অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বহু ব্যাখা রয়েছে।ঔষধ হিসেবে ভেষজ শাস্ত্রে অর্জুন গাছের অগণিত ব্যবহার রয়েছে। বলা হয়ে থাকে যে বাড়িতে একটি অর্জুন গাছ রয়েছে সে বাড়িতে একটি সুচিকিৎসক রয়েছে। যে কিনা সব সময় সু- চিকিৎসা দিতে থাকে।
শারীরিক শক্তি ফিরিয়ে আনতে এবং মনোবল শক্তির কাজ করে অর্জুন গাছের ছাল। অর্জুন গাছের ছাল হাজার বছরের প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।নিচে বিস্তারিত দেওয়া হল অর্জুন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অর্জুন গাছের ছাল এর ভূমিকা

শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে অর্জুন গাছের ছাল। অর্জুন গাছের ছালের রস শরীরের মধ্যে গিয়ে শরীরের সকল রক্তনালী গুলকে প্রসারিত করতে সাহায্য করে ফলে , রক্তচাপ স্বাভাবিক হতে থাকে। আসলে এই গাছের বাকল লিপিড ট্রাইগ্লিসারাইড স্তর হ্রাস করার মাধ্যমে কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে। এই এজন্য অর্জুন গাছের ছালের ১ চা চামচ পাউডার এবং সাথে ২ গ্লাস পানি অর্ধেক রয়ে যাওয়া পর্যন্ত গরম করে ঠকালেও সন্ধ্যায় পান করলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

যাদের উচ্চ রক্তচাপ তারা নিয়মিত ভাবে অর্জুন গাছের ছাল এর পাউডার প্রতিদিন দুই গ্লাস পানির সাথে খেতে থাকলে তাদের যে উচ্চ রক্তচাপ সেটা অনেকটা উপশম হবে। এবং তাদের শরীরের বন্ধ হয়ে থাকা যে ধমনী ছিল তা আস্তে আস্তে খুলতে থাকবে। কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস পাবে। 

হৃদ রোগের প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় অর্জুন গাছের ছাল

অর্জুন গাছের ছাল হার্টের জন্য এক ধরনের প্রাকৃতিক টনিক হিসেবে কাজ করে। এটি হার্টের পেশুগুলোকে শক্তিশালী করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। অর্জুন গাছের ছালে কিউমারিন, আর্জুনলিক অ্যাসিড, ট্যানিন থাকে যার রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। অর্জুন গাছের ছাল হৃদপিন্ডের ক্ষমতা বাড়ায়। অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খেলে হৃদপিন্ডের বেশি শক্তিশালী হয়। অর্জুন গাছের ছাল ধমনীর দেয়াল শক্ত করে এবং ধমনীর ক্ষতি থেকে সুরক্ষা করে।ফলে ধমনীর সুরক্ষিত থাকে।

স্ট্রেস খাওয়াতে অর্জুন গাছের ভূমিকা রয়েছে অসাধারণ। অর্জুনের ছাল স্নায়ুতন্ত্র কে শীতল রাখতে সহায়তা করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সহায়ক ফলে ভিদ রোগের ঝুকি কমে যায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিশিষ্ট এই অর্জুন গাছের ছাল। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে  যা, শরীর থেকে free radicals অপসারণ করার মাধ্যমে হৃদরোগকে সুরক্ষিত করে। অর্জুন গাছের ছাল হৃদরোগের চিকিৎসায় অনেক আগে থেকে প্রচলিত। এখন বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে যে অর্জুন গাছের রোগ অনেক উপকারী।

অর্জুন গাছের ছাল হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে

হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতেঃ অর্জুন গাছের ছাল হাড়ের জন্য খুবই উপকারী কারণ এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ থাকে। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে এবং মজবুত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহারে অস্টিওপরোসিস এবং অস্টিও আর্থাইটিসের মতো হাড়ের সমস্যা গুলি প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। এছাড়াও এটি হারের মধ্যকার মাইক্রো মিনারেল গুলোর ভারসাম্য বজায় রাখতে সহযোগিতা করে। যা হাড়ের গঠন মজবুত রাখে। এবং হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেরঃ অ্যান্টি ডায়াবেটিক্স বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ এই অর্জুন গাছের ছাল। রক্তের শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এটি। প্যানক্রিয়াসের বিটা করছে কার্যকারিতা উন্নত করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় পাওয়া গেছে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহারের ফলে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমতে পারে। যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ব্যাপকভাবে উপকারী। এছাড়াও অর্জুন গাছের ছাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে। যা ডায়াবেটিসের কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ কমাতে সাহায্য করে।

কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষায় অর্জুন গাছের ছালের ভূমিকা

প্রাচীনকাল থেকে অর্জুন গাছের ছাল কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য কাজ করে আসছে। এটি কেবল হৃদযন্ত্রের জন্য নয় কিডনির জন্য বেশ ভালো কাজ করে। অর্জুন গাছের ছাল কিডনি পাথরের গঠন প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। যা কিডনি পাথরের জন্মানোর সম্ভাবনা অনেক কমে যায়। কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে অর্জুনের ছাল। ফলে শরীর থেকে ক্রিয়াটিনিন ও ইউরিয়া দূরীকরণ প্রক্রিয়ায় ত্বরান্বিত হয়। উচ্চ রক্তচাপ কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে কারণ এটি কিডনির রক্তনালী গুলোকে চাপ সৃষ্টি করে।



অর্জুন গাছের ছাল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্জুন গাছের ছাল অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুন রয়েছে, জাকির নিয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়ক। এটি প্রস্রাবের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এবং কিডনিকে সংক্রমণ মুক্ত করতে সহায়তা করে।

অর্জুন গাছের ছাল রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে কিভাবে

যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য অর্জুন গাছের ছাল বেশ উপকারী একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ। এর ভেতরে থাকা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ থাকায় এটি রক্তস্বল্পতার রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। অর্জুনের সালে বিভিন্ন উপাদান রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সহায়তা করে যা শরীরের টিস্যু গুলোতে বেশি অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে। এতে থাকা আইরন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে ফলে, রক্তস্বল্পতা কমতে অনেক কার্যকরী একটি উপকরণ।

রক্তস্বল্পতার কারণে প্রায়শই মানুষ হৃদরোগের কারণে মারা যাচ্ছে। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি ক্ষমতা সাহায্য করে যার ফলে এটি রক্তস্বল্প নিরাময়ে সহায়ক। অর্জুন এর ছাল বহু বছর ধরে রক্তস্বল্পতা নিরাময় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এরে রক্তের গুণগত মান এবং পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এই কারণে অর্জুন গাছের ছাল নিয়মিত সেবন রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ এবং নিরাময়ের সাহায্য করে। তবে কোন হের্বাল সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কাশির উপশম ও মেদ দূর করতে অর্জুন গাছের ছাল

কাশির উপশম দূর করতেঃ কফ নিরোধক হিসেবে অর্জুন গাছের সাল খুবই উপকারী। তে জমে থাকা অতিরিক্ত কফ দূর করতে সহায়ক এবং শ্বাসকষ্টের রোগীদের শ্বাসকষ্ট উপশম ঘটাতে পারে। অর্জুন গাছের ছাল সেবন শুষ্ক কাশি এবং বুকে জমে থাকা কফ থাকার কারণে হও আকাশের ক্ষেত্রে উপকারী হতে পারে। অর্জুনের ছাল এর গোড়া বা এর তেল মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়। অর্জনের ছালের গোড়া ১চা চামচ, ১চা চামচ মধু এবং কুসুম গরম পানির সাথে মিশে ২-৩ বার সেবন করলে আরাম পাওয়া যায়।

মেদ দূর করার জন্যঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে অর্জুন গাছের ছালের গোড়া গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে মেদ কমানো অনেক সহজ হয়। যাদের অতিরিক্ত মেয়েদের রয়েছে মেয়ের জনিত সমস্যায় ভুগছে প্রতিনিয়ত তারা সকাল এবং সন্ধ্যায় অর্জুন গাছের ঝাল এর মিশ্রণ পান করলে মেদ অনেকটুকু নিয়ন্ত্রণে আসে। এটি অত দ্রুত কাজ করে না তবে মাত্র এক মাসের মধ্যেই আপনি আপনার শরীরের অবস্থান নিজে বুঝতে পারবেন।

ত্বক পরিচর্যায় ভূমিকা পালন করে অর্জুন গাছের ছাল

প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর রয়েছে অর্জুন গাছের ছাল। ত্বকের পরিচর্যায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে এই অর্জনের ছাল। অর্জুন গাছের ছাল থাকা প্রবাহ বিরোধী উপাদান ত্বকের প্রদাহ, লালচে ভাব ও চুলকানি কমাতে সহায়তা করে। যেকোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে এটি খুবই কার্যকর। অর্জুন গাছের ছাল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে, যা ত্বক নরম্‌ মসৃণ ও সুন্দর করে তোলে। ত্বকে শুষ্কতা কমাতে এবং ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে এই অর্জুন গাছের ছাল।

অর্জুন গাছের ছাল দিয়ে উপকরণ তৈরি করুনঃ
উপকরণঃ 
  • অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো ১ চা চামচ
  • মধু ১ চা চামচ
পদ্ধতিঃ
  • একটি পাত্রে অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো এবং মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
  • টেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন।
  • সেই পেস্ট টি ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

অর্জুনের ছাল এন্টি ব্যাকটেরিয়া সমৃদ্ধ গুণাবলী তাই ব্রণের জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার করে এবং নতুন ব্রণ তৈরি হওয়া সম্ভাবনা কমায়। ত্বকের ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে। অর্জুন গাছের ছাল থেকে তৈরি প্যাক বা তেল নিয়মিত ব্যবহারের ত্বক সুস্থ উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে। সরাসরি প্রাকৃতিক ভাবে ব্যবহার করার জন্য, অর্জুন গাছের ছাল, বাদাম, হলুদ এবং কর্পূর সমান মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকের উপর প্রয়োগ করলে মুখের সমস্ত রেখা দূর হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়।

প্রস্রাবের জ্বালা ও সুন্দর চুলের পরিচর্যায়

প্রস্রাবের জ্বালাঃ যাদের প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া করে তারা অর্জুন গাছের ছাল দিয়ে তৈরি পানি নিয়মিত খাওয়ার ফলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ার দূর হয়। এজন্য, অর্জুন গাছের ছাল সংগ্রহ করে সেটাকে পেস্ট করে নিন এরপরে দুই কাপ পানির মধ্যে ফোটাতে থাকুন। অনেকক্ষণ ফোটানোর পর যখন পানি অর্ধেক হয়ে আসবে আপনি লক্ষ্য করবেন তখন সেটি একটি ঠান্ডা স্থানে রেখে দেন। যাতে অর্জুনের ছালের পানি ঠান্ডা হয়ে যায় এবং পান করার উপযুক্ত হয়। এটি নিয়মিত একবার করে সেবন করুন। ফলে প্রসাবে জ্বালা দূর হবে।

সুন্দর চুল পরিচর্যাঃ চুলকে বৃদ্ধি করতে অর্জুন গাছের ছালের ভূমিকা রয়েছে অনেক। অর্জুন গাছের ছাল পেস্ট করে ভিজিয়ে রেখে এটি চুলে লাগালে চুল মজবুত হয়।
উপকরণঃ
  • অর্জুন গাছের শুকনা ছাল
  • নারীকেলের তেল বা অলিভ অয়েল
পদ্ধতিঃ
  • অর্জন গাছের শুকনা ছাল গুড়ো করে নিন।
  • একটি পাত্রে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করুন।
  • তেলের মধ্যেও অর্জুন ছালের গুড়া মিশে নিন এবং কিছুক্ষণ পর পর নাড়াতে থাকু...
  • তেলটি ঠান্ডা হলে থেকে একটি বোতলে সংরক্ষণ করুন।
  • প্রতিভা শ্যাম্পু করার আগে এই তেল চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ঘন্টা রেখে দেন।
  • তারপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

অর্জুন গাছের ছালের অপকারিতা গুলো

  1. অর্জুন গাছের ছাল উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক হলো এটি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে নিম্ন রক্তচাপের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। যারা প্রাথমিকভাবে নিম্ন রক্তচাপে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে এটি বিপদজনক।
  2. গর্ভাবস্থায় অর্জুন গাছের ছাল সেবন করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এটি গর্ভে শিশুর উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই গর্ভবতী মহিলাদের এটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত
  3. অতিরিক্ত পরিমাণে অর্জুন গাছের ছাল সেবন করলে তা হজমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। যেমন বমি ভাব, ডায়রিয়া্‌, পেট ব্যাথা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  4. কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অর্জন গাছের ছাল ত্বকের এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা যায়। তাই এটিকে লাগানো থেকে বিরত থাকুন যাদের এলার্জি জনিত সমস্যা রয়েছে।
  5. আর অবশ্যই ওর জন্য গাছের ছাল বিভিন্ন ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। তাই বিশেষ করে যে সব ওষুধ হার্টের জন্য ব্যবহৃত হয়। তাদের সাথে এটি পারস্পরিক ক্রিয়া করে বিপদ তৈরি হতে পারে তাই যে কোন ওষুধের সাথে এটি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করা উচিত।

অর্জুন গাছ সম্পর্কে লেখক এর মতামত

অর্জুন গাছের ছাল একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে স্বাস্থ্য রক্ষায় বাহুল কার্যকারী হল এর সঠিক ব্যবহার জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিমাণে এর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী এর ব্যবহার করলে এটি শরীরের বিভিন্ন সমস্যার দূর করতে সহায়ক হবে। তবে যেকোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা এর সঠিকভাবে এবং সচেতনতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। তাই এর উপকারিতা যেমন রয়েছে অপকারিতাও রয়েছে। এর অপকারিতা ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিয়ে এটি ব্যবহার করা উত্তম।

স্বাস্থ্যের সমস্যা অনুযায়ী এর সঠিক মাত্রা এবং প্রয়োগ পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য অবশ্যই একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। অর্জুন গাছের ছাল অনেক উপকারী তবে এর বেশি ব্যবহার ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই মাত্র অনুযায়ী ব্যবহার করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url