বাংলাদেশের ছয় ঋতুর বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশের ছয় ঋতুর বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ষড়ঋতু দেশ বাংলাদেশ। আমরা এই বাংলাদেশে বাস করি আর এই বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু সম্পর্কে জানব না তাকে কখনো হয়।
তাই আজকে আপনাদের জানাতে এসেছি বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু সম্পর্কে। কোন মাসে কি ঋতু,
কোন ঋতুতে কি হয়, কোন ঋতু মানুষের সবচেয়ে বেশি পছন্দ হয় এমন কিছু সুন্দর
সুন্দর তথ্য খুজে পাবেন এই পোস্টটিতে। তাহলে চলুন আজকে জেনে নিয়ে
বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু সম্পর্কে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ বাংলাদেশের ছয় ঋতুর বৈশিষ্ট্য
- ছয় ঋতু কি কি
- গ্রীষ্ম ঋতুর বৈশিষ্ট্য
- বর্ষা ঋতুর বৈশিষ্ট্য
- সচারচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নে বাংলাদেশের ছয় ঋতুর বৈশিষ্ট্য
- বাংলাদেশের ছয় ঋতুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কিছু কথা
- শরৎ ঋতুর বৈশিষ্ট্য
- হেমন্ত ঋতুর বৈশিষ্ট্য
- শীত ঋতুর বৈশিষ্ট্য
- বসন্ত ঋতুর বৈশিষ্ট্য
- লেখক এর মন্তব্যে বাংলাদেশের ছয় ঋতুর বৈশিষ্ট্য
ছয় ঋতু কি কি
বাংলাদেশের মোট ছয়টি ঋতু দেখা যায়। অর্থাৎ বাংলাদেশ হলো ষড়ঋতুর দেশ। অন্যান্য
দেশে বাংলাদেশের মতো ছয়টি ঋতু দেখা যায় না। কোন কোন দেশে একটি ঋতু আবার কোন কোন
দেশে তিনটি ঋতু এমন দেখা যায় আবার কোন কোন দেশে শুধু দুইটি ঋতু দেখা যায়।
কিন্তু বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু পর্যায়ক্রমে এক এক করে যেন হাজিরা দিয়ে যায়। ছয়
ঋতু কি কি নিচে দেওয়া হলোঃ
ঋতুঃ
- গ্রীষ্মকাল।
- বর্ষাকাল।
- শরৎকাল।
- হেমন্তকাল।
- শীতকাল।
- বসন্তকাল।
গ্রীষ্ম ঋতুর বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক রঙ্গ শালার প্রথম ঋতু হচ্ছে গ্রীষ্মকাল। ধুধু দুঃখ দুই চোখে
প্রখর অগ্নিদাহ নিয়ে আবির্ভাব ঘটে এ রুদ্র তাপসের। সর্বত্র যেন বিস্তৃত
মরুভূমির তপ্ত প্রান্তর। সমগ্র জীবন জগৎ ও উদ্ভিদ জগতে নেমে আসে এক প্রাণহীন,
রসহীন, বিবর্ণতার পাণ্ডুর ছায়া। এ সময়েই প্রকৃতিকে তোলপাড় করে দিয়ে যায়
কালবৈশাখীর ভায়াল ছোবল। তার সেই রৌদ্র মূর্তি, সেই ভীষণ রূপ দেখা যায় শুধু
বাংলাদেশের আকাশে। বাংলাদেশের কিছু কিছু অংশে আরও বেশি গরম পড়ে গ্রীষ্মকালে।
আরো পড়ূনঃ বারোমাসি সবজির তালিকা
এ সময় টা দারুণ গরমে মাঝে মাঝে দুঃসহ হয়ে ওঠে, তবে রাত্রিটা ভারী মনোরম। কিছু
কিছু সময় আছে যখন রাত্রেও বেশ গরমের আভাস আসে। বাংলা মাসের বৈশাখ ও
জৈষ্ঠ এই দুই মাস নিয়ে গ্রীষ্মকাল হয়ে থাকে। পাকা আমের বৈভব
আছে গ্রীষ্মকালে। আছে কালো জামের নিবিড় প্রাচুর্য। বিভিন্ন ধরনের আরো ফলমূল
পাক এই গরমকালে।
বর্ষা ঋতুর বৈশিষ্ট্য
বর্ষা ঋতুর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এক মোহময় বৈশিষ্ট্য। বর্ষাকালের সূর্য মামাকে দেখা
যায় না বললে চলে। সবসময় মেঘ দিয়ে ঢাকা থাকে সূর্য মামার সেই মুখটি। বাংলাদেশে
বর্ষা আসে মহা সমারোহে। ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিকাশ ও গুরুগম্ভীর বজ্র ধনের অতী
ভৈরব হরষের সূচিত হয় তার শুভাগমন। আকাশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত
ঘন কালো পুঞ্জিভূত কালো মেঘের আনাগোনা দেখা যায়। দিগন্তের ওপার
হতে বন্ধনহীন বায়ু প্রবাহ দুরন্ত বেগে ছুটে আসে, শুরু হয় শীতল
ধারা বর্ষণ।
শুষ্ক প্রান্তর, মাঠ জলাশয়, নদী নালা এবং খাল বিলে অনেকদিন পরে যা আগে প্রাণের
প্রবল উচ্ছ্বাস। প্রকৃতির সব অঙ্গ হতে গ্রীষ্মকালের সর ক্লান্তি মুছে যায়।
উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে সজল বর্ষার নয়ন রঞ্জন রূপসী। পুষ্প সৌরভের ঐশ্বর্যের চারদিক
কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। সারাদিন রাত আমাদের কানে যেন সেতার বাজিয়ে
চলে। আমাদের মন এ সময় হয়ে ওঠে মেঘের সঙ্গী। বর্ষার সংগীত রিমঝিম বাজে, আর
দেখতে দেখতে সবুজ হয়ে ওঠে ধরণী।
বর্ষাকালে গ্রামের নদী নালা, ডোবা, পুকুর এবং খাল বিল সবকিছু পানিতে থৈ থৈ
করে। নৌকা ছাড়া চলাচল করা যায় না। রাস্তা কাদায় জর্জরিত হয়ে যায়। ফলে
মানুষের চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। অবিশ্রান্ত বৃষ্টির মধ্যে কিছু করা মাঠে চলে
যায়, গৃহিণীরা গৃহের কাজকর্ম করে। নদীতে মাছ ধরা ধুম পড়ে যায়। শাপলা ফুলের
সমারো দেখা যায়। এমনই সুন্দর এক দৃশ্য দেখা যায় বর্ষাকালে গ্রামাঞ্চলে। তবে
বর্ষাকালে শহর অঞ্চলের অবস্থাই নির্ণয় অঞ্চল গুলো ডুবে যায়।
উন্নত পয়ঃপ্রণালীর অভাবে বৃষ্টির পানিতে রাস্তার ডুবে যায়। বাইরে বের হওয়া
কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে মানুষকে বাইরে যেতে হয়। এই সুযোগে
রিক্সা, স্কুটার চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে।
জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। বিশেষ করে কাঁচা তরকারির দাম বাড়ে। ফলের মধ্যবিত্ত
ও বস্তিবাসীদের কষ্ট বেড়ে যায়। এই বর্ষাকাল যেমন কিছু মানুষের জন্য খুবই
আনন্দদায়ক ও আরামদায়ক আবার কিছু মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য একটি ঋতু।
আষাঢ় ও শ্রাবণ এই বাংলা দুই মাসকে বর্ষাকাল বলা হয়। আষাঢ় মাসের শুরু হয়
বর্ষাকাল এবং শেষ হয় শ্রাবণের শেষের দিকে।তারপর শেষ বর্ষণের পালা গান গেয়ে
পথে পথে কদম্ব কেশরের স্মৃতি চিহ্ন মুছে ফেলে, বাংলার পল্লী প্রকৃতিকে হাসিয়ে
কাঁদিয়ে সুন্দরী বর্ষা বিজয় গ্রহণ করে।
সচারচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নে বাংলাদেশের ছয় ঋতুর বৈশিষ্ট্য
প্রশ্নঃ গ্রীষ্মকাল কে কি বলা হয়?
উত্তরঃ গ্রীষ্মকালকে মধুমাস বলা হয়।
প্রশ্নঃ ঋতু রাজা কোনটি?
উত্তরঃ ঋতুর রাজা হল বসন্তকাল।
আরো পড়ূনঃ দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান রচনা
প্রশ্নঃ ঋতুর সৃষ্টি হয় কি কারনে?
উত্তরঃ পৃথিবীর স্পিন অক্ষ তার কক্ষপথ সমতলের সাপেক্ষে হেলে আছে তাই ঋতুর
সৃষ্টি হয়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশ অক্টোবর কি ঋতু?
উত্তরঃ বাংলাদেশে অক্টোবর হলো বর্ষাকাল।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে কি শীতকাল আছে?
উত্তরঃ বাংলাদেশ হলো ছয় ঋতুর দেশ। এখানে শীতকালটা বেশ জাকজমক ভাবে আসে।
বাংলাদেশের ছয় ঋতুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কিছু কথা
অপরূপ রূপময় দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ। ঋতুতে তার দিগন্ত জুড়ে রূপের মেলা
বসে।আনহিক গতি ও বার্ষিক গতির প্রেরণায় পৃথিবীতে আর সূর্য পরিক্রমার পথে
অগ্রসর হয়ে চলে। তার সঙ্গে ছন্দ মিলিয়ে চলে ঋতুর পর ঋতুর বর্ণান্ধ
শোভাযাত্রা। ঋতু বৈচিত্রের এমন অপরূপ প্রকাশ বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথাও তেমন দেখা
যায় না। তাই জীবনানন্দ দাশ বাংলাদেশকে বলেছেন রূপসী বাংলা। প্রতিটি ঋতু
এখানে প্রকৃতিকে সাজায় তার অপরূপ রূপসজ্জায়।
তারপর তার সেই রূপ আবার মুছে ধরে নিয়ে বিদায় নিয়ে চলে যায়। যেমন
গ্রীষ্মকাল ঋতু আসে এক গম্ভীর চেহারা নিয়ে। আবার চলে যায় বর্ষা ঋতুর পানির
ফোয়ারায় সবাইকে ভিজিয়ে দিয়ে। এবং নিজেও ধুয়ে মুছে চলে যায়। এভাবেই এক ঋতু
যাই চলে এবং অন্য ঋতু আসে।
শরৎ ঋতুর বৈশিষ্ট্য
শরৎরে তোর বৈশিষ্ট্য দেখলে দেখা যায় বর্ষার বিদায়ের পর আবার বঙ্গ প্রকৃতির
রূপের রঙ্গমঞ্চে ঘটে পট পরিবর্তন। বর্ষণ ক্ষান্ত লঘুভার মেঘ অলস মন্থর ছন্দে
নিরুদ্দেশে ভেসে চলে। বর্ষণ ধৌত, যুক্ত আকাশে সুনীল রূপ ক্লান্তি, আলো ছায়ার
লুকোচুরি, শিউলি ফুলের মন উদাস করা গন্ধ, নদী তীরে কাশফুলের অপূর্ব সমারোহ,
এ অনুপম রূপশ্রী নিয়ে ঘটে শারদলক্ষে আনন্দময় আবির্ভাব। শরৎ ঋতুর বৈশিষ্ট্য আর
একটি অন্যতম একটি দিক যে সড়ক ঋতুতে সাদা মেঘ বেশি দেখা যায় আকাশের বুকে।
রূপালী জোসনার অপরূপ রথে চড়ে যেন শারদ লক্ষ্যের ঘটে মর্তাগমন। চারিদিকে
সৌন্দর্যের দরজা খুলে যায়। বাংলাদেশের রূপ লাবণ্য যেন কানায় কানায় পরিপূর্ণ
হয়ে ওঠে। সোনার রঙ ধরে শরতের রোদ্দুরে। আসে শারদীয় উৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়
দুর্গাপূজায় মেতে ওঠে। শেষ করে শরৎকালে হিন্দুদের দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা
মাসের ভাদ্র ও আশ্বিন এই দুই মাস নিয়ে শরৎকাল গঠিত হয়।
হেমন্ত ঋতুর বৈশিষ্ট্য
হেমন্ত ঋতুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এবার জানি আসুন। শরৎকালের পরে আসে
হেমন্তকাল। কিন্তু হেমন্তের নেই শরতের মত বর্ণ বাহার, আছে শুধু ব্যর্থ বৈরাগ্যের
ভীষণ বিষন্নতা। হেমন্ত যেমন ধবল কুয়াশার আবরণে মুখ ঢেকে এক নিঃসঙ্গ সাধনায় মগ্ন
থাকে। আর সেই সাধনা তার ফসল ফলাবার সাধনা। মাঠে মাঠে ধান পেকে যায়। ক্ষেত খামারে
হেমন্তের রাশি রাশি ভরা ভরা সোনার ধান উঠতে থাকে। কৃষকের সময় কাটে এক অন্তহীন
কর্মব্যস্ততার মাঝে। হেমন্তের ভূষণ নেই।
আরো পড়ূনঃ ডিসেম্বর মাসের ছুটির তারিখ সমূহ
এই সময় নতুন ফসল ঘরে তুলে কৃষকরা নবান্ন উৎসবে মেতে ওঠে। হেমন্তের ফুলের কোন
বাহার নেই, সৌন্দর্যের জৌলুশ নেই, রূপসজ্জা নেই অফুরন্ত প্রাচুর্য। কিন্তু
আছে মমতাময়ী নারীর এক অনিবার্য নিয়োগ কল্যাণীর রূপশ্রী। নিশির শিশিরে
সিক্ত হয় সবুজ ঘাস, গুল্মলতা এবং বৃক্ষরাজী। রূপালী হেমন্ত মানব মনে বয়ে
নিয়ে আসে আনন্দ, তারপর শিশিরের নিঃশব্দ চরণে সেও একদিন নিয়ে চলে যায়
বিদায়। মূলত বাংলা মাসের আশ্বিন ও কার্তিক এই দুই মাস নিয়ে হেমন্তকাল।
শীত ঋতুর বৈশিষ্ট্য
শীত ঋতুর বৈশিষ্ট্য খেয়াল করলে দেখা যায় বাংলাদেশের স্বীকৃত আসে এক
বৈচিত্র্যময় রূপ নিয়ে। এক অন্যরকম ঢং নিয়ে চলে আসে শীত ঋতু।
হেমন্তের পৌরত্তের পড়া সে জড়তা গ্রস্ত শীতের নির্মম বার্ধক্য। শুষ্ক
কাঠিন্য ও রিক্ততার বিষাদময় প্রতিমূর্তি রূপে শীতের আবির্ভাব ঘটে। তার হিমশীতল
রূপ-মুর্তের মধ্যে প্রচ্ছন্ন রয়েছে তপস্যার কঠোর আত্মপীড়ন এবং বৈরাগ্যের ধূসর
মহিমা। এ সমে ধান কাটা মাঠে কি সীমাহীন শূন্যতা, কি বিশাল কারণ্য! তারপরও
ঘরে ঘরে আনন্দ।
কনকনে শীতের তীব্রতায় খেজুর রসের মিষ্টি মধুর আর ভেসে শিশির ভেজা ভোরের উদীয়মান
রবির কিরণ বাড়ির ওঠান কে যখন আলোকিত করে, তখন রোদে পিঠ ফিরিয়ে বাড়ির আঙিনায়
পিঠা পায়েস ও মুরগির আনন্দে সবাই আস্বাদন করে শীতের রূপ-বৈচিত্রকে। সর্বত্যাগী
সীতার সর্বস্ব ত্যাগ করে আমাদের পূর্ণতা করে নিয়ে নিরবে চলে যায়। ত্যাগের কি
অপরূপ মহিমা! এ ত্যাগের অপরূপ মহিমায় তার সর্বাঙ্গ ভাস্বর। বাংলা
মাসের পৌষ ও মাঘ দুই মাসকে নিয়ে শীত ঋতু গঠিত।
বসন্ত ঋতুর বৈশিষ্ট্য
বসন্তের আবির্ভাব কে সম্ভব করে তুলবার জন্যই মৌন তাপস শীতের যেন কঠোর তাপস্যা।
আসে ঋতুরাজ বসন্ত, আসে পুষ্প মালা বিচরণের লগ্ন। দক্ষিণের মৃদুমন্দ বাতাসের জাদু
স্পর্শে শীতের জড়াগ্রস্থ পৃথিবীর সর্বাঙ্গে লাগে অপরূপ শিহরণ।
বাতাসের মর্মর ধ্বনির এবং দূর বনান্তরাল থেকে ভেসে আসা কোকিলের কুহু
গীতি পৃথিবীতে অনুরাগের প্লাবন ছোটায়। শিমুল কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম উচ্ছ্বাসে,
মধুমালতী ও মাধবী মঞ্জুরের গন্ধ ও বর্ণের তুমুল কলা হলে লেগে যায় এক আশ্চর্য
মাতামাতি।
আবার শেষ বসন্তে তার এক বর্ণবিলাস, প্রাণ প্রাচুর্যের জোয়ারে আসে ভাটা।
গ্রীষ্মের জন্য ক্ষেত প্রস্তুত করে ঋতুরাজ বসন্ত নেয় বিদায়। বাংলা মাসের
শেষ দুটি মাস নিয়েই আমাদের ঋতু শেষ। বাংলা মাসের শেষ দুটি মাস হলো ফাল্গুন ও
চৈত্র এই দুই মাসেই বসন্তকাল পদার্পণ করে আবার চলে যায়।
লেখক এর মন্তব্যে বাংলাদেশের ছয় ঋতুর বৈশিষ্ট্য
রূপসী বাংলার এ রকম বিচিত্র ঋতুচক্র নানা বর্ণ গন্ধ গানের সমরহ নিয়ে নিত্য
আবর্তিত হচ্ছে। একে তো যায় আর এক ঋতু আসে। বাংলাদেশের রূপসাগরে লাগে ঢেউ।
কিন্তু শহরবাসী ও শহর মুখে বাঙালি আজ আর অন্তরে তার নিয়ন্ত্রণ অনুভব করে না। আজ
আমরা প্রকৃতিকে নির্বাচিত করে বরণ করে নিচ্ছি উগ্র নাগরিকতার তপ্ত নিঃশ্বাস।
কিন্তু অপেক্ষিত প্রকৃতি একদিন না একদিন এর প্রতিশোধ নিতে চাইবেই।
বাংলাদেশের ছয় ঋতুর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আশা করি আপনি সঠিক ধারণা পেয়েছেন। এবং
আমি মনে করব আপনি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণটি পড়েছেন। আমরা যে জন্মেছি
বাংলাদেশে তাই আমরা ভাগ্যবতী অথবা ভাগ্যবান। কারণ আমরা যদি বাংলাদেশে জন্ম না
নিতাম তাহলে হয়তো আমরা ছয়টি ঋতু নিজের চোখে দেখতে পারতাম না। আমরা গর্বিত কারণ
আমরা বাংলাদেশ জন্মগ্রহণ করেছি।
আমাদের এই পোস্টে আপনার পছন্দ হলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
"ধন্যবাদ"
SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url