ছাত্র জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা

ছাত্র জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা নিয়ে এসেছি আজকে। আপনি যদি ছাত্র জীবনে থেকে থাকেন তাহলে আপনার ছাত্র জীবনে কি কি দায়িত্ব রয়েছে ও কি কি কর্তব্য রয়েছে সেগুলো জানা খুবই প্রয়োজন। এবং একজন ছাত্র হিসাবে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করা উচিত।

ছাত্র জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা

আমরা অনেক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র রয়েছি। কেউ মাধ্যমিক এর ছাত্র কেউ উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র আবার কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রয়েছি। তাই এসব সেক্টরে আমাদের কি কি দায়িত্ব রয়েছে এবং কিভাবে পালন করব সেগুলো সম্পর্কে চলুন আজকে জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ছাত্র জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা

ভূমিকা

ছাত্র জীবন ভবিষ্যতের পল্লবীত সৌন্দর্যের অস্ফুট পটভূমি। ছাত্র জীবনে হলো মানুষের প্রস্তুতিপর্ব। নির্ভর করে তার পরবর্তী জীবনের সফলতা ও ব্যর্থতা। তাই ছাত্র জীবনে শৃঙ্খলা ও অনুশীলনের প্রকৃত সময়। এ পৃথিবী এক অদৃশ্য দুর্লঙ্ঘ নিয়মের সূত্রে বাধা, ক্ষুদ্রতম ও অনু পরমাণু থেকে বিশাল বিশাল গ্রহণক্ষত্র পর্যন্ত সর্বত্র এক কঠোর নিয়মের শাসন বিরাজিত। প্রভাতে সূর্য দিগন্তে সূর্যোদয় এবং দিবসে পশ্চিম দিগন্তে সূর্যাস্ত সবাই এক দুর্লঙ্ঘ নিয়মের অধীন।

মানুষের জীবনে প্রয়োজন সেই নিয়মের শাসন। মানুষের জীবনকে সুন্দর, খুব শৃঙ্খল ও সুবিন্যস্ত করে তুলতে হলে প্রয়োজন উপযুক্ত শৃঙ্খলা বোধ। একটি সুন্দর ও পরিপূর্ণ নিয়মের মধ্যে থাকলে ছাত্র জীবন সুন্দর হবে। কেবলমাত্র ব্যক্তি জীবনে নয়, সামাজিক শান্তি ও কল্যাণের জন্য সর্বত্র চাই সামাজিক নিয়ম শৃঙ্খলার প্রতিষ্ঠা। ছাত্র জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা করলে ভূমিকা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে ছাত্র জীবনে সুন্দর জীবন গড়তে হলে একটি নিয়ম ও সুন্দর শৃঙ্খলা থাকা দরকার।

ছাত্র জীবনে প্রধান কর্তব্য

ছাত্র জীবনে প্রধান কর্তব্য হলো অধ্যায়ন করা। সংস্কৃত ভাষায় রয়েছে একটি প্রবাদ যে ছাত্রনং অধ্যায়নং তপঃ। অর্থাৎ অধ্যায়ন বা লেখাপড়া করাই হচ্ছে ছাত্র জীবনের প্রধান কর্তব্য। সমস্ত রকমের ভোগবিলাস ত্যাগ করে একাগ্রতার সঙ্গে নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে কর্মজীবনের জন্য উপযুক্ত হওয়ায় এ সময়ের অন্যতম এক বড় কাজ। ছাত্র জীবন মানুষের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই জীবনে ভালো কিছু করলেই বাকি জীবনে ভালো কিছু আশা করা যাবে।


ছাত্র জীবনের এই সময় শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ে তোলে। ছাত্রদের প্রধান কর্তব্য হলো শিক্ষা অর্জন করা, যা আমাদের জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটায়। তবে শুধুমাত্র পাঠ্যবস্তু পড়ায় নয়, নৈতিকতা, শৃংখলা এবং দায়িত্ববোধক ছাত্রজীবনের অপরিহার্য একটা অংশ। প্রথমত শিক্ষার্থীর প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করা। জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়। 

দ্বিতীয়ত, শৃঙ্খলা এবং সময়নিষ্ঠতা ছাত্রদের জীবনে শৃঙ্খলিত করে তোলে এবং সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। তৃতীয়ত, নৈতিকতা এবং মানবিক গুণাবলীর চর্চা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি মানুষের চরিত্রকে গঠন করতে সহায়তা করে। তাই ছাত্র জীবনের প্রধান কর্তব্য হলো নিয়মিত অধ্যায়ন, শৃঙ্খলা মেনে চলা এবং নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে নিজেকে উন্নত করা।

ছাত্র জীবনে চরিত্র গঠন

ছাত্র জীবনের চরিত্র গঠন করতে না পারলে জীবন বৃথা। কারণ চরিত্র গঠনের একমাত্র সময় হচ্ছে ছাত্র জীবন। শুধু চরিত্রই গঠন নয় নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে গঠন করতে হলে ছাত্র জীবনে করতে হবে নয়তো সময় ফুরিয়ে গেলে আর সম্ভব হবে না। মানব জীবনের প্রধান সম্পদ হলো চরিত্র। আর এ চরিত্র গঠন করতে হয় ছাত্র জীবনেই। কথাই বলে চরিত্রহীন মানুষ পশুর সমান তাই চরিত্রকে ঠিক রাখতে হবে নয়তো আমরাও পশুর সমান হয়ে যাব।

শিক্ষিত হলে কি হবে, সৎ চরিত্রের অধিকারী না হলে জীবন ব্যর্থতার পর্যবসিত হবে। তাই ছাত্র জীবনের সৎ চরিত্র তথা সাধুতা, সত্যবাদিতা, আত্ম সংযম, দেশপ্রেম ও ধৈর্য প্রভৃতি গুণগুলো আয়ত্ত করে ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য দেশের সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা করতে হবে। সর্বদা সত্য কথা বলা, সৎসঙ্গ গ্রহণ করা ও ভালো মানের বই পড়ার মাধ্যমে এটা সম্ভব হতে পারে। ছাত্র জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা করলে দেখা যায় চরিত্র গঠন করা আবশ্যক।

ছাত্র জীবনের অন্যান্য কর্তব্য

ছাত্রজীবনের যে সময়টুকু, এটি হচ্ছে জীবনের প্রকৃত সময় বা বিশেষ এক সময়। এ সময় শুধু পড়ালেখা নয়, এর সাথে সাথে অনেক কর্তব্য পালন করতে হয়। যেমন মাতা পিতা ও গুরু যন্ত্রের আদেশ মান্য করা, তাদের কথামতো চলা ও তাদের সেবা যত্ন করে তাদের থেকে দোয়া ও শুভেচ্ছা পেতে চেষ্টা করা। কথাই বলে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্য রক্ষার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হয়। তাই স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য যেগুলো করা উচিত সেগুলোর দিকে লক্ষ্য রাখা।


স্বাস্থ্য রক্ষার বিধি বা নিয়ম গুলো মেনে চলতে হয়। তার জন্য প্রতিটি ছাত্রছাত্রী নিয়মিত ও পরিমিত খাদ্য খাওয়া এবং খেলাধুলা ব্যায়াম ইত্যাদি করা উচিত। অনেক সময় অনেক ছাত্র নিজের হাতে কাজ করাতে লজ্জা জনক মনে করে। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। লেখাপড়ার সাথে সাথে অন্য কোন কাজ করাতে লজ্জা জনক মনে করতে নেই। কাজ কাজই সেই কাজ ছোট হোক বা বড় হোক। কোন কাজকে ছোট বড় করে দেখা উচিত নয়। প্রতিটি কাজের মূল্য রয়েছে।

ছাত্র জীবনই শৃংখলানুশীলনের এর উপযুক্ত সময়

ছাত্র জীবনই শৃংখলানুশীলনের এর উপযুক্ত সময়। ছাত্র জীবনে শৃঙ্খলা বোধ ও নিয়মানুবর্তিতা অনুশীলনের উপযুক্ত সময়। এ সময় সচিব কমল মানব ভুমিতে শৃঙ্খলাবোধ ও নিয়মানুবর্তিতা বীজ বপন করলে উত্তর কালে তাতে অমৃত ফল ফলে। শৃংখলানুশিলন তাই সর্বকালের সর্ব দেশের ছাত্র জীবনের অবশ্য আচরণীয় বিধি। ছাত্র জীবন হল শৃংখল কি জিনিস সেটাকে বোঝার সময় এই সময়ে নিজেকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আবদ্ধ করতে হবে।
ছাত্র জীবনই শৃংখলানুশীলনের এর উপযুক্ত সময়

ছাত্র জীবনের শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ

সৌজন্য ও শিষ্টাচারের ধোয়াতেই ছাত্র হয় বিনীত, ভদ্র। নতুন প্রাণ সম্পদে হয় গৌরবান্বিত। ছাত্র জীবনে গুরুজনদের যে শ্রদ্ধা করতে শিখলো না, যার উদ্ধত অবিনত ব্যবহারে শিক্ষক বিরক্ত, যার রুঢ় অমার্জিত আচরণে বন্ধুরা ক্ষিপ্ত বেদনাহত, পরবর্তী জীবনে ও তার এই একই আচরণের পুনরাবৃত্তি ঘটে। তখন সে হয় অশুভ শক্তি, অকল্যাণের মুহূর্ত প্রতীক। হতাশা, ব্যর্থতার তিল তিল দংশন জ্বালায় সে নিজেকে নিঃশেষ করে। আর সমাজের বুকে ছড়িয়ে দিয়ে যায় অমৃতের বদলে গরল।


ছাত্রজীবনী মানুষের সুপ্ত সুকুমারবৃত্তি লালনের শুভক্ষণ। শিষ্টাচার, জন্য তো তার মনুষত্ব অর্জনের  সোপান। এরই মধ্যে আছে নিজেকে সুন্দর ও সার্থকতাই পরিপূর্ণ করে তোলার মহাশক্তি। প্রকাশের জন্য ছাত্রদের কিছু হারাতে হয় না, কোন অর্থ ব্যয় করতে হয় না, বরং এক মহৎ অঙ্গীকারে তার সমৃদ্ধ জীবন বিকাশের পথ প্রস্তুত হয়। বিনয়ী, ভদ্র ছাত্র শুধু শিক্ষকের স্নেহয় কেড়ে নেয় না, সেপাই শিক্ষকের আদর্শ এবং শিক্ষকের সাহায্য ও সহযোগিতা পায় পরিপূর্ণ।

সৌজন্য ও শিষ্টাচারের অভাব ছাত্রকে দুবির্নীত, স্বার্থপর ও নিষ্ঠুর করে। এ অভাবে তাকে ঠেলে দেয় অন্যায়, আর অসত্তোর চোরা অন্ধকারে। সেই অন্ধকার শুধু ব্যক্তিকেই আচ্ছন্ন করে না গ্রাস করে গোটা সমাজকে, গোটা পরিবারকে, গোটা দেশকে। ছাত্র জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা ঘছিয়ে দেখলে ছাত্র জীবনের শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধকে খুঁজে পাওয়া যায়।

ছাত্র জীবনে রাজনীতি

ছাত্র জীবনের রাজনীতি হলো এক বড় রাজনীতি। বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ বিশ্বের ব্যাতিক্রমধর্মী এক ইতিহাস। অধ্যায়নের পাশাপাশি এদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ছাত্রদের ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার। ১৯৫২ সাল এর ভাষা আন্দোলন ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ ও ১৯৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালে এসে স্বৈরাচারের নিপাত যাওয়া এবং কোটা আন্দোলন নিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন করাতে ছাত্রদের ভুমিকা অপরিসীম।

এইসব আন্দোলন মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছে, গণতন্ত্রের রাস্তা উন্মোচিত করেছে। অবস্থার প্রেক্ষাপটে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ সময়ই তা নির্দেশ করে দেবে। কিন্তু অতীত ঐতিহ্য চলমান রাজনীতির দোলায় চেপে রাজনীতিতে ছাত্র সমাজ কলঙ্কিত হচ্ছে। ক্যাম্পাসের নেত্রী নেতাদের উপস্থিতি, সভা সমাবেশ ও রাজনৈতিক উত্তপ্ততায় অকারণে দলীয় কোন্দলে অনেক ছাত্রই মায়ের কোল শূন্য করে চলেছে। সে কারণে ছাত্ররা রাজনীতির পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি প্রদর্শিত হচ্ছে।

মূলত ছাত্র রাজনীতি যখন জাতীয় রাজনীতিতে পদাচারন করবে তখনই ছাত্রদের অধ্যায়নের মৌলিক সপ্তাহ হারাবে। নেত্রী নেতাদেরও এ ব্যাপারটি উপলব্ধি করতে হবে। সমস্যা কে কেন্দ্র করে ছাত্র রাজনীতি হওয়া উচিত।

ছাত্র জীবনের সামাজিক নেতৃত্ব

সমাজে যেকোনো কাজে ছাত্র সমাজ নেতৃত্ব দিতে পারে। মহামারী প্রতিরোধ, বন্যার সময় জনসেবায় ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ছাত্রছাত্রীরা শুধু অংশগ্রহণ করেই নয়, নেতৃত্ব দিয়েও এসব কাজকর্ম করতে পারে। স্বাধীন বাংলাদেশে সমাজ সেবায় ছাত্রদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। বন্যার্তদের সেবার জন্য ছাত্ররা পরিশ্রমী করে না তারা চাঁদা গ্রহণ করে তহবিল গঠন করে এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই। এক কথায় ছাত্র জীবনের সমান সেবা দায়িত্ব ও কর্তব্য অনস্বীকার্য।
ছাত্র জীবনের সামাজিক নেতৃত্ব


নেতৃত্ব মূলত দুইটি গুরুত্বপূর্ণ দিক থাকে একটি হল অন্যদের প্রভাবিত করা এবং আরেকটি হচ্ছে তাদের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করা। ছাত্র জীবন সামাজিক নেতৃত্বের মূল লক্ষ্য হলো সমাজের বিভিন্ন অংশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা। নেতৃত্বের মাধ্যমে ছাত্ররা সমাজে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যার সমাধান করতে পারে। পাশাপাশি একসঙ্গে কাজ করার মানসিকতার গড়ে তোলে। এই গুনাবলি পরবর্তী জীবনের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান হয়ে ওঠে।

ছাত্র জীবনে সামাজিক নেতৃত্ব ছাত্রদের দায়িত্বশীল, সহমর্মী এবং দক্ষ নেতা হয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করে। সামাজিক নেতৃত্বের গুণাবলী কেবল ছাত্রজীবনে নয়, পরবর্তী জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে কাজে আসে। সমাজের কল্যাণে কাজ করতে ইচ্ছুক ছাত্ররা নেতৃত্বের মাধ্যমে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে পারে। তাই নেতৃত্বের গুণাবলী ছাত্র জীবনে বিকাশিত করা অপরিহার্য। ছাত্র জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা দেখতে গেলে ছাত্র জীবনের সামাজিক নেতৃত্ব চোখে পড়ে।

বর্তমানে ছাত্র সমাজের উচ্ছৃংখলতার কারণ

সম্প্রতিককালে ছাত্র সমাজে উশৃঙ্খলা তাই সকলেই বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন। বলাবাহুল্য, সেই উদ্যোগ অমূলক নয়। তাদের উশৃঙ্খলাতার কলঙ্কিত স্বাক্ষর পরে পরীক্ষার হলে, বাসে, পথে প্রান্তরে সমাজ জীবনের অলিতে গলিতে। অথচ ছাত্রসমাজ ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রীর দল। তারা সভাপতি অগ্রসর হতে চাই, চাই কর্মব্যস্ততা, কিন্তু আজ তাদের সামনে অগ্রসর হওয়ার সকল পথ রুদ্দধ। কর্মহীনতার বিশাল অবকাশ তাদের মানস ক্ষেত্রকে বিপথে পরিচালিত করছে।

তাছাড়া কুরুচিপূর্ণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনে ছাত্র সমাজকে অর্থনৈতিক অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র সমাজের শৃঙ্খলাবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে তাদের উশৃঙ্খলা তার মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তা দূর করতে হবে। ছাত্র জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা তে ছাত্র সমাজের উৎশৃঙ্খলা তার কারণ গুলো দেখে দেখে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

উপসংহার

ছাত্র জীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা এর শেষ পর্যায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল সমাজ ছাত্র সমাজের দায়িত্ব ও শৃঙ্খলা দাবি করে। ছাত্র সমাজের যখন মনে রাখতে হবে যে, ছাত্র জীবনে হলো দায়িত্ববোধের বিকাশের কাল, সামাজিক কর্তব্যবোধ বিখ্যাত হওয়ার সময়। অন্ধকার কিংবা রুচি বিকৃতির কুয়াশা অপসারণ করে নতুন সূর্যোদয়ের সময় হল ছাত্র জীবন। তবে আসবে নতুন দিন, গড়ে উঠবে নতুন জীবন। আমাদের ছাত্র সমাজ তাকে বরণ করার জন্য যেন প্রস্তুত থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url