১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়
১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় জানতে হলে এবং কিভাবে ঘুমালে ১ মিনিটের মধ্যেই ঘুম চলে আসবে তার সঠিক বিশ্লেষণ এই আর্টিকেলটির মধ্যে করে দেয়া রয়েছে। আপনি যদি নির্ঘুম অথবা ঘুম জনিত কোন সমস্যায় ভুগেন তাহলে আর্টিকেলটি পুরোটা পড়ুন।
এই আর্টিকেলটিতে আরো বুঝতে পারবেন তার ঘুম কেন হচ্ছে না, ঘুম আসার জন্য প্রাকৃতিক
আরো বিভিন্ন ধরনের নিয়ম গুলো আপনি সঠিকভাবে পেয়ে যাবেন। ঘুম না আসা কি কোন রোগ
নাকি অন্য কিছুর সবকিছু বিশ্লেষণ করেন নিচে দেওয়া হলো।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়
প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম আসার উপায়
প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম আসার উপায় অনুযায়ী বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা বিভিন্নভাবে মতামত
দিয়েছেন। আপনিও যদি প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুমানোর চেষ্টা করেন তাহলে আপনি
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকবেন। অনেকে দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খাওয়ার পর ঘুম
আসার চেষ্টা করেন। এটি শরীরের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতির কারণ। যদি প্রাকৃতিক
উপায়ে ঘুম না আসে তারপরে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু আগে চেষ্টা
করতে হবে যেন প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম আসা যায়। নিচে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘুম আসার
উপায় সম্পর্কে বলা হলো।
নিয়মানুযায়ী ঘুমের সময়সূচী মেনে চলাঃ প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো
এবং ঠিক একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিদিন একই সময় ঘুমানো ও
ঘুম থেকে ওঠা শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়িকে স্থিতিশীল করে। এই অভ্যাসটি মস্তিষ্কের
মেলাটোনিন হরমোন উপাদান কে প্রভাবিত করে, যেটি শরীরকে রাতের জন্য প্রস্তুত করতে
সাহায্য করে। ঘুমের আগে নিয়মিত সময় ধরে একটি সুন্দর অভ্যাস তৈরি করুন, যেমন বই
পড়া, ব্যায়াম করা ইত্যাদি। তাহলে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন।
খাদ্য অভ্যাসের গুরুত্বঃ খাবারের সাথে ঘুমের গুরুত্ব রয়েছে অনেক। কিছু
কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো ঘুমকে ভ্যানিশ করে দেয়। এজন্য সেসব খাবার থেকে দূরে
থাকতে হবে। যাদের ঘুম জনিত সমস্যা রয়েছে তারা সব খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন
অন্তত ঘুমানোর ৫ থেকে ৬ ঘন্টা আগে থেকে। আবার কিছু কিছু খাবার যেগুলো রয়েছে
সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। সেসব খাবারগুলো ঘুমানোর আগে খাওয়ার অভ্যাস
করুন।
আরো অনেক ধরনের প্রাকৃতিক উপায় ঘুম আসার উপায় রয়েছে। সেগুলো জানতে হলে আমাদের
আর্টিকেলটি পুরোটা মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। নিচে আরও কিছু উপায় দেওয়া হলো।
- ঘুম আসার ক্ষেত্রে তাপমাত্রা, আলোর নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশের গুরুত্ব রয়েছে।
- শারীরিক ব্যায়াম রয়েছেন ঘুম আসার জন্য।
- কফি এবং চা এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে ভালো ঘুমের জন্য।
- ঘুমের আগে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইস থেকে বিরক্ত থাকতে হবে।
১ মিনিটে ঘুম আসার আমল
১ মিনিটে ঘুম আসার আমল অর্থাৎ খুব তাড়াতাড়ি ঘুম আসার আমল আজ থেকে ১৪০০ বছর
আগে আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার সাহাবী এবং তার উম্মতদের জন্য
শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। শুধু ঘুম নয় মানুষের জীবনযাত্রায় যেগুলো প্রয়োজন
সবকিছুই আমাদের নবী আমাদের শিখিয়ে দিয়ে গেছেন। আর আমরা মুসলিম হয়ে আমাদের
উচিত নবী যেভাবে শিখিয়ে দিয়ে গেছেন ঘুমানোর আমল সেগুলো পরিপূর্ণ মেনে চলা।
তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক ১ মিনিটে ঘুম আসার আমল।
দোয়াঃ আল্লাহুম্মা রাব্বাস সামাওয়াতিস সাবয়ি ওয়া মা আজাল্লাত ওয়া
রাব্বাল আরদিনা ওয়া মা আকাল্লাত ওয়া রাব্বাশ শায়াতিন ওয়া মা
আদাল্লাত কুন লি ঝারাম মিন শাররি খালকিকা কুল্লিহিম ঝামিআ।আইইয়াফ্রুতা আলাইয়া
মিনহুম আও আইইয়াবগিয়া আলাইয়া আযা ও ঝাল্লা ছানাউকা ওয়া লা
ইলাহা গাইরুকা ওয়ালা ইলাহা ইল্লা আংতা।(মুসলিম, মিশকাত)
আরো পড়ূনঃ র দিয়ে সাহাবীদের নাম অর্থসহ
অর্থঃ " হে আল্লাহ! সাত আসমানের প্রভু এবং যার পর তার ছায়া বিস্তার
করেছে, সাত জমিনের প্রভু এবং যা কিছু তা উত্থান করেছেন, আর শয়তানদের প্রতিপালক
এবং যারা এদের বিপদগামী করেছে।
এই আমলটি করে ঘুমানোর চেষ্টা করলে ১ মিনিটে ঘুম চলে আসবে ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও
আরো ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় রয়েছে। সেগুলো জানতে হলে আমাদের এই তথ্যবহুল
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। এই আর্টিকেলটির মধ্যে যতগুলো
বিষয় রয়েছে সে বিষয়গুলোর আপনি যদি সঠিকভাবে পালন করেন তাহলে ঘুম জনিত সকল
সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন ইনশাল্লাহ।
১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়
১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় তো অনেকই রয়েছে কিন্তু তার মধ্যে একটি চমৎকার এবং
আশ্চর্যজনক একটি উপায় রয়েছে। সেই আশ্চর্য উপায়টি আপনি জানলে অবাক
হবেন এবং উপায়টি যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে ১ মিনিটের মধ্যে আপনি গভীর
ঘুমে চলে যাবেন। সেই উপায়টি হলো ৪-৭-৮ শ্বাস-প্রশ্বাস কৌশল। প্রাচীনকাল থেকে
যোগ ব্যায়ামের শ্বাস-প্রশ্বাস কৌশল দ্বারা অনুপ্রাণিত, যেটা দ্রুত শীতলতা এবং
ঘুমানোর জন্য প্রমাণিত হয়েছে। এই কৌশলটি অনুসরণ করলে ১ মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে
পড়া সম্ভাবনা রয়েছে।
৪-৭-৮ শ্বাস-প্রশ্বাস কৌশলঃ
- প্রথমে একটি আরামদায়ক স্থানে বসুন অথবা শুয়ে পড়ুন। যাতে আপনার সম্পূর্ণ শরীর শিথিল থাকে।
-
নাক দিয়ে ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন। ধীরে ধীরে এবং গভীরভাবে নাক দিয়ে শ্বাস
নিন, গুনে গুনে ১ থেকে ৪ পর্যন্ত গণনা করুন।
-
শ্বাসটি ৭ সেকেন্ড ধরে ধরে রাখুন। এই সময় আপনার শরীরকে আরো শিথিল করতে
চেষ্টা করুন।
-
মুখ দিয়ে ৮ সেকেন্ড ধরে শ্বাস ছাড়ুন। মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শাঁস ছেড়ে দিন
এবং ৮ সেকেন্ড পর্যন্ত গণনা করুন। শার্স ছাড়া সময় আপনার ঠোঁট একটু
খোলা রাখুন যেন বাতাস আস্তে আস্তে বের হয়।
বিঃদ্রঃ এই প্রক্রিয়াটি তিন থেকে চারবার পুনরাবৃত্তি করুন। এটি
আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করবে এবং দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার কাজে সাহায্য
করবে। তবে ১ মিনিটের মধ্যে হয়তো সরাসরি ঘুম আসবে না, কিন্তু আপনার শরীরকে
এমনভাবে শিথিল করবে যে খুবই তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসবে।
আরো কিছু কৌশলঃ
- অন্ধকার ঘরে শুয়ে থাকুন।
-
মনকে শিথিল রাখতে চেষ্টা করুন।
-
মৃদু শীতল পরিবেশে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
ঘুম আসার আগে কি করা উচিত
ঘুম আসার আগে কি করা উচিত এগুলা আমরা কিন্তু সবাই জানিনা, আবার কেউ কেউ
জানলেও এগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি না। কিন্তু আসলে ঘুম আসার আগে
যেগুলো করা দরকার, যেগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী, যেগুলো ঘুম আসার আগে
করলে ঘুম ভালো হয় আমরা সেসব জিনিস করতেই অলসতা দেখাই। এটি কিন্তু মোটেও
ঠিক না শরীরকে সুস্থ ও মনকে সুস্থ রাখতে হলে ঘুমের প্রয়োজন অনেক।
তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক এর আগে কি করা উচিত।
আরো পড়ূনঃ সময়ের সাথে নিজেকে পরিবর্তন
- একটি সুন্দর পরিবেশ সুন্দর নীরব জায়গায় ঠিক করে রাখা।
- ঘরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া।
-
খাবারের পাত্র গুলো ঢেকে রাখবেন।
-
ঘুমানোর আগে ঘরের আলো বন্ধ করে দিবেন।
-
অজু করে ঘুমানো ভালো তাই ওযু করে নিতে পারেন।
-
ঘুমানোর আগে প্রতিদিন নিজের বিছানা ঝেড়ে নিবেন।
-
ঘুমানোর আগে অনেক ধরনের আমল রয়েছে সেগুলো পড়তে থাকবে।
-
সকল ধরনের চিন্তা ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলবেন।
-
একটু ব্যায়াম করে নিতে পারেন তাহলে ঘুম তাড়াতাড়ি আসবে।
রাতে ঘুম না হলে কি কি সমস্যা হয়
রাতে ঘুম না হলে কিছু সমস্যা হয় সেটা জানতে হলে মনোযোগ সহকারে পড়তে
থাকুন।ঘুম হলো আল্লাহ রব্বুল আলামিন এর একটি বড় নিয়ামত। যাদের ঘুম হয়
না তারাই বুঝে ঘুমের মূল্য কত। পৃথিবীতে অনেক মানুষ রয়েছে যারা ঘুম জনিত
বা অনিদ্রায় দিন দিন ভুগছে। তাদের প্রতিদিন ঘুমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের
ঔষধ লাগে। তবুও তাদের ঘুম সঠিক ভাবে হয় না। ঘুম না হওয়ার কারণে এখন
মানুষের দিন দিন রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক রাতে ঘুম
না হলে কি কি সমস্যা হয়।
সমস্যা গুলোঃ
- মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় ঘুমের অভাব হলে। অনেকেই দেখা যায় ছোটখাট ব্যাপারে বিরক্তি বা রাগ বেড়ে যায়। এর মূল কারণ হলো অনিদ্রা জনিত সমস্যা অর্থাৎ ঘুম কম হলে এমন হয়।
-
ঘুম না হলে শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাইনা, এর কারণে শারীরিক শক্তি কমে
যায় এবং সারাদিন ক্লান্তি অনুভূত হয়।
-
কেন্দ্রীভূত হতে সমস্যা হয়। অর্থাৎ পর্যাপ্ত ঘুম না হলে পরদিন
মনোযোগ রাখতে সমস্যা হয়, বিভিন্ন কর্ম কাজে ব্যাঘাত ঘটে এবং ভুল
সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
-
দীর্ঘমেয়াদী অনিদ্রাজনিত সমস্যা হয়ে থাকলে হৃদরোগের সমস্যা দেখা
দেয়। উচ্চ রক্তচাপ থেকে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভবও থাকে।
-
দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। ঘুম কম হলে দৈনন্দিন কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা
বেশি থাকে তাই ড্রাইভিং বা যন্ত্র চালানোর সময় দুর্ঘটনা ঝুঁকি
বাড়ে।
-
মানসিক স্বাস্থ্য জনিত সমস্যায় অনেক বড় প্রভাব ফেলে।
-
ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায় এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ভোগে।
রাতে ঘুমানোর আগে আমল
রাতে ঘুমানোর আগে আমল করা প্রয়োজন। আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে
ঘুমানোর আগে বিভিন্ন ধরনের আমল রয়েছে সেগুলো আপনি করলে আমাদের নবীর
সুন্নতগুলো আদায় করা হবে। এছাড়া আপনি অনেক গুনাহ এবং বিপদ থেকে রক্ষা
পেতে পারেন। আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমানোর আগে
বিভিন্ন ধরনের আমল শিখিয়ে দিয়েছিলেন। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক
রাতে ঘুমানোর আগে আমল গুলো কি কি।
- প্রথমে ঘুমানোর দোয়া পড়ে নিবেন। ঘুমানোর দোয়া টি হলোঃ আল্লাহহুম্মাহ বিইসমিকা আমুতু অয়াহ ইয়া ।
-
সূরাতুল ইয়াসিন তেলাওয়াত করা।
-
সুরাতুল কাফিরুন তেলাওয়াত করা।
-
সূরাতুল মূল তেলাওয়াত করা।
-
তিন কুল যেটাকে বলা হয়,১। সুরা ইখলাস, ২।সূরা নাস, সূরা ফালাক
তেলাওয়াত করে ঘুমানো।
-
আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করা।
-
৩৩ বার সুবাহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ,৩৩ বার আল্লাহু
আকবার।
ঘুম নিয়ে সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ
প্রশ্নঃ ঘুম ধরে না কেন?
উত্তরঃ ঘুম না আসার বিভিন্ন কারণ হতে পারে, হতে পারে আপনি
মানসিক চিন্তায় আছেন, আপনার বুকে জালা থাকতে পারে, অথবা উচ্চ
রক্তচাপের কারণে, মনোরম পরিবেশ না থাকাই হতে পারে কিন্তু এখন সবচাইতে
বেশি সমস্যা হচ্ছে মানসিক চিন্তার কারণে।
প্রশ্নঃ রাতে ঘুম না হলে কি করা উচিত?
উত্তরঃ রাতে ঘুম না হলে আপনি 30 মিনিট হাটাহাটি করতে
পারেন অথবা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ব্যায়াম রয়েছে আবার যোগব্যায়াম
রয়েছে সেগুলো করতে পারেন।
আরো পড়ূনঃ কালমেঘ পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
প্রশ্নঃ চা খেলে ঘুম আসে না কেন?
উত্তরঃ চাযয়ে ট্যানিক অ্যাসিড নামে এক ধরনের রাসায়নিক
উপাদান থাকে। যার ফলে পেট ফাঁপা সমস্যা হতে পারে। এজন্য চা খেলে
ঘুম আসে না।
প্রশ্নঃ মানুষের কখন ঘুম থেকে উঠা উচিত?
উত্তরঃ সকাল ৬ থেকে সকাল ৭ টা এর মধ্যে মানুষের উঠা উচিত। এর
জন্য তাড়াতাড়ি রাতে ঘুমানো প্রয়োজন।
প্রশ্নঃ কোন সময় ঘুমানো ভালো?
উত্তরঃ ১। শিশুদের জন্য রাত ৮ঃ০০ টা থেকে ৯ঃ০০টার মধ্যে,২।
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৯ঃ০০ টা থেকে ১০ঃ০০ টার মধ্যে এবং ৩।
বয়স্কদের জন্য ১০ঃ০০ টা থেকে ১১ঃ০০ টার মধ্যে ঘুমানো উচিত।
ঘুম বৃদ্ধির খাবার
ঘুম বৃদ্ধির খাবার প্রতিটি ব্যক্তির খাওয়া উচিত যদি সুন্দর ঘুম এবং মন ভালো
রাখার জন্য। খাবারের সাথে ঘুম বৃদ্ধির ব্যাপকভাবে ভূমিকা রয়েছে। মানুষের
ক্ষুধা থাকলে ঘুম আসবে না এটাই স্বাভাবিক। তবে যদি সুন্দর এবং সুস্বাস্থ্য মত
খাবার পাওয়া যায় তাহলে মন থাকে ফুরফুরা এবং ঘুম আসে সুন্দর ভাবে। তাহলে
চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘুম বৃদ্ধির খাবার গুলো কি কি।
- বাদাম খেতে পারেন, চিনা বাদাম অথবা কাঠ বাদাম।
-
প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খেতে পারেন।
-
ডিমে আছে ভিটামিন ডি এটি ঘুমের জন্য খুবই উপকারী। এজন্য নিয়মিত ডিম খেতে
পারেন।
-
পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত কলা ঘুমের জন্য উপকারী।
-
মৌসুমী ফল আম ব্যাপকভাবে ঘুম নিয়ে আসে।
- পান্তা ভাত খেলে ঘুম আসে।
-
তেল যুক্ত মাছ, বা সামুদ্রিক মাছ।
-
মধু খেতে পারেন মধুতে অনেক ঘুম আসে।
ঘুম আসার ব্যায়াম
ঘুম আসার ব্যায়াম আমরা করতে পারি যদি ঘুম না আসে।পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না
হলে অথবা প্রতিদিনের অনিয়মিত ঘুম এর জন্য ঘুমানোর সময় এমন হয় যে আপনি
ঘুমানোর অনেক চেষ্টা করছেন কিন্তু ঘুম আসছেনা। তাই আপনার জন্য নিয়ে এসেছি
কয়েকটি শারীরিক ব্যায়াম। এই ব্যায়াম করলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে
পড়তে পারবেন, এমনকি এই উপায় গুলোকে ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায় বলা হয়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ঘুম আসার ব্যায়াম গুলো।
চোখের পাতার ব্যায়ামঃ যদি এমন হয় আপনি ঘন্টার পর ঘন্টা
ঘুমানোর চেষ্টা করছেন কিন্তু, কিছুতেই আপনার ঘুম আসছে না তাহলে আপনি চোখের
পাতার ব্যায়াম করতে পারেন। এটি করার জন্য আপনার চোখের পাতাকে ৩০-৪০ বার
জোরে জোরে লাফানো লাগবে। অথবা 30 সেকেন্ড ধরে চোখের পাতা নাড়াতে থাকুন। এক
সময় আপনি অনুভব করতে পারবেন আপনার চোখের পাতা অনেক হাপিয়ে গিয়েছে। তখন
আপনি যদি ঘুমানোর চেষ্টা করেন তাহলে আপনি অনেক তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে
পড়বেন।
এছাড়াও রয়েছেঃ
- ৪-৭-৮ শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যায়াম।
- জগিং।
- দড়ি লাফ।
-
বুকের উপর ভর দিয়ে ব্যায়াম।
- উঠবস করে ব্যায়াম।
লেখক এর মন্তব্যে ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়
আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন।
আর্টিকেলটিতে আমরা ঘুম আসার বিভিন্ন উপায় সহ আরও বিভিন্ন উপদেশ মূলক
কথাবার্তা বলেছি। আমি মনে করি আপনি এই পোস্টটি পড়ার পর অনেক বিষয়ে
ধারণা পেয়েছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। যে প্রতিদিন নিয়মিত পরিশ্রম করে, সঠিক
টাইমে খাওয়া দাওয়া সহ সঠিক টাইমে ঘুমানোর চেষ্টা করে সে অনিদ্রা জনিত
সমস্যা থেকে দূরে থাকে।
প্রতিদিন শারীরিক পরিশ্রম করলে এমনিতেই ঘুম চলে আসবে। শরীর ক্লান্ত
থাকলে এবং মানসিক চিন্তা না থাকলে, আবার শরীর সুস্থ সবল থাকলে প্রতিদিন ঘুমের
সমস্যা হয় না। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানোর জন্য শারীরিকভাবে একটি পরিশ্রম
করুন দরকার হলে ব্যায়াম করুন জিমে গিয়ে। এবং আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো
লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন তারাও উপকৃত হবে।
এবং যেকোনো সমস্যা এবং যেকোনো তথ্য জানতে হলে নিচের যোগাযোগ বাটনে ক্লিক
করুন।
SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url