কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

 

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারি তা রয়েছে অন্যান্য ছাকে তুলনায় অনেকটা বেশি।হাজারো পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ রয়েছে এই কলমি শাক।শরীরের বিভিন্ন ভিটামিন,পুষ্টির ও খনিজ পদার্থ যেগুলো শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়,সকল উপাদানে সমৃদ্ধ রয়েছে এই কলমি শাক।

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

বিভিন্ন ধরনের রোগ এর মোকাবেলা করে এই কলমি শাক এর পুষ্টিগুণগুলো। গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত কলমি শাক খায়, তাদের হার্টের রক্তনালীগুলো সব সময় পরিষ্কার থাকে। তাহলে জেনে নিই কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

কলমি গাছের বৈশিষ্ট্যগুলো জেনে নিন


বৈশিষ্ট্যঃ
  • কলমি শাক সাধারণত পানির মধ্যে জন্মে থাকে। এছাড়াও ভেজা মাটিতে কলমি গাছ জন্মে থাকে।
  • কলমি গাছের কান্ড নরম এবং ফাঁপা হয়, ফলে পানির উপর সহজে ভেসে থাকতে পারে।
  • কলমি শাকের পাতাগুলো লম্বা হয়, চওড়া এবং সবুজ বর্ণের হয়ে থাকে।পাতাগুলো কিছুটা গোলাকার হয়ে থাকে এবং দেখতে তীরের মতো হয়। পাতাগুলো অনেকটা লম্বাটে ত্রিকোণাকার এবং ৫-১৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ এবং ২-৮ সেন্টিমিটার চওড়া হয়ে থাকে।
  • কলমি গাছে সাদা বা হালকা গোলাপি রঙের ফুল ফুটতে দেখা যায়। ফুলের গোড়ার দিকে বা বোটার দিকে বেগুনি রংয়ের হয়। যা দেখতে খুব সুন্দর এবং ফুলগুলি সাধারণত হালকা গন্ধ যুক্ত হয়।
  • কলমি গাছ জলজ উদ্ভিদ হওয়ায় এটি পানির ধারক অঞ্চলে বা জলাভূমিতে ভালোভাবে বেড়ে ওঠে। তবে এটি ভেজা মাটিতেও ভালো চাষ করা যায়।
  • কলমি গাছের ডাঁটা গুলো ২-৩ মিটার বা আরো বেশি দীর্ঘ হয়।ডাঁটার গিঁট বা পর্ব থেকে শেকর বের হয়।

কলমি শাকে কি কি ভিটামিন আছে

কলমি শাকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। সেগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ
ভিটামিন পরিমাণ (প্রতি 100 গ্রামে )
ভিটামিন A ৬৩০০ IU
ভিটামিন C ৫৫
ভিটামিন E ২.৯
ভিটামিন B1(থায়ামিন) ০.১
ভিটামিন B2 (রিবোফ্লাভিন) ০.৩ মিলিগ্রাম
ভিটামিন B3 (নায়াসিন) ১.২
ভিটামিন B6 ০.০৭

কলমি শাকের উপকারিতা গুলো

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে উপকারিতা টা ব্যাখ্যা করা হলো। কলমি শাক পুষ্টিগুণে ভরা একটি শাক।যা সুস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । কলমি শাক বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের সমৃদ্ধ যার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজম শক্তি উন্নত করে, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক। কলমি শাক সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্য হওয়ায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা সহজ হয়।কলমি শাকের নিয়মিত গ্রহণ শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সহায়ক।

এছাড়াও আরো রয়েছেঃ
  • জন্মের পর শিশু মায়ের বুকের দুগ্ধ শূন্যতায় ভুগলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ালে শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পায়।
  • কলমি শাকে রয়েছে পরিমাণে ভিটামিন সি , যেটি কিনা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • এটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ লৌহ থাকায় এটি রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্য দারুন উপকারী।
  • কলমি শাক বসন্ত রোগের প্রতিশোধক হিসেবেও কাজ করে।
  • নিয়মিত কর্মী শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
  • কলমি শাকে ক্যালসিয়াম থাকে বলে শরীরের হাড় মজবুত হতে সাহায্য করে। তাই ছোটবেলা থেকে শিশুদের কলমি শাক খাওয়ানো উচিত।
  • ক্যান্সার রোগ দূর রাখতেও কলমি শাক অনেক উপকারী।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কলমি শাকঃ বর্তমানে অনেক ছোট বয়সের চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে অনেকেরই। তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়মিত কলমি শাক খাওয়া খুবই উপকারী। চোখ ভালো রাখতে খুবই কার্যকরী উপাদান হলো কলমি শাক। এতে এমন কিছু ভিটামিন রয়েছে যেটি চোখের জন্য খুবই উপকারী। তাই চোখের সমস্যা ভালো রাখতে হলে নিজেও এবং শিশুদেরকেও নিয়মিত কলমি শাক খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে করে গোটা পরিবারের সকল সদস্যর চোখ ভালো থাকবে।

কলমি শাকের অপকারিতা গুলো

কলমি শাকে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকায় যা কিছু ক্ষেত্রে উপকারী হলেও আয়রনের অতিরিক্ত মাত্রা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই নিয়মিত কলমি শাক খাওয়া কিছু কিছু রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে যারা হেমোক্রোমাইটোসিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে কলমি শাক পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। কলমি শাক অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হলে পেটের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে ডায়রিয়া জনিত রোগ বা ডায়রিয়া হতে পারে। তাই পরিমাণে খাওয়া উচিত সবারই।

কলমি শাকে অক্সালেট এর মাত্রা বেশি থাকে যা কিডনির সমস্যা, বিশেষ করে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। যারা কিডনিতে পাথর রয়েছে বা ভুগছেন তারা অবশ্যই কলমি শাক খুবই কম পরিমাণে খাবেন। কলমি শাক জলাশয় বা জলস পরিবেশে জন্মায় তাই এটি দূষিত জলাশয় চাষ করা হয়। তাই এতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ, ভারী ধাতু বা প্যাথোজেন থাকতে পারে। যার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই কর্মী শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সবকিছু জেনে নেওয়ার পর এটির ব্যবহার করা উচিত।

কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে নাকি কমে জানুন

কলমি শাক খেলে রক্তচাপ বা প্রেসার কমে যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যার শরীরের প্রডেমের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও কলমি শাকের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে মুখ্য ভূমিকা রাখে। যারা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী হতে পারে। তবে কলমি শাক একটি নিয়মের মধ্যে খাওয়া উচিত। স্বাভাবিক থেকে বেশি হয়ে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে নাকি কমে জানুন


কলমি শাক রক্তো চাপ কমানোর বৈশিষ্ট্য রয়েছে ঠিকই কিন্তু, যারা ইতিমধ্যে রক্তচাপ কমানোর ওষুধ গ্রহণ করছেন তাদের ক্ষেত্রে শাকটি তিরিক্ত গ্রহণ রক্তচাপ কেউ অত্যাধিক কমিয়ে দিতে পারে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ঝুঁকি কর। তাই একটি নিয়মের মধ্যে এটি ব্যবহার করা উচিত।

গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খাওয়া সাধারণত নিরাপদ ও উপকারী। কলমি শাকে ভিটামিন সি, এ এবং আয়রন সমৃদ্ধ যা গর্ভবতী মায়ের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সহায়ক। বিশেষ করে আয়রন গর্ভাবস্থায় খুবই প্রয়োজন হয়। এমনকি দেখা যায় গর্ভাবস্থায় মহিলারা আয়রন সমৃদ্ধ ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। তবে কলমি শাকে অনেক আয়রন থাকায় এই শাক গর্ভবস্থায় খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এই শাকে, যা হজম শক্তি উন্নত করে এবং গর্ভাবস্থায় সাধারণত দেখা দেওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

সতর্কতা থাকুনঃ
  1. কলমি শাকের অক্সালেট রয়েছে যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  2. কলমি শাক সাধারণত জলাশয়ে জন্মায় তাই এটি কেনার সময় নিশ্চিত হবেন যে, শাকটি দূষণমুক্ত স্থানে চাষ করা হয়েছে কিনা।
  3. দূষিত শাক খেলে গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  4. গর্ভাবস্থায় খাওয়া খুবই উপকারী তবে তার সঠিকভাবে পরিষ্কার করে এবং পরিমিত পরিমানে খাওয়া উচিত। যদি আপনার কোন নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে বা আপনি কোন সন্দেহে থাকেন, তবে অবশ্যই চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়া উচিত।
  5. এছাড়া এলার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তাই অবশ্যই পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত। যাতে করে এলার্জিজনিত সমস্যা না হয়।

কলমি শাকে এলার্জি হয় কিনা

কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা এর মধ্যে রয়েছে অপকারিতার দিক দিয়ে এলার্জি জনিত সমস্যা। কলমি শাক খাওয়ার ফলে কিছু মানুষের জন্য এটি এলার্জিজনিত হতে পারে। এলার্জি মূলত কোন ব্যক্তির ইমিউন সিস্টেমের প্রতিক্রিয়ার কারণে ঘটে । শরীরের নির্দিষ্ট খাদ্য উপাদানকে ক্ষতিকর হিসেবে চিহ্নিত করে এই সময়,ফলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায়।


এলার্জি হলেঃ
  • চুলকানি বা ফুসকুড়ির মত দেখা যেতে পারে।
  • শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে যেটি এলার্জির গুরুতর লক্ষণ।
  • এলার্জির কারণে ডায়রিয়া বা পেটের ব্যথা এছাড়াও বমি সহ পেটের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • মুখ বা গলা ফুলে যেতে পারে।
কলমি শাক খাওয়ার ফলে যদি এলার্জিজনিত সমস্যা কারো হয়, তবে সেই মুহূর্ত থেকে কলমি শাক খাওয়া বন্ধ করে দিন। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রথমবার কর্মের সাথে খাওয়ার আগে পরিমাণে কম খাওয়া এবং শরীরের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা। এক্ষেত্রে এলার্জির ঝুঁকি থাকলে গর্ভবতী নারী এবং ছোট বাচ্চাদের জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

হলুদ কলমি কি

বিবরণঃ এর পাতা সবুজ১৩ সেন্টিমিটার লম্বা। পাতা দেখতে কিছুটা পান পাতার মতো। ফুল হলুদ বর্ণের এবং পাপড়ি.৭১০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। হেমন্ত ঋতুতে এই ফুলগুলো ফোটে। ফুল ফুটলে এই লতাটি সবার দৃষ্টি তে থাকে। দুই সপ্তাহ ধরে লতায় ফুল ধরতে থাকে। 
হলুদ কলমি কি জানুন


প্রতিদিন সকালে পাপে থেকে নতুন ফুল ফোটে এবং রোধ বাড়লে ধীরে ধীরে ফুল এর পাপড়ি ঝলসে গিয়ে নেতিয়ে পড়ে। বীজ মাধ্যমে এদের বংশবিস্তার ঘটে। এই লতা সাধারণত গ্রামের পতিত জমি এবং সড়কের আশেপাশে জমে থাকে।

কলমি শাকের বিভিন্ন গুনাগুন

গুনাগুনঃ
  1. যদি কারো পড়া বের হয় তাহলে কলমে পাতা এবং একটু আদা সহ বেঁটে ফোড়া চারপাশে লাগালে ওরা গলে যাবে এবং পুঁজ বেরিয়ে সেটি ঠকিয়ে যাবে তাই এভাবে ব্যবহার করতে পারেন।
  2. পিঁপড়া,মৌমাছি কিংবা পোকামাকড় কামড়ালে কলমি শাকের পাতার ডগার রস করে লাগালে যন্ত্রণা কমে যায়।
  3. এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য হলে আখের গুড় এবং কলমি শাক একসাথে মিশে শরবত বানিয়ে সকাল বিকাল এক সপ্তাহ খেলে উপকার পেতে পারেন। আমাশয় হলেও এ শরবত কাজ করে তাই ব্যবহার করতে পারেন।
  4. গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে পানি আসে তাই কলমি শাক বেশি করে রসুন দিয়ে ভেজে তিন সপ্তাহ খেলে পানি কমে যায় অনেক ক্ষেত্রেই।

কলমি দিয়ে মজাদার রেসিপি

বর্তমানে মানুষ প্রতিটি খাবার কে সুস্বাদু করে গ্রহণ করছে। একটি উপাদানকে বিভিন্ন রকমের খাবারের স্বাদ দিয়ে থাকছেন। একটি উপাদানকে বিভিন্ন ধরনের মসলার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করছে এবং খাবারের নাম দিচ্ছে বিভিন্ন রকমের।তার মধ্যে রয়েছে কলমি এমন একটি খাবার পুষ্টিগুণে ভরপুর। এখন বিভিন্ন খাবার হোটেলে এই কলমি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন নামের খাবার তৈরি করা হচ্ছে। নিচে কলমি দিয়ে তৈরি কিছু খাবারের নাম দেওয়া হলঃ

  1. কলমি শাকের ভাজি।
  2. কলমি শাকের ঘন্ট ।
  3. কলমি শাকের সুপ।
  4. কলমি শাকের পাকোড়া।
  5. কলমি শাকের বড়া।
  6. বড়ি দিয়ে কলমি শাকের ভাজি।
  7. কলমি শাকের চচ্চড়ি।
  8. সরষে দিয়ে কলমি শাকের ঝোল।
এছাড়াও আরো অনেক ধরনের রেসিপি আছে যেগুলো অনেকেই কলমি দিয়ে তৈরি করে থাকে।

লেখকের মন্তব্যে কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

কলমি শাক একটি পুষ্টিকর এবং সহজলভ্য সবজি। কলমি শাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল এবং আঁশ, যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়ক। এছাড়াও কলমি শাকর চাপ নিয়ন্ত্রণ , হৃদরোগের প্রতিরোধ , এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। তবে অতিরিক্ত সেবন কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। কোন জিনিসে অতিরিক্ত ভালো নয়। একটি ভালো জিনিসও অতিরিক্ত সেবন বা ব্যবহারের ফলে সেটি ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠে।

তেমনি কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। কলমি শাকের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ক্ষতি হতে পারে বিশেষ করে যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে তাদের। উচ্চ পটাশিয়াম মাত্রা ক্ষতিকর হয়। এছাড়া কলমি শাক যদি দূষিত জলাশয় বা রাসায়নিক পদার্থ দ্বারা আক্রান্ত স্থানে জন্মে থাকে তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই নিয়মিত ও পরিমাণমতো কলমি শাক খাওয়া স্বাস্থ্য স্বাস্থ্যকর। তবে অতিরিক্ত বা অবহেলিতর্জনিত সেবন থেকে বিরত থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url