুর উপর রাখুন। পাছা গোড়ালের ওপর থাকবে। প্রথম কয়দিন একটু অসুবিধা হতে পারে তবে আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যাবে। তা যতক্ষণ সহজ ভাবে পারেন ঐ অবস্থায় বসে থাকুন। একবারে বেশিক্ষণ না থাকতে পারলে শ্বাস স্বাভাবিক রেখে আসুন তিনবার করুন এবং সব আসনে বিশ্রাম নিন।

গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথাঃ শরীরের সাথে মনের যোগাযোগ রক্ষা করে স্নায়। সমস্ত উষ্ণায়নের তৈরি হয়েছে স্নায়ুতন্ত্র যার একটা বড় অংশ শেষ হয়েছে পায়ের তলায়। সেজন্য পায়ের তলা কর্কশ কোন কিছু যেমন দিয়ে ঘুরে অনেকক্ষণ ঘষলে শরীর থাকে।অসুস্থ শরীর ধীরে ধীরে সেরে ওঠে এমন করলে। কাজেই রোদ যখন সম্ভব একেক পায়ের তলা অন্তত 10 মিনিট ধরে ঘষে আঙ্গুলগুলোর ওপর নিচ করে টানুন। মুখ ধরার সময় চোখে অনেকবার পানে ঝাপটা দিন। 

নাক দিয়ে পানি যতটা সম্ভব ট্রেনে ছেড়ে দিন সহজে সর্দি কাশি কিংবা মাথা ব্যথা হবে না। রাতে শোয়ার আগে অবশ্যই দাঁত মাজবে কারণ, মুখের অপরিছন্নতা থেকে অনেক রোগ হয়। তাছাড়া যখন কিছু খাবেন ভালো করে কুলি করলে দাঁত ভালো থাকব। 

শরীর ও মন সুস্থ রাখে যোগ ব্যায়াম

শরীর ও মনকে সচল রাখার জন্য খাদ্য ও পানীয় গ্রহণে বাজ বিচার ছাড়াও দরকার উপযুক্ত ব্যায়াম। ছোটদের বেলায় ব্যায়ামের গুরুত্ব আরো বেশি এজন্য এর মাধ্যমে তাদের শরীর গঠন ও ব্যাক্তিদের বিকাশ ঘটে। অনেক পদ্ধতি আছে। হাটা, দৌরঝাঁপ , এগুলোর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকম খেলা এবং সাঁতার হচ্ছে এক ধরনের ব্যায়াম। আবার সাইকেল কিংবা নানা যন্ত্রপাতির সাহায্যে করা হয় আরেক ধরনের ব্যায়াম। আরো এক ধরনের ব্যায়াম আছে যার জন্য দৌড়াদৌড়ি করতে হয় না যন্ত্রপাতি লাগানো অথচ খুবই উপকারী। যার নাম যোগব্যায়াম।

শরীরের বিভিন্ন অংশে চাপ সৃষ্টি এবং তার শিথিল করে যোগ ব্যায়াম করতে হয়। এর নিয়ম কানুন নিয়ে অনেক বই আছে কেউ কেউ ব্যায়াম শিখিয়েও থাকেন। টেলিভিশনে বা মোবাইল ফোনে এখন এইসব ব্যায়াম পাওয়া যায। এর সঙ্গে অন্যান্য ব্যায়াম চালিয়ে গেলে লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। যেমন হাটা প্রতিদিন কমপক্ষে আধা ঘন্টা জোরে জোরে হাটলে সুরের নমনীয় থাকে এবং মগজ-পুজ অক্সিজেন ঢুকে বলে টেনশন অনেকটা কমে যায়। যোগ ব্যাবহার বিভিন্ন দেহভঙ্গি মাকে বলা হয় আসন এখানে কিছু আসন সম্পর্কে বলা হলো।

প্রথম আসনঃ যেটাকে বলা হয় শবাসন। শব বা লাশের মত শুয়ে থাকার জন্য এর নামকরণ করা হয়েছে শবাসন। এ আসনে বালিশ ছাড়া চিত কিংবা উপর হয়ে হাত পা ছড়িয়ে মনকে চিন্তা মুক্ত করে শুয়ে থাকতে হয়। এটি যে কোন সময় করা যায় এবং দৈনিক আধঘন্টা করলে মেরুদন্ড ভালো থাকে। মেরুদন্ড ও পাঁজরের হাড়ের মজ্জা থাকে বেশিরভাগ রক্ত তৈরি হয়। তাছাড়া এ আসনটি করলে অনেক পরিশ্রম ও মানসিক চাপ সহ্য করা যায়। পড়া মনে থাকে এবং শরীরের যেকোনো ব্যথা ও লুকিয়ে থাকা সমস্যা দূর হয। এই আসন সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত বলা হয়েছে।

ব্যায়াম নিয়ে লেখকের মন্তব্য

যোগ ব্যায়াম এবং অন্যান্য ব্যায়ামের গুরুত্ব অপরিসীম। এগুলো শুধু শারীরিক সুস্থতায় নয়, সাথে মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করেন। নিয়মিত ব্যায়াম যেমন শরীরকে সুস্থ রাখে তেমনি, মানসিক চাপ কমে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করে। যোগব্যায়াম বিশেষভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণ মনোযোগ বৃদ্ধি এবং মানসিক প্রশান্তি আনতে সাহায্য করে। অন্যদিকে অন্যান্য ব্যায়াম যেগুলো রয়েছে সেগুলো শারীরিক ফিটনেস উন্নত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

 সব মিলে সুস্থ জীবন যাপনের জন্য যোগব্যায়াম এবং অন্যান্য ব্যায়াম এর গুরুত্ব অপরিহার্য। এ অভ্যাস গুলো নিয়মিত মেনে চলে দীর্ঘস্থায় স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবেন। এবং সুখী জীবন যাপন এবং সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url