বদরের প্রান্তে অংশগ্রহণকৃত ৩১৩ জন সাহাবীর নাম

৩১৩ জন সাহাবীর নাম গুলো আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন। কারণ যে সাহাবীগণের জন্য বদরে প্রান্তে যুদ্ধের ফলে, আমরা এই শান্তিপূর্ণ ইসলাম ধর্ম পেয়েছি। বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীগণ দের নাম  ইতিহাসে বর্ণিত আছে। রাসূল (সাঃ) নেতৃত্বে বদরের প্রান্তে যুদ্ধ হয় কাফেরদের ১০০০ সৈন্যদের সাথে।

বদরের প্রান্তে অংশগ্রহণকৃত ৩১৩ জন সাহাবীর নাম

আমাদের সেই প্রিয় নবীর নেতৃত্বে বদরের প্রান্তের যে যুদ্ধ হয় সে যুদ্ধে নবীর সাহাবী ছিল মাত্র ৩১৩ জন। কাফেরদের সৈন্যর তুলনায় অনেক কম ছিল নবীর সাহাবীগণ। তবুও আল্লাহতালার অশেষ মেহেরবানীতে নবী সাহাবীগণ বিজয় লাভ করে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক সেই সাহাবীগণ দের নাম।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বদরের প্রান্তে অংশগ্রহণকৃত ৩১৩ জন সাহাবীর নাম

বদরের প্রান্তের যুদ্ধ কবে সংঘটিত হয়

বহু যুগ আগে যখন আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জীবিত ছিলেন তখন আমাদের নবী ৩১৩ জন সাহাবীকে নিয়ে, কাফেরদের বিপক্ষে, বদরের প্রান্তে যুদ্ধ করেছিলেন। এবং বিজয় লাভ করে ছিলেন। যদি আপনি ৩১৩ জন সাহাবীর নাম জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে অবশ্যই পড়বেন। আমরা এই আর্টিকেলে দুই ভাগে বিভক্ত করে ৩১৩ জন সাহাবীর নাম উল্লেখ করেছি। একটি মহাজীর দের নাম হিসেবে এবং আরেকটি আনসার বাহিনীদের নাম হিসেবে।

বদরের যুদ্ধ ে২ই হিজরী ১৭ই রমজান এর দিনে মদিনার মুসলিম এবং মক্কার কুরাইশ এর মধ্যে বদরের প্রান্তে যুদ্ধ ঘোষিত হয়। বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ কি ৩১৩ জন সাহাবীর নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।

সাহাবী কারা বা সাহাবী বলতে কি বুঝি

সাহাবী বলতে বোঝায় আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে যারা সরাসরি সামনাসামনি দেখেছেন, আমাদের নবীর সমস্ত হুকুম আহকাম মেনে চলেছেন, আমাদের নবীকে সব বিষয়ে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন এবং সব সময় নবীর কাছাকাছি যারা থেকেছেন তাদেরকেই মূলত সাহাবী বলা হয়। অর্থাৎ যার নবীকে সরাসরি দেখেছেন নবীর সাথে কথা বলেছেন তারাই মূলত সাহাবী। আমাদের নবীর আমলে অনেক সাহাবী ছিল। তার মধ্যে আবার আমাদের নবীর কিছু প্রিয় সাহাবীও ছিলেন। 


সেসব সাহাবীগণদের কে নবী অন্য সব সাহাবীদের থেকে আরও বেশি ভালবাসতেন। নবীর হাতে বায়াত করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়াও নবী বদরের প্রান্তে ৩১৩ জন সাহাবীকে নিয়ে বদরের যুদ্ধে জয়লাভ করেন। সেই ৩১৩ জন সাহাবী ছিল সৌভাগ্যবান। নিচে দুই ভাগে বদরের প্রান্তে অংশগ্রহণকৃত  ৩১৩ জন সাহাবীর নাম উল্লেখ করা হলো।

বদর প্রান্তের ৮০ জন মুহাজির দের নাম

সাহাবিদের নাম সাহাবিদের নাম সাহাবিদের নাম
হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ) হযরত ওসমান গনি (রাঃ)
হযরত আবুল কাবশাহ সুলাইম (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাজউন (রাঃ) হযরত উমায়ের বিন আবীওয়াক্কাস (রাঃ)
হযরত হুসাইন বিন হারেছ (রাঃ) হযরত আবু মারসাদ গানাভি (রাঃ) হযরত মিকদাদ বিন আমর (রাঃ)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন জাহাশ (রাঃ) হযরত আউফ বিন আসাসা (রাঃ) হযরত নোমান বিন আসার বিন হারেস (রাঃ)
হযরত আবু সিনান (রাঃ) হযরত উক্কাশা বিন মিহাসান (রাঃ) হযরত মিহজা' মাওলা ওমর ফারুক (রাঃ)
হযরত মালেক বিন আমর (রাঃ) হযরত সিনান বিন আবু সিনান (রাঃ) হযরত ওহাব বিন আবু সারাহ (রাঃ)
হযরত হাতে বিন আবিবালতাআহ (রাঃ) হযরত মিদলাজ বিন আমর (রাঃ) হযরত ওসমান ইবনে আফফান (রাঃ)
হযরত সা'দ বিন আবু উবায়দা (রাঃ) হযরত সা'দ বিন খাওলা (রাঃ) হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)
হযরত যুশ শিমালাইন (রাঃ) হযরত উমায়ের বিন আবিওয়াক্কাস (রাঃ) হযরত আলী ইবনে আল কামেল (রাঃ)
হযরত তালহা বিন ওবায়দুল্লাহ (রাঃ) হযরত খাব্বাব ইবনুল আরাত (রাঃ) হযরত খাব্বাব ইবনুল মুনযির (রাঃ)
হযরত মুআত্তিব বিন আউফ (রাঃ) আবু সালমা বিন আব্দুল আসাদ (রাঃ) হযরত হযরত খাব্বাব মাওলা উতবা বিন গাযওয়ান (রাঃ)
হযরত আমের বিন রাবিয়াহ (রাঃ) হযরত যায়েদ ইবনে খাত্তাব (রাঃ) হযরত কুদামা বিন মাজউন (রাঃ)
হযরত সাঈদ বিন জায়েদ (রাঃ) হযরত আমের বিন হারিশ (রাঃ) হযরত খালেদ বিন বুকাইর (রাঃ)
হযরত মা'মার বিন হারেছ (রাঃ) হযরত ওসমান বিন মাজউন (রাঃ) হযরত ওয়াকেদ বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ)
হযরত আমর বিন আবু সারাহ (রাঃ) হযরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রাঃ) হযরত আকরাম বিন আবুল আকরাম (রাঃ)
হযরত যায়েদ বিন হারেছা (রাঃ) হযরত সাকাফ বিন আমর (রাঃ) হযরত আমের বিন ফুহায়রা (রাঃ)
হযরত তোফায়েল বিন হারেছা হযরত আলী মোর্তজা (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রাঃ)
হযরত সুহইব দিন সিনান (রাঃ) হযরত মারসাদ বিন আবু মারসাদ (রাঃ) হযরত মাসউদ বিন সা'দ (রাঃ)
হযরত ইয়াজিদ বিন রুকাইশ (রাঃ) হযরত আবু হুযায়ফা (রাঃ) হযরত উতবা বিন গাযওয়ান (রাঃ)
হযরত হাতে বিন আমর (রাঃ) হযরত গুজা' বিন ওহাব (রাঃ) হযরত রাবিয়া বিন আকরাম (রাঃ)
হযরত জুবায়ের বিন আউওয়াম (রাঃ) হযরত মুহরিয বিন নাজাল (রাঃ) হযরত ওতবা বিন রাবিয়া (রাঃ)
হযরত আঃ রহমান বিন আউফ (রাঃ) হযরত সোয়ায়েদ ইবনে মাখসি (রাঃ) হযরত সালেম (রাঃ)
হযরত মাসউদ বিন রাবিয়া (রাঃ) হযরত মুসাব বিন উমায়ের (রাঃ) হযরত ওবায়দা বিন হারেস (রাঃ)
হযরত শোয়াইব বিন সিনান (রাঃ) হযরত মিক্বদাদ বিন আমর (রাঃ) হযরত হামজা (রাঃ)
হযরত আম্বার বিন ইয়াছির (রাঃ) হযরত বেলাল বিন রব্বাহ (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাখ্রামা (রাঃ)
হযরত খাওলা বিন আবু খাওলা (রাঃ) হযরত শাম্মাস বিন ওসমান (রাঃ) হযরত সাইব বিন উসমান (রাঃ)
হযরত ইয়ায বিন গানাম (রাঃ) হযরত আমর বিন সুরাকা (রাঃ) হযরত আমের বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ)


বদর প্রান্তের ২৩৩ জন আনসার বাহিনীদের নাম


আনসার সাহাবীদের নাম আনসার সাহাবীদের নাম আনসার সাহাবীদের নাম
হযরত সা'দ বিন মুআজ (রাঃ) হযরত হারেস বিন কায়েস (রাঃ) হযরত হারেসা বিন্ নোমান (রাঃ)
হযরত আমর বিন মুআজ (রাঃ) হযরত সা'দ বিন উসমান(রাঃ) হযরত সোলায়েম বিন কয়েস (রাঃ)
হযরত হারেস বিন আউস (রাঃ) হযরত উকবা বিন উসমান (রাঃ) হযরত সুহাইল বিন কয়েস (রাঃ)
হযরত হারেস বিন আনাস (রাঃ) হযরত যাকওয়ান বিন আব্দে কায়েস (রাঃ) হযরত আদি বিন আবু দাদ্দাহ (রাঃ)
হযরত আব্বাদ বিন বিশর (রাঃ) হযরত মুআজ বিন মায়েস (রাঃ) হযরত মাসউদ বিন আউস (রাঃ)
হযরত সালমা বিন সাবেত (রাঃ) হযরত মাসউদ বিন সা'দ (রাঃ) হযরত আবু খুজাইমাশ বিন আউস  (রাঃ)
হযরত হারেস বিন খাযামা (রাঃ) হযরত রিফাআ বিন রাফে (রাঃ) হযরত রাফে' বিন হারেস  (রাঃ)
হযরত মুহাম্মাদ বিন মাসলামা (রাঃ) হযরত খাল্লাদ বিন রাফে (রাঃ) হযরত নোমান বিন আমর (রাঃ)
হযরত উবায়েদ বিন আসলাম (রাঃ) হযরত ওবায়েদ বিন যায়েদ (রাঃ) হযরত মুআওয়াজ বিন হারেস (রাঃ)
হযরত উবায়েত বিন তাইয়িহান (রাঃ) হযরত জিয়াদ বিন লাবিদ (রাঃ) হযরত আমের বিন মুখাল্লাদ (রাঃ)
হযরত কাতাদা বিন নোমান (রাঃ) হযরত ফারওয়াহ বিন আমর(রাঃ) হযরত উসাইমা আশযায়ী (রাঃ)
হযরত উবায়েত নবিন আউস (রাঃ) হযরত আতিয়া বিন নুওয়াইরা (রাঃ) হযরত ওদিয়াআহ বিন আমর (রাঃ)
হযরত নসর বিন হারেস (রাঃ) হযরত খলিফা বিন আদি (রাঃ) হযরত আবুল হামরা মাওলার (রাঃ)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন তারেক (রাঃ) হযরত উমার বিন হাযম (রাঃ) হযরত সালাবা বিন আমর (রাঃ)
হযরত আবু আবস বিন জব্র (রাঃ) হযরত সুরাকা বিন কা'ব (রাঃ) হযরত সুহাইল বিন আতিক (রাঃ)
হযরত আবু বুরদাহ হানি বিন নিয়ান (রাঃ) হযরত কয়েস বিন মুহসান (রাঃ) হযরত হারেস বিন আতিক (রাঃ)
হযরত আসেম বিন সাবেত (রাঃ) হযরত মুআজ বিন জাবাল (রাঃ) হযরত হারেস বিন ছিন্মাহ(রাঃ)
হযরত মুআত্তিব বিন কুশাইর (রাঃ) হযরত আমর বিন তাল্ক (রাঃ) হযরত উবাই বিন কাব (রাঃ)
হযরত আমর বিন মাবাদ (রাঃ) হযরত উবাদা বিন কয়েস (রাঃ) হযরত আনাস বিন মুয়াজ (রাঃ)
হযরত সাহল বিন হুনাইফ (রাঃ) হযরত আবুল ইয়াসার বিন আমর (রাঃ) হযরত আউস বিন সামেত (রাঃ)
হযরত মুবাশশির বিন আব্দুল মুনযির (রাঃ) হযরত সালাবা বিন আনাবা (রাঃ) হযরত আবু তালহা জায়েদ বিন ছাহল (রাঃ)
হযরত রিফাআ বিন আ. মুনযির (রাঃ) হযরত (রাঃ) হযরত হারেসা বিন সুরাকা (রাঃ)
হযরত রিফাআ বিন আ. মুনযির (রাঃ) হযরত আব্স বিন আমের (রাঃ) হযরত আমর বিন সা'লাবা (রাঃ)
হযরত আবু সাবরা কুরাইশী (রাঃ) হযরত আস্তারা মাওলানা বনিসুলাইম (রাঃ) হযরত সাবেত বিন খানছা (রাঃ)
হযরত খুনাইস বিন হুজাফা (রাঃ) হযরত কুতবা বিন আমের (রাঃ) হযরত আমের বিন উমাইয়াহ (রাঃ)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন সালামা (রাঃ) হযরত সুলাইম বিন আমর (রাঃ) হযরত মুহিয বিন আমের (রাঃ)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন সুহাইল (রাঃ) হযরত খালেদ বিন কায়েস (রাঃ) হযরত সাওয়াদ বিন গাযিয়াহ (রাঃ)
হযরত সাদ বিন মুআয (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্দে মানাফ (রাঃ) হযরত আবু জায়েদ কয়েস বিন সা'কান (রাঃ)
হযরত উমায়ের বিন আউফ (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন কায়েস খালেদ (রাঃ) হযরত আবুল আওয়ার বিন হারের (রাঃ)
হযরত আমের বিন সালামা (রাঃ) হযরত মা'বাদ বিন কায়েস (রাঃ) হযরত হারাম বিন মিলহান (রাঃ)
হযরত ছফওয়ান বিন ওহাব (রাঃ) হযরত আসওয়াদ বিন যুরাইক (রাঃ) হযরত কয়েস বিন আবি সা'সা (রাঃ)
হযরত ইয়ায বুকাইর (রাঃ) হযরত জহহাক বিন হারেস (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন কাব (রাঃ)
হযরত সাদ বিন ওবায়েদ (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন নোমান (রাঃ) হযরত উসাইমা আসাদী (রাঃ)
হযরত উওয়াইম বিন সায়েদাহ (রাঃ) হযরত ইয়াজিদ বিন মুনযির (রাঃ) হযরত হযরত দাউদ ওমাইর (রাঃ)
হযরত রাফে বিন আনজাদা (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন হুমায়ির (রাঃ) হযরত সুরাকা বিন আমর (রাঃ)
হযরত উবায়েদ বিন আবুউবইয়েদ (রাঃ) হযরত খারেজা বিন হিময়ার (রাঃ) হযরত কয়েস বিন মাখলাদ (রাঃ)
হযরত সালাবা বিন হাতেব (রাঃ) হযরত জাব্বার বিন সাখর (রাঃ) হযরত নোমান বিন আব্দে আমর (রাঃ)
হযরত আবু লুবাবাহ আব্দুল মুনযির (রাঃ) হযরত উতবা বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হযরত জহহাক বিন আব্দে আমর (রাঃ)
হযরত হারেস বিন হাতেব(রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন জাদ (রাঃ) হযরত সুলাইম বিন হারেশ (রাঃ)
হযরত আসেম বিন আদি (রাঃ) হযরত সিনান বিন সাইফী (রাঃ) হযরত জাবির বিন খালিদ (রাঃ)
হযরত আনাস বিন কাতাদা (রাঃ) হযরত তোফায়েল বিন নোমান (রাঃ) হযরতসাদ বিন সুহাইল (রাঃ)
হযরত মাআন বিন আদি (রাঃ) হযরত তোফায়েল বিন মালেক (রাঃ) হযরত কাব বিন জায়েদ (রাঃ)
হযরত সাতেব বিন আকরাম(রাঃ) হযরত বিশর বিন বারা (রাঃ) হযরত বুজাইর বিন আমি বুজাইয়ের(রাঃ)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন সাহল (রাঃ) হযরত সাবেত বিন খালেদ (রাঃ) হযরত ইতবান বিন মালেক (রাঃ)
হযরত জায়েদ বিন আসলাম (রাঃ) হযরত উকবাহ বিন আমের (রাঃ) হযরত মুলাইল বিন ওবারাহ (রাঃ)
হযরত রিবী বিন রাফে (রাঃ) হযরত খাল্লাদ বিন আমর (রাঃ) হযরত হেলাল বিন মুআল্লাহ (রাঃ)
হযরত সাদ বিন জায়েদ (রাঃ) হযরত মুআউওয়াজ বিন আমর (রাঃ) হযরত আনাছাহ আল হানাসী (রাঃ)
হযরত সালমা বিন সালমা (রাঃ) হযরত মুআজ বিন আমর (রাঃ) হযরত বাহহাস বিন সালাবা (রাঃ)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) হযরত জাব্র বিন আতিক (রাঃ)
হযরত আসেম বিন কায়েস(রাঃ) হযরত উমায়ের বিন হুমাম (রাঃ) হযরত আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ)
হযরত আবুস সয়াহ (রাঃ) হযরত উমায়ের বিন হারাম (রাঃ) হযরত খিরাস ইবনুস সিম্মাহ (রাঃ)
হযরত আবু হাব্বাহ বিন আমর(রাঃ) হযরত হুবাব বিনা মুনযির(রাঃ) হযরত খুরাইম বিন ফাতেক (রাঃ)
হযরত হারেস বিন নোমান(রাঃ) হযরত জিয়াদ বিন আমর (রাঃ) হযরত খুবাইম বিন ইছাক (রাঃ)
হযরত খাওয়াত বিন জুবাইর (রাঃ) হযরত জমরাহ বিন আমর (রাঃ) হযরত খুবাইম বিন ফাতেক (রাঃ)
হযরত মুনযির বিন মুহাম্মদ (রাঃ) হযরতকাব বিন জাম্বায (রাঃ) হযরত খুবাইম বিন আদি (রাঃ)
হযরত আবু দুজানা (রাঃ) হযরত আবদে রাব্বিহি (রাঃ) হযরত খিদাশ বিন কাতাদা (রাঃ)
হযরতসা'দ বিন খায়সামা (রাঃ) হযরত মালেক বিন মাসউদ (রাঃ) হযরত খালেদ বিন সুওয়াইদ (রাঃ)
হযরতমুনযির বিন কুদামা (রাঃ) হযরত আবু উসায়েদ মালেক (রাঃ) হযরত রাফে বিন আল মুয়াল্লা(রাঃ)
হযরত হারেস বিন আরফাজা (রাঃ) হযরত মুনযির বিন আমর (রাঃ) হযরত রুখায়লা বিন সালাবা (রাঃ)
হযরত মালেক বিন কুদামা (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ সালাবা (রাঃ) হযরত সাব্রা বিন ফাতেক (রাঃ)
হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হযরত নওফল বিন সা'লাবা (রাঃ) হযরত সুহাইল বিন রাফে (রাঃ)
হযরত মালেক বিন নুমায়লা (রাঃ) হযরত ফাকেহ বিন বিশর (রাঃ) হযরত সুওয়াইবিত বিন হারমালা (রাঃ)
হযরত খারেজা দিন জায়েদ (রাঃ) হযরত আমর বিন কায়েস (রাঃ) হযরত তুলাইব বিন উমাইর (রাঃ)
হযরত সা'দ বিন রবী (রাঃ) হযরত ওয়ারাকা বিন ইয়াস (রাঃ) হযরত উবাদা বিন খাশখাশ কুজায়ী (রাঃ)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা (রাঃ) হযরত রবী বিন ইয়াস (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের বিন নোমান (রাঃ)
হযরত বসির বিন সা'দ (রাঃ) হযরত মালেক বিন দুখশুম (রাঃ) হযরত আবু সালামা বিন আব্দুল আসাদ (রাঃ)
হযরত সিমাক বিন সা'দ (রাঃ) হযরত সাবেত বিন হায্যাল (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবস (রাঃ)
হযরত সুবাঈ বিন কায়েস (রাঃ) হযরত নোমান বিন মালেক (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন উনায়েছ (রাঃ)
হযরত আব্বাস বিনকায়েস (রাঃ) হযরত উবাদা বিন সামেত (রাঃ) হযরত উবায়েদ বিন সালাবা (রাঃ)
হযরত ইয়াজিদ বিন হারেস (রাঃ) হযরত নওফল বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ) হযরত উমায়ের বিন নিয়ার (রাঃ)
হযরত খোবায়ের বিন আসাফ (রাঃ) হযরত আমের বিন বুকাির (রাঃ) হযরত মালেক বিন আবীখাওলা (রাঃ)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন কায়েস (রাঃ) হযরতমা'বাদ বিন আব্বাদ (রাঃ) হযরত মালেক বিন কুদামা (রাঃ)
হযরত হারিস বিন জিয়াদ (রাঃ) হযরত উসায়ের বিন আসর (রাঃ) হযরত মুরারা বিন রবী (রাঃ)
হযরত তামিম বিন ইয়ু'আর (রাঃ) হযরত রিফাআহ বিন আমর (রাঃ) হযরত মাসউদ বিন খালদাহ  (রাঃ)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমায়ের (রাঃ) হযরত উকবাহ দিন ওহাব (রাঃ) হযরত মুআজ বিন হারেস (রাঃ)
হযরত জায়েদ বিন মুজাইন (রাঃ) হযরত জায়েদ বিন উবায়েদ (রাঃ) হযরত মাকিল  বিন আল মুনযির (রাঃ)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন উরফুতাহ (রাঃ) হযরত আউস বিন খাওলা (রাঃ) হযরত নোমান বিন আছার বিন হারেস (রাঃ)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন রবী (রাঃ) হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল্লাহ (রাঃ)


বদরের প্রান্তে শহীদ হওয়া সাহাবীদের নাম গুলো জানুন

নিজের জীবন উৎসর্গ যদি হয় তাও আবার আল্লাহর রাস্তায়, আল্লাহর সংবিধান গঠিত করতে গিয়ে যদি নিজের জীবন উৎসর্গ হয় , আল্লাহর রাস্তায় যদি শহীদ হওয়া যায় তাহলে এর থেকে আর বড় পাওয়া কি হতে পারে। বদরের প্রান্তে বদরের যুদ্ধ করে বিজয় লাভ করলেও আমাদের নবীর কিছু সাহাবী শহীদ হন। বদরের প্রান্তে ৩১৩ জন সাহাবীর মধ্যে ১৪ জন সাহাবী শহীদ হন।এই ১৪ জন ইসলামের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং বদরের প্রান্তে নিজেকে সাহসিকতার মাধ্যমে এখনো স্মরণীয় হয়ে আছেন।
বদরের প্রান্তে শহীদ হওয়া সাহাবীদের নাম গুলো জানুন


বদরের প্রান্তে শহীদ হওয়া 14 জন সাহাবীর নাম নিচে দেওয়া হলঃ

  1. হযরত ওবায়দা ইবনে আল হারিস (রাঃ)
  2. হযরত মিহজান ইবনে আমর (রাঃ)
  3. হযরত ইয়ামান ইবনে আমর (রাঃ)
  4. হযরত আকিল ইবনে বুয়াইর ইবনে আব্দে মানাফ (রাঃ) 
  5. হযরত মুহাজ্জির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ)
  6. হযরত সাফওয়ান ইবনে ওবায়দুল্লাহ (রাঃ)
  7. হযরত আমর ইবনে আল হারাম (রাঃ)
  8. হযরত রাফি ইবনে মুয়াল্লা (রাঃ)
  9. হযরত হারিস ইবনে আনাস (রাঃ)
  10. হযরত উক্কাশা ইবনে মহাশান (রাঃ)
  11. হযরত খালিদ ইবনে কায়েস (রাঃ)
  12. হযরত সুআয়েব ইবনে আরকাম (রাঃ)
  13. হযরত খালিদ ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ)
  14. হযরত সাবিত ইবনে আমর (রাঃ)

সাহাবীদের মধ্যে কে কে প্রধান হিসাবে ছিলেন

বদরের প্রান্তে অংশগ্রহণকৃত ৩১৩ জন সাহাবীর নাম এর মধ্যে কিছু সাহাবী ছিল যারা আনসার ছিলেন বটে কিন্তু প্রধান আনসার ছিলেন। যারা পেছনের আনসারদের কে হুকুম করতেন কিভাবে যুদ্ধ করতে হবে। কখন কিভাবে আক্রমণ করতে হবে এছাড়াও অস্ত্রশস্ত্র কোথায় কিভাবে থাকবে এগুলো সব কিছু নিয়ন্ত্রণের জন্য সাহাবীদের মধ্যে প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। সেই প্রধান নির্বাচিত সাহাবীদের নাম নিচে দেওয়া হলো।

  1. রাসুলুল্লাহ মোহাম্মদ (সাঃ) ঃ বদরের যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর সর্বমোট সেনাপতি এবং প্রধান সেনাপতি ছিলেন আমাদের নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আল্লাহর নির্দেশে তিনি সেনাপতি হিসেবে বন্দরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
  2. হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রাঃ) ঃ আমাদের নবী তিনি ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
  3. হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) ঃ তিনি ছিলেন অন্যতম প্রধান নেতা এবং যুদ্ধে সহযোগিতার সাথে লড়াই করেছিলেন।
  4. হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) তিনি ছিলেন অন্যতম প্রধান যোদ্ধা এবং বদর যুদ্ধে তিনি বিশেষ সহযোগিতার জন্য পরিচিত ছিলেন।
  5. হযরত হামজা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ) ঃ আমাদের নবীর চাচা ছিলেন ইনি। যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর অন্যতম প্রধান যোদ্ধা হিসেবে ছিলেন এবং তাকে আল্লাহর সিংহ বলে অভিহিত করা হয়।
  6. হযরত মিকদাদ ইবনে আমর (রাঃ) ঃ তিনি রাসূলুল্লাহর বিশ্বস্ত সাহাবী এবং বদরের যুদ্ধে একজন প্রধান যোদ্ধা হিসেবে ছিলেন।
আমাদের প্রিয় নবীসহ এই কিছু সাহাবী ছিলেন যারা বদরের যুদ্ধের সেনাপ্রধান হিসেবে ছিলেন।

সাহাবীদের তাৎপর্যতা কেমন ছিল

সাহাবীরা ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তারা ইসলামের প্রথম প্রজন্মের অনুসারী ছিলেন। যারা সরাসরি আমাদের নবীকে দেখেছিলেন এবং সহাচার্য লাভ করেছিলেন। তাদের ভূমিকায় ইসলামের প্রচার সংরক্ষণ এবং বিকাশে রয়েছে অনেক। সাহাবারা ছিলেন ইসলামের প্রথম প্রজন্ম যারা ইসলামের বার্তা বিভিন্ন অঞ্চলের ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছিলেন। আমাদের নবীর মৃত্যুর পর তারা বিভিন্ন দেশে ইসলাম প্রচারের যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং অনেক দূরবর্তী অঞ্চলে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।


কুরআন সংরক্ষণ ও প্রচারঃ সাহাবীরা কোরআনের আয়াতগুলো মুখস্ত করেছিলেন এবং বিভিন্ন পদ্ধতিতে তা সংরক্ষণ করেছিলেন। কেউ লিখে পাতাতে, গাছের বিভিন্ন ঝালে লিখে, মুখস্ত করে এছাড়া ইত্যাদি উপায়ে কোরআন সংরক্ষণ করেছিলেন। তাই আজ আমরা কোরআন শরীফের মত সুন্দর একটি কিতাব পেয়েছি।
সাহাবীদের তাৎপর্যতা কেমন ছিল


ইসলামিক আইন ও শিক্ষাঃ কোরআন ও সুন্নাহ এর জ্ঞান ধরে রেখেছিলেন এবং তা মুসলিমদের মধ্যে প্রচার করছিলেন। তাদের নির্দেশনা ও কর্ম থেকে ইসলামে আইন এবং শিক্ষা গড়ে উঠেছে। যে শিক্ষা প্রতিটি মুসলিম ধর্মের মানুষের জন্য গ্রহণ করা ফরজ। একজন প্রকৃত মুসলমান হতে গেলে ইসলামী আইন ও শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এটা বাধ্যতামূলক।

যুদ্ধের সাহসিকতাঃ সাহাবীরা ইসলামের বিভিন্ন যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ইসলামের ইতিহাসের পাতা খুললে যত ধরনের যুদ্ধ দেখা যায়, সব যুদ্ধে দেখা যায় সাহাবীরা নিজের জীবনের নিজের জীবনের পরোয়া না করে সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছিলেন। এবং জয়লাভ করেছিলেন।এছাড়া অনেক ধরনের তাৎপর্য বা ভূমিকা রয়েছে ।

শহীদ হওয়া লাশের গোসল করানো হয় না কেন

হাদিসে বর্ণিত রয়েছে এক যুদ্ধে আমাদের নবী এক শহীদ সাহাবীর চুল থেকে খেয়াল করেন ফোটায় ফোটায় পানি পড়ছে। বলা হয়ে থাকে শহীদের গোসল আল্লাহ প্রদত্ত ফেরেশতা করিয়ে দিয়ে থাকেন। এছাড়া কেয়ামতের দিন যারা শহীদ হয়েছে তারা সেই অবস্থায় অর্থাৎ যে অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছি। শরীরের রক্ত নিয়ে শহীদের বেশে আল্লাহর সামনে হাজির হবেন। তখন আল্লাহ তাদের বিনা হিসাবে জান্নাত দান করবেন। আর এই কারণে শহীদ হওয়া লাশের গোসল করানো হয় না।

এছাড়া বিভিন্ন হাদিসের বইয়ে এর মূল কারণ আরো ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা রয়েছে। চাইলে আপনি সেই বইটি পড়ে দেখতে পারেন।

লেখক এর মন্তব্যে ৩১৩ জন সাহাবীর নাম 

আপনি যদি আমাদের এই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে আপনি বদরের প্রান্তে যে সাহাবীগুলো অংশগ্রহণ করেছিল, তাদের নাম গুলো আপনি অবশ্যই পড়তে পেরেছেন। এছাড়াও আরো অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। মানব জীবনে আসলে অনেক কিছুরই প্রয়োজন রয়েছে। তবে ধর্মীয় দিক দিয়ে মানুষ অনেক অলসতা বোধ করে শয়তানের ধোকা খেয়ে। আমাদের উচিত ধর্মীয় দিক দিয়ে সব সময় সজাগ থাকা।

এজন্য আমরা যে সকল কাজ করতে পারি সেগুলো হচ্ছে, বিভিন্ন হাদিস কালামের বই, প্রতিদিন আমাদের নবীর ও পরে যে কিতাব নাজিল হয়েছিল আল কুরআন সেটি আমাদের প্রতিদিন তেলাওয়াত করা উচিত। আগে সাহাবীগণ কিভাবে তাদের জীবন পরিচালনা করতো সেগুলো থেকে ধারনা নিয়ে, তাদের জীবন যাত্রা অনুসরণ করে নিজের জীবনকে পরিচালনা করা উচিত। সাহাবীগণদের নাম জানা উচিত আমাদের কারণ কোন সাহাবী কেমন ছিলেন কি করতেন না করতেন সবকিছু আমাদের জানা উচিত।

আপনার যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এবং ধর্মীয় বিষয়সহ আরো অনেক ধরনের তথ্য জানতে আমাদের এই ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url