কদবেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
কদবেলের উপকারিতা ও অপকারিতা আরো অন্যান্য ফলেকে হার মানায়। কোন কিছু
খাওয়ার আগে তা ক্ষতিকর দিক এবং উপকারের দিকগুলো জেনে খাওয়া উচিত। তবে কদবেল
হলো প্রাকৃতিক একটি ফল। এর অপকারিতা দিক থেকে উপকারী দিকগুলো বেশি রয়েছে।
কদবেল হলো এমন একটি ফল যেটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বহু শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত
হচ্ছে। এছাড়াও পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তবে প্রতিটি
ফলের মতোই কদবেলের উপকারিতা যেমন রয়েছে অপকারিতা বা পার্শ্ব
প্রতিক্রিরাও রয়েছে। তার সবকিছু বিবেচনা করে খাওয়া উচিত।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কদবেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
- কদবেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন
- গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়ার উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় কদল খাওয়ার অপকারিতা
- কদবেল খাওয়ার উপকারিতা গুলো জানুন
- কদবেল দিয়ে ২০ ধরনের টেস্টি খাবার তৈরি করুন
- কদবেল খাওয়ার অপকারিতা গুলোকে জানুন
- কদবেল খাওয়ার নিয়ম
- পাকা কদবেল খাওয়ার উপকারিতা
- যেসব রোগে কদবেল ভূমিকা পালন করে
- লেখক এর মন্তব্যে কদবেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
কদবেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন
কদবেল একটি পুষ্টিকর ফল নিজের নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় সাথে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়। বাইরের শক্ত আবরণের ভেতরে
থাকার নরম মাংসাল এই ফলটির স্বাদ পাকা অবস্থায় খেতে টক-মিষ্টি হয়ে থাকে। কেউ
কেউ এটি প্রক্রিয়াজাতকরণ করেও আচার তৈরি করেও খায়। কদবেলে প্রচুর পরিমাণে
ভিটামিন,খনিজ, শর্করা এবং আমি সহ বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদানে সমৃদ্ধ। যেটা
মানব শরীরে অত্যন্ত উপকারী। এটি কাঁচা ও পাকা সব ধরনের অবস্থাতে খাওয়া
যায়।
নিচে কদবেলের সকল পুষ্টি ও ভিটামিন সম্পর্কে বলা হলোঃ
ভিটামিন সমুহ | পরিমাণ (প্রতি ১০০গ্রাম) |
---|---|
পানিয় অংশ | ৮৫.৬ গ্রাম |
খনিজপদার্থ | ২.২ গ্রাম |
খাদ্য শক্তি | ৪৯ কিলো ক্যালরি |
আমিষ | ৩.৫ গ্রাম |
চর্বি | ০.১ গ্রাম |
শর্করা | ৮.৬ গ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ৫.৯ মিলিগ্রাম |
লৌহ | ০.৬ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন বি | ০.৮০ গ্রাম |
ভিটামিন সি | ১৩ মিলিগ্রাম |
গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়ার উপকারিতা
টক মিষ্টি খাবারের মধ্যে রয়েছে কদবেল। গর্ভাবস্থায় থাকা প্রতিটি গর্ভবতী নারী
সব সময় টক মিষ্টি খাবারের দিকে বেশি ঝুঁকে। যখনি ইচ্ছা হয় তখনই কদবেল বা
তেতুল অর্থাৎ টক জাতীয় জিনিস খেতে শুরু করে দেয়। তবে আপনারা কি জানেন
গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়া যাবে কি যাবে না। আসলে প্রতিটা জিনিসের উপকারিতা ও
অপকারিতা থাকে। তেমনি কদবেলের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। তাহলে এখন
গর্ভাবস্থা কত বেল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানতে থাকি।
হজম শক্তি বৃদ্ধিতেঃ গর্ভ অবস্থায় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা
দেখা দেয়। তার মধ্যে রয়েছে হজম প্রক্রিয়া। গর্ভাবস্থায় হজমের সমস্যা যেমন
কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস বা বদহজমের মত সমস্যাগুলো দেখা দিতে থাকে। কদবেল ফাইবার
সমৃদ্ধ একটি ফল, যেটি কিনা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। তাই কারো যদি
গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যর রোগ দেখা দেয়,তাহলে কদবিল নিয়মিত খেলে তা উপশম
হতে পারে।
আরো পড়ূনঃ কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা
দুর্বলতা সারাতেঃ গর্ভাবস্থায় প্রতিটি গর্ভবতী নারীর
শারীরিক দুর্বলতা দেখা যায়। কদবেল শরীরের শক্তি বাড়াতে সহায়ক। এই ফলে
বিদ্যমান বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি এবং দুর্বলতা কাটিয়ে
উঠতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে গর্ভাবস্থায় শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে
সহায়তা করে।
প্রাকৃতিক ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণঃ গর্ভাবস্থায় দেখা যায় অনেক
নারীর ক্ষেত্রে যারা এক ধরনের ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন। গর্ভাবস্থায় যে
ডায়াবেটিস হয় সেটি সাধারণত গেস্টেশনাল ডায়াবেটিস। আর এই ডায়াবেটিস
সারানোর জন্য গর্ভবতী নারীর রক্তে পরিমান মত শর্করা থাকা প্রয়োজন। আর এ
সরকারের ঘাটতি পূরণ করে কদবেল। প্রাকৃতিক ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করে
কদবেল।
গর্ভাবস্থায় কদবেল খাওয়ার অপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কদ বেল খাওয়ার কিছু সম্ভাব্য অপকারিতা রয়েছে, যা বিবেচনা করা
জরুরি।যদিও কদবেল পুষ্টিগুণে ভরপুর তবুও গর্ভ অবস্থায় এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে
কিছু ঝুঁকি থাকতে পারে। কোন জিনিস পরিমাণে তুলনায় অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়।
প্রতিটি খাবার পরিমাণের তুলনায় অতিরিক্ত খেলে শারীরিকভাবে বিভিন্ন ধরনের
সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার ওপর আবার গর্ভাবস্থায় কোন কিছু অতিরিক্ত খেলে
অবশ্যই ক্ষতিকর দিকগুলো দেখা দিতে পারে। তাই এই সময়ে সকল ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা
জরুরি।
প্রচণ্ড শর্করার কারণে বিভক্তিঃ কদবেল একটি টক মিষ্টি জাতীয় ফল।
তবে টকের তুলনায় মিষ্টিটা একটু বেশি হাওয়ায় শর্করা থাকে। তাই
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কদবেল খাওয়ার ফলে রক্তের শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে
পারে। যার ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রচন্ড শীতল প্রকৃতির কারণেঃ কদবেলের প্রকৃতি শীতল বলে বিবেচনা
করা হয়। যা গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত খেলে শরীরে ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
এতে শরীরের বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দিতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় ঝুঁকি
এড়াতে হলে অতিরিক্ত কদ বেল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
কদবেল খাওয়ার উপকারিতা গুলো জানুন
কদবেল একটা উপকারী ফল তাই কদবেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা
উচিত। তার মধ্যে কদবেলের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
হজম প্রক্রিয়ার উন্নতিঃ হজম শক্তি বৃদ্ধির কাজে কদবেল ফলের
উপকারিতা অনেক রয়েছে। কদবেলে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
সাহায্য করে। এছাড়াও অন্তরে গতিশীলতা বাড়িয়ে দেয়। বদহজম, গ্যাস্ট্রিক্,
ডায়রিয়া এবং আমাশয়ের মত সমস্যাগুলোর আগাম সমাধান করতে কার্যকর।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাঃ ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
কদবেল, যেটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সর্দি কাশি সহ আরো অন্যান্য
সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রী রেডিক্যাল এর ক্ষতি
থেকে দেহের কোষ গুলোকে রক্ষা করে এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যান্সার সহ অন্যান্য রোগ
প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ূনঃ খালি পেটে শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা
ত্বকের যত্নঃ কদবেলে ভিটামিন সি থাকায় এবং অন্যান্য উপাদান সমূহ
থাকার কারণে ত্বকের সজীবতা রক্ষা করতে সাহায্য করে কদবেল। এটি ত্বকের বলিরেখা
কমায় এবং ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে তার তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
কদরের পাতা এবং ফল নির্যাস চর্ম রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়।
এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ , ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ , মানসিক
স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে কদবেল খাওয়ার উপকারিতা অনেক। তবে কদবেলের
উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কের জেনে তারপর নিয়মিত খাওয়া উচিত।
কদবেল দিয়ে ২০ ধরনের টেস্টি খাবার তৈরি করুন
কদবেল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচো খাবার তৈরি করা হয়। যেগুলো বাজারে কিনতে
পাওয়া যায় এমনকি আপনি নিজেও নিজের ভাষাতে তৈরি করতে পারবেন। কদবেল দিয়ে
৩০ ধরনের খাবারের নাম গুলো নিচে দেওয়া হল।
- কদবেলের শরব
- কদবেল মোরব্বা
- কদবেলের জ্যাম
- কদবেলের চাটনি
- কদবেলের পায়েস
- কদ বেল হালুয়া
- কদবেলের বারফি
- কদবেলের রসগোল্লা
- কদবেলের কেক
- কদবেলের পুডিং
- কদবেলের আইসক্রিম
- কদবেলের লাড্ডু
- কদবেলের স্যান্ডউইচ
- কদবেলের সালাদ
- কদবেল দিয়ে মাছের টক
- কদবেল পানাম
- কদবেল দিয়ে দই চাট
- কদবেল দিয়ে কুরমা
- কদবেলের সুপ
- কদবেলের মিল্কশেক
- কদবেলের মিঠাই
- কদবেলের প্যান কেক
- কদবেলের ফুড কাস্টার্ড
- কদবেলের ব্রেড পুডিং
কদবেল খাওয়ার অপকারিতা গুলো জানুন
সাধারণত উপকারী ফল হিসেবে বিবেচিত হলেও এর কিছু অপকারিতা হয়েছে যা
সঠিকভাবে বিবেচনা করা জরুরী। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী এবং যাদের কিছু
নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য কদবেলের কিছু অপকারিতা
গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিত। স্বাস্থ্যকর ফল হলেও এর কিছু অপকারিতা
রয়েছে।
রক্তচাপের হ্রাসের ঝুঁকিঃ কদবের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
হলেও, অতিরিক্ত খেলে এটি রক্তচাপ খুব বেশি কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যদি
কেউ নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকে, তার জন্য কদবেল খাওয়া একটি
ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হতে পারে। রক্তচাপ কমে যাওয়ার ফলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এবং
কিছু ক্ষেত্রে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে। এজন্য কম রক্তচাপ সম্পন্ন
ব্যক্তিদের কদবেল থেকে দূরে থাকায় উত্তম।
আরো পড়ূনঃ কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
এলার্জি প্রতিক্রিয়াঃ কদবেল খাওয়ার ফলে কিছু মানুষের
ক্ষেত্রে এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। লালচে ভাব, চুলকানি বা
শ্বাসকষ্টের মত অসুস্থতার উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। এলার্জি প্রতিক্রিয়া
অনেক সময় গুরুতর হয়ে উঠতে পারে। যা বিশেষত গর্ভাবস্থায় আরও বেশি
ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই যাদের এলার্জির জন্য তো সমস্যা রয়েছে তারা কদবেল
থেকে দূরে থাকুন।
এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ানো, গর্ভাবস্থার ঝুঁকি্, শর্করার মাত্রা
বৃদ্ধি এবং ঠান্ডা প্রকৃতির কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে
পারেন। তাই নিয়মিত কদবেল খেলেও তা পরে এমন মত খাওয়া উচিত।
কদবেল খাওয়ার নিয়ম
কদবেল খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও পরামর্শ অনুসরণ করলে এর
উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়। এবং এ নিয়ম অনুযায়ী কদবেল খেলে অপকারিতা গুলো
এড়ানো সম্ভব হয়।
- পরিমিত বজায় রেখে খাবার খাওয়া উচিত। কারণ কদবেলের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা বা রক্তচাপ কমে যাওয়া ঝুঁকে থাকতে পারে। তাই একবারে আধা বা এক কদবেল খাওয়া যথেষ্ট।
-
কদবেল খাওয়ার সঠিক সময় হচ্ছে খাবার খাওয়ার পর। কারণ কদবেল হজম ক্রিয়া
পরিচালনা করতে সাহায্য করে তাই খাবার খাওয়ার পর কদবেল খেলে হজম প্রক্রিয়া
উন্নত করতে সাহায্য করে। তবে, খালি পেটে কদবেল খাওয়া এড়ানো উচিত, এত করে
হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে।
-
কদবেলের শীতল প্রকৃতির কারণে বিশেষ করে শীতকালে বাজাতে ঠান্ডা জড়িত
সমস্যা আছে। অর্থাৎ যাদের একটু ঠান্ডা লাগলে সর্দি কাশি জনিত সমস্যা হতে
থাকে তাদের কদবেল থেকে দূরে থাকা শ্রেয়। তবে তাদের সতর্কতা অবলম্বন করা
উচিত। এজন্য, কদবেল খাওয়ার আগে তাদের সামান্য উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে
খাওয়া উচিত।
-
কদবেল খাওয়ার আগে এর খোসা ও বীজ ফেলে দেওয়া উচিত। কদবেলের খোসা কঠিন এবং
হজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
-
যারা গর্ভাবস্থায় আছেন বা কোন বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন,
তাদের কদবেল খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। বিশেষ করে
ডায়াবেটিস বা রক্তচাপের সমস্যা থাকে এটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও আর ও সংক্ষিপ্ত আকারের কিছু খাওয়ার নিয়ম নিয়ম রয়েছে। যেগুলো
আপনার শরীরকে কদবেলের অপকারিতার দিক থেকে রক্ষা করবে।
- কদবেল কাঁচা না খেয়ে পাকলে খান।
- শরবত বা চাটনি তৈরি করে খান।
-
হালকা খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন।
-
প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন কদবেল খাওয়ার পর।
পাকা কদবেল খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা ও পাকা কদবেলের উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে দুই ভাবেই কদবেল
খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে অনেক। কদবেলের বহু গুণ রয়েছে নিচে পাকা
কদবেলের উপকারিতা সম্পর্কে দেওয়া হলো।
- মুত্রনালীর স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
-
শরীরের ধ্বংসকৃত কোষ কে পুনর্গঠন করে।
- লিভারের সুরক্ষা রাখে।
- পেটের আলসার প্রতিরোধে সহায়ক।
- ইনফেকশন প্রতিরোধ উন্নত করে।
- মানসিক চাপ কমায়।
-
পেটের আলসার প্রতিরোধ নিরাময়ে সহায়ক।
-
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- কোলেস্টেরল কমায়।
-
হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
- দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।
কদবেলে ট্যানিন নামক বিশেষ একটি উপাদান রয়েছে যেটি শরীরের উপকার করে।
লেখক এর মন্তব্যে কদবেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
কদবেল একটু অত্যন্ত পুস্তিকার ফল, যাব স্বাস্থ্যগত উপকারিতা প্রদান করে। এটি
শরীরের হজম প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহ আরো অনেক ধরনের
রোগের ঝুঁকি কমানো সহ বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। পাকা কদবেল শক্তি যোগায়,
মানসিক চাপ কমায় এছাড়াও, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহ আর বিভিন্ন রোগের
প্রতিরোধে সহায়ক। উপকারীর দিক থেকে কদবেল মানুষ জীবনে একটি বৈচিত্র্যময় খাবার
হলেও মানুষের শারীরিক দিক দিয়ে ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন।
কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, যেমন অতিরিক্ত খারাপ হলে হজমের সমস্যা
সহ রক্তচাপ কমে যাওয়া, এবং যাদের শীতল প্রকৃতির খাবার সহ্য হয় না তাদের
জন্য এটি ক্ষতিকর হতে পারে। আবার গর্ভাবস্থায় কদ্দের খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা
অবলম্বন করবেন। যে কোন ধরনের এলার্জির প্রতীকরা দেখা দিলে এটি এড়িয়ে
চলবেন।
সবশেষে বলতে চাই, পরিমিত এবং সঠিকভাবে কদ বেল খেলে এর উপকারিতা বেশি পাওয়া
যায়। কদবেলের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো রয়েছে সেহেতু সঠিক নিয়মে কদবেল
খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যকে আরো উন্নত করতে সাহায্য করবে।
SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url