দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা এবং দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান সম্পর্কে আমাদের জানা খুবই প্রয়োজন। আমরা প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানের সাথে আঙ্গাভাবে জড়িত রয়েছি। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে ঘুম পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে আমাদের বিজ্ঞানের ভূমিকা অপরিসীম।

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের যে ব্যবহার রয়েছে সেই সম্পর্কে রচনা লিখব আমরা আজকের আর্টিকেল। খুব সহজভাবে এবং সুন্দরভাবে রচনাটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি। মনোযোগ সহকারে পড়লে আর অন্য কোথাও বিজ্ঞান সম্পর্কিত রচনা পড়তে হবে না। চলুন শুরু করি। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা

ভূমিকা 

বর্তমান যুগ হলো বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানীদের নানা আবিষ্কারের সূত্র ধরে জন্ম নিয়েছে আধুনিক যুগ। মানুষ তার যুগ যুগান্তরের স্বপ্ন ও সাধনার অনবদ্য ফসল দিয়ে সভ্যতার এ বিশাল ইমারত গড়ে তুলেছে। তিল তিল প্রাণ শক্তি এবং বিন্দু বিন্দুর রক্ত দিয়ে মানুষ রচনা করেছে সভ্যতার এ ক তিলোত্তমা মূর্তি। যে সভ্যতার বেদি মূলে রয়েছে বাহুর শক্তি, মস্তিষ্কের বুদ্ধি, ইন্দ্রিয়ের অনুভূতি এবং হৃদয়ের ভালোবাসা। বিজ্ঞান মানুষের অতন্দ্র সাধনার ফসল।

বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, সভ্যতার পদক্ষেপ কে করেছে দ্রুততর। পৃথিবী কে করেছে হাতের  মুঠোয়।করেছে পৃথিবীতে অনেক ছোট। মানুষকে দিয়েছে অনির শেষ শক্তির অপরিসীম অহমিকা।

বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার

বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার মানুষকে এখন অবাক করে দিচ্ছে।প্রাচীন যুগের সে অসহায় মানুষ আজ অসীম শক্তিধর। হিংস্র পশুর হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য পাথর আর গাছের ডাল ব্যবহার করতে করতে এক সময় বল্লম, তীর, ধনুক, ঢাল, তলোয়ারের ব্যবহার করতে শিখেছে তারা। আধুনিক বিজ্ঞান সময় ও দূরত্ব কে জয় করেছে। জেমস ওয়াট স্টিম ইঞ্জিন এবং জর্জ স্টিভেনসন আবিষ্কার করেছেন রেল গাড়ি। বিজ্ঞানের বলে মানুষ জল, স্থল এবং জয় করেছে অন্তরীক্ষ।


বিজ্ঞান মানুষের সংকট নিবারণের অসুস্থসা ছন্দ বিধানের বহু অভাবনীয় কৌশল আবিষ্কার করেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতিতে আজ অধিকাংশ দূররোগ্য ব্যাধি হয়েছে চিকিৎসাযোগ্য। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এখন বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার ঘটে চলেছে দিনের পর দিন।

বিজ্ঞানের জয়যাত্রা

বিজ্ঞানের জয়যাত্রায় বিজ্ঞানের ভূমিকা রয়েছে অপরিসীম।বিজ্ঞানের ঐন্দ্রজালিক শক্তি বলে মানুষ উদ্দাম, উচ্চশৃঙ্খল নদীর স্রোতকে বশীভূত করে ঊষর মরুপান্তকে করেছে জলসিক্ত, ভূগর্ভের সঞ্চিত শস্য সম্ভাবনা কে করে তুলেছে উজ্জ্বল। পাষানী ধরিত্রীর সর্ব দেহের সঞ্চারিত করে দিয়েছে অপূর্ব প্রাণ সম্পাদন। বিজ্ঞান আজ উর্বরতা দিয়ে ক্ষয়িষ্ণু বসুধাকে  শস্যবতী করে তুলেছে, শিল্প শৈলের নব নব প্রবর্তনের উৎপাদন জগতে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
 
প্রাগৈতিহাসিক মানবের অগ্নি প্রজলন কৌশল আয়ত্ত করার দিন থেকে আধুনিক পাথফাইন্ডার মহাকাশযানের যুগ পর্যন্ত মানুষের অতন্দ্র সাধনা বিজ্ঞান কে করেছে সমৃদ্ধ, সভ্যতাকে করেছে জঙ্গম। বাষ্পীয় শক্তিকে করেছে বিজ্ঞান আজ বশীভূত, আকাশের বিদ্যুৎ কে করেছে করায়ত্ব, মুঠিতে পুরে নিয়েছে আণবিক, পারমাণবিক শক্তিকে। বিজ্ঞানের জয়যাত্রা জানতে হলে দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান এর গুরুত্ব অপরিসীম।বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে বিস্তৃতি দিয়েছে। সুদুর কে করেছে নিকট থেকে আরও নিকটে। গুছিয়ে দিয়েছে স্থানের ও মানসিক সংকীর্ণতা। প্রতিদিন প্রভাত কলরবের সঙ্গে সঙ্গে সংবাদ আমাদের ঘরে পৌঁছে দেয় বিশ্বের অসংখ্য সংবাদ কণিকা। বেতারের প্রতিধ্বনি হয় বিশ্ব বার্তা। দুরদর্শন এর পর্দায় ভেসে ওঠে পৃথিবীর দূর দূরান্তের ছবি, নিখিল মানুষের চলমান স্রোত। ঘুম থেকে উঠে এসে রাতে শুতে যাওয়া পর্যন্ত লাভ করতে করতে চলেছি আমরা।

আমাদের জীবন যাপনের প্রতিটি মুহূর্তকে সমৃদ্ধ করে তুলেছে এই বিজ্ঞান। অভ্যস্ত জীবনধারার কোন ছন্দপতন ঘটলেই আমরা উপলব্ধি করি। প্রত্যাহিক জীবনে বিজ্ঞানের ভূমিকা কতখানি ব্যাপক ও গভীর। হঠাৎ যখন বিদ্যুতের অভাবে আলোক উজ্জ্বল রাত্রি গভীর অন্ধকারে ডুবে যায়, তখনই বুঝতে পারি বিজ্ঞান আমাদের কতটা দিয়েছে। এক মুহূর্ত আমরা বিজ্ঞান এর বাইরে ছাড়া চলতে পারি না। আমরা যে স্যান্ডেল অথবা জুতা ব্যবহার করে সেগুলো কোন না কোন ভাবে বিজ্ঞানের সাথে জড়িত।


বস্ত্র থেকে ঘরবাড়ি, পথ ঘাট, ওষুধপত্র, কৃষিজ, খনিজ, ভোগ্য পণ্য সবাই তো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার ফসল। বস্তুত আমাদের বর্তমান জীবনটাই বিজ্ঞান নিয়ন্ত্রিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে সকল কাজ করে থাকি মোবাইল ফোনে, কম্পিউটারে এমনকি যখন আমরা অংক করি তখন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করি, সেই ক্যালকুলেটর, মোবাইল এবং কম্পিউটার সবই বিজ্ঞানভিত্তিক উপাদান। যেগুলো ছাড়া মানুষের এখন একটি দিন কাটানো মুশকিল হয়ে পড়ে।

সামান্য যখন একটু লোডশেডিং হয় তখন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কলকারখানা বন্ধ থাকে, ফলে তাদের অনেক লোকসান হয়। আবার গ্রীষ্মকালে যখন অনেক গরম পড়ে একটু লোডশেডিং হলে মানুষের আহাজারি আর দেখা যায় না, অসহ্য গরমে তখন মানুষ শুধু ছটফট করে বিদ্যুতের জন্য। আবার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার সময় এখন যান্ত্রিক গাড়িতে চলাচল করে মানুষ। এই গাড়ি বিজ্ঞান এর প্রভাবে তৈরি হয়েছে। তাই বলা যায় দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান মানুষের জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

চিকিৎসা জগতে বিজ্ঞান এবং এর তাৎপর্যতা

চিকিৎসা জগতে বিজ্ঞান আর যুগান্তর এনেছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ফলে দ্রুরোগ্য ব্যাধিতে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকাংশে কমে এসেছে। চিকিৎসা জগতের বিজ্ঞান আজ এতটা উন্নত হয়েছে যে ক্যান্সারের মতো রোগের ও চিকিৎসা বের হয়েছে।স্ট্রেপ্টোমািসিন, পেনিসিলিন, এক্সরে প্রভৃতি মৃত্যু পথযাত্রীকে দান করছে নিশ্চিত বিশ্বাস ও আশা। এখন বিজ্ঞানের প্রভাবে যে সকল মেশিন বের হয়েছে চিকিৎসার জন্য। তার ফলের রোগকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে তার চিকিৎসা করা হচ্ছে।
চিকিৎসা জগতে বিজ্ঞান এবং এর তাৎপর্যতা
চিকিৎসা জগতে বিজ্ঞান এমনভাবে উন্নত হয়েছে যে এখন মানুষ চিকিৎসা ক্ষেত্রেও বিজ্ঞান নির্ভর হয়ে পড়েছেন। মাথার সিটি স্ক্যান করা হয় এখন সিটি স্ক্যান মেশিন দিয়ে যার ফলে মাথার ভেতরের কোন সমস্যা হলে তা বাইরে থেকে বোঝা যায়। আবার কিডনি রোগে এখন এক ধরনের কিডনির মত এক মেশিনের ফলে কিডনির না থাকলেও মানুষ বহুদিন বাঁচে সেটি ব্যবহার করে। যদিও এই পদ্ধতিটি অনেক ব্যয়বহুল তবুও বিজ্ঞান আজ কোথায় এসেছে সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ফলে মানব দেহের অভ্যন্তরস্থ ফুসফুস, পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত , হৃদপিণ্ড, বৃক্ক, দমনী, সেরা ইত্যাদি রোগের নির্ভুল চিকিৎসা এখন নির্ণয় করা যায় বিজ্ঞানের মাধ্যমে এবং চিকিৎসা করা হয়। অতি কম্পনশীল প্রযুক্তি চিকিৎসা বিজ্ঞানকে নিয়ে এসেছে সর্বাধুনিক পর্যায়ে। এখন শরীরের অভ্যন্তরীণ বা বাহিরে যে কোন সমস্যা হলে প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্ণয় করা হচ্ছে। চিকিৎসা জগতে বিজ্ঞান এখন বহুদূর এগিয়ে গিয়েছে এবং সামনে আরো ভালো কিছু আশা করা যাবে।

শিল্পক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহার

শিল্পক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহারের ফলে মানুষ জাতির এখন অনেক সহজ হয়েছে যে কোন কাজ করতে। শিল্প কারখানা তে মানুষের হাতের কাজকে বিজ্ঞান অনেক কমিয়ে দিয়েছে। আগে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকারখানাতে কিছু যন্ত্র ছিল যেগুলো মানুষকে দ্বারা শক্তি দিতে হতো তবে যন্ত্রটি কাজ করতো। কিন্তু এখন বিজ্ঞান এমন কিছু শক্তি আবিষ্কার করেছে যে কল কারখানাতে যান্ত্রিক মাধ্যমের ফলে এখন মানুষ ছাড়াই কাজ চলছে অবিরাম। দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা তে শিল্পক্ষেত্রে বিজ্ঞান।

ইতিপূর্বে শিল্প কলকারখানা সমস্ত কাজে হাতে করা হতো। বিজ্ঞানের আবিষ্কারের ফলে এখন সময় কম ব্যয় হচ্ছে ফলে অল্প সময়ে বেশি কাজ হচ্ছে। আগে প্রতিটি কাজ মানুষ দিয়ে করা হতো বলে খরচ বেশি হতো কিন্তু এখন যান্ত্রিক উপায় করা হয় বলে, অর্থাৎ বিজ্ঞানসম্মত কাজ করা হয় বলে অধিক উৎপাদন হয় কম খরচে। শিল্প ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহার শুরু হয়ে মানুষ যেমন কষ্ট থেকে পরিত্রাণ পেয়েছে তেমন আগের থেকে অনেক লাভবান হচ্ছে।

কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহার

কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহার শুরু হয়ে কৃষকরা এখন পেয়েছে অনেক সাফল্য। এক বিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্নে বিশ্ব ও বিশ্ববাসীর কোন কাজেই বিজ্ঞানের অনুপস্থিতি নেই। বিজ্ঞানের জয়যাত্রা আজ সর্বত্র অব্যাহত। বিজ্ঞানের বদৌলতে অন্ধকার ধরণী আজ আলোকাভায় প্রজ্জ্বল। বিজ্ঞানের বদৌলতেই আজ ঊষর মরু হয়েছে সরস ও উর্বর, দুর্গম পাহাড়ের উপত্যকা ও অধিত্যকা এসেছে চাষের আওতায়। নদী পেয়েছে নতুন গতি, শুকনো খেতে চলেছে জল সিঞ্চন।

জগৎ ও জীবনের ক্রম প্রবাহের প্রতিটি স্তরে বিজ্ঞান তার অবদানের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। কৃষি বিজ্ঞানীরা বর্তমান শতাব্দীতে কৃষি কাজে বিজ্ঞানকে ব্যবহারকে সাফল্যজনক পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। অল্প জমিতে অধিক ফসল উৎপাদনের প্রয়াসে নিবিড় চাষের জন্য যান্ত্রিক সরঞ্জামের আবিষ্কার কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লবের সূচনা করেছে। ডাক্তার ও পাওয়ার টিলার এর সঙ্গে আরো নানা ধরনের যান্ত্রিক সরঞ্জাম ও যান্ত্রিক আবিষ্কার মানুষ ও পশু শ্রমকে মুক্তি দিয়েছে।


গোবর সার কম্পোস্ট সার ও সবুজ স্যারের স্থলে রাসায়নিক সার যেমনঃ ইউরিয়া, টি এস পি, এসএসপি, এমওপি আরো ইত্যাদি আবিষ্কারের ফলে একর প্রতি উৎপাদন দ্বীনের উপরে চলে গেছে। একই সঙ্গে উল্লেখ করা যায়, বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত্রে উচ্চ ফলনশীল আবিষ্কারের কথা। ফিলিপাইনের আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্রে ইরি ধান আবিষ্কৃত হয়। এরপর বাংলাদেশের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ইরি-৮ নামক উচ্চ ফলনশীল ধান আবিষ্কার করে এ দেশের কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করে।

প্রসঙ্গগত উল্লেখ করা আবশ্যক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী নর্মান বেরলগের মাক্সিপাক ও অন্যান্য জাতের উচ্চ ফলনশীল গম আবিষ্কার করে কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের এক মতে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। কৃষি কাজে বিজ্ঞানের সাফল্য শুধু ধান ও গমের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। সাফল্য প্রায় সকল ধরনের ফসল ফল-ফলারি ও কৃষি পণ্যের ক্ষেত্রে সাধিত হয়েছে। কৃষি কাজে বিজ্ঞানের প্রয়োগের মাধ্যমে পোকামাকড় দমন ও নির্মূল করার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের প্রয়োগ ঘটেছে অন্য সকল ক্ষেত্রের মতোই।

নানা ধরনের পোকাম্য করা আক্রমণ থেকে শস্যকে রক্ষা করার জন্য ইনসেকটিসাইড বা পোকা দমন করে বহু রাসায়নিক দ্রব্য আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রাচীনকালে ভোঁতা আর লাঙ্গল এর পরিবর্তে আজ ব্যবহৃত হচ্ছে উচ্চমানের কলের লাঙ্গল ও ট্রাক্টর। পচা আবর্জনা ও গোবরের সঙ্গে ব্যবহৃত হচ্ছে আধুনিক রাসায়নিক সার এবং উন্নতমানের বীজ। বলা যায় কৃষি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের মহা বিপ্লব এনেছে। দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা করতে গেলে কৃষিক্ষেত্রের বিজ্ঞানের ভূমিকা পাওয়া যায়।

জ্ঞান চর্চার সুযোগ সৃষ্টিতে বিজ্ঞান

জ্ঞান চর্চার সুযোগ দৃষ্টিতে বিজ্ঞান বেশ ভূমিকা রেখেছে।মুদ্রণ যন্ত্র ও কম্পিউটারের আবিষ্কার মানুষের জ্ঞান চর্চা কে করেছে সহজতার। মানুষের চিন্তা চেতনা খুব সহজে মুদ্রণ যন্ত্রের সাহায্যে সংরক্ষণ করা হচ্ছে, ফটো স্ট্যাস্ট মেশিনের সাহায্যে অতি অল্প সময়ে শত শত পাতার ফটোকপি করা সম্ভব হচ্ছে। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আনন্দদানের পাশাপাশি শিক্ষাদানও চলছে। উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা ও জাতীয় চেতনাকে উজ্জীবিত করার জন্য চলচ্চিত্র, সংবাদপত্র, রেডিও ও টেলিভিশন আজ বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
জ্ঞান চর্চার সুযোগ সৃষ্টিতে বিজ্ঞান

বিজ্ঞানের সর্ব ধ্বংসী অকল্যাণমূর্তি

বিজ্ঞানের সর্ব ধ্বংসী অকল্যাণমূর্তি নিয়ে জানুন।যে বিজ্ঞান সভ্যতার শরীরে জীবন প্রতিষ্ঠা করছে, আজ তার বিনাশেও সে মেতে উঠেছে। বিংশ শতাব্দীতে সংঘটিত দুটি মহাযুদ্ধের ভয়াবহ ধ্বংসলীলা বিজ্ঞানের দানবীয় শক্তি সম্বন্ধে মানুষের মনে এনেছে এক ঘরও তার আতঙ্ক। পারমাণবিক বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, ডিনামাইট, বোমারু বিমান, ট্যাংক ও সাবমেরিন ইত্যাদি আবিষ্কারের ফলে মানব জীবনে বিজ্ঞান অভিশাপে পরিণত হয়েছে।

দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা পড়তে গেলে এমন অনেক কথা চোখের সামনে আসে যেগুলো দেখলে মনে হয় বিজ্ঞান যেমন মানুষের উপকার করছে তেমন অপকারও করছে। বর্তমানকালে বিজ্ঞান কি চায়? কি চাই? জীবন না মৃত্যু? আজ পৃথিবীর মানুষের মনে জেগেছে এ অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কিন্তু বিজ্ঞানের এর বিধ্বংসী রূপের জন্য বিজ্ঞান দায়ী নয়। বরং যারা এগেন নিজেদের স্বার্থের ব্যবহার করেছে তারাই দায়ী।

উপসংহারঃ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা

অসীম সম্ভাবনাময় বিজ্ঞান বিষয়ের মুষ্টিমেয় স্বার্থপর নরঘাতকদের জন্য আজ সমাজের সার্বিক দুঃখ ও আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞান যদি সর্ব ধ্বংসী মরণ অস্ত্র নির্মাণ থেকে বিরত হয় কেবল মানব কল্যাণে ব্যবহৃত হয়, তবে মানুষের দুঃখ রজনীর অবসান হবে। হিংস্রতার রক্ত বিপ্লবের হাত থেকে রক্ষা পাবে ধরণী।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url