রমজান মাসের ফজিলত ও গোপন ৮ টি আমল

রমজান মাসের ফজিলত আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এত পরিমাণের দিয়েছেন যে এই রমজান এর ফজিলত সম্পর্কে বলে শেষ করতে পারবো না। এই রমজান মাসে আল্লাহ আমাদের এমন এমন ফজিলত দিয়েছেন যে অল্প আমল করলে বেশি নেকি পাওয়া যাবে।

রমজান মাসের ফজিলত

রমজান মাস ইসলাম ধর্মে এক মহিমান্বিত ও অত্যন্ত বরকতময় মাস। এই মাসটিকে মুসলমানদের জন্য গুনাহ মাফের মাস বলা হয়। কারণ এই মাসে শয়তানকে বেঁধে রাখা হয় হলে গুনাহ কম হয় এবং আল্লাহর কাছে যতই গুনাগার ব্যক্তি হোক মন থেকে ক্ষমা চাইলে ও তওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।

পোস্ট সচিপত্রঃ রমজান মাসের ফজিলত

রমজান মাসের ফজিলত এবং তাৎপর্য

রমজান মাসের ফজিলত আমাদের সকল মুসলিম জাতির জন্য জেনে নেওয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ বছরে একবার রমজান মাস আসে, সেই রমজান মাসের ফজিলত যদি আমরা না জেনে এবং ফজিলত অনুযায়ী আমল করতে না পারি তাহলে, আমাদের জীবন থেকে একটি রমজান হারিয়ে যাবে। কিন্তু আমরা ফজিলত জানি না বিধায়, কিভাবে আমল করতে হয় এগুলো জানি না বিধায় আমরা একটি রমজান হারিয়ে অনেক সওয়াব এবং পূর্ণ থেকে বঞ্চিত থাকবো।

রমজান মাস হলো শাহরুল কুরআন বা কুরআনের মাস। কারণ এই মাসেই আল্লাহ তায়ালা আমাদের শেষ নবীর ওপর কুরআন মাজীদ কিতাবটি নাযিল করেছিলেন। এ মাসে মূলত কুরআনের মহিমা এবং আল্লাহর বাণীকে স্মরণ রাখার সময়। এই মাসে মূলত মুসলিম জাতিকে ট্রেনিং দেওয়া হয়। এই রমজান মাসে মুসলমানরা যেভাবে পাপ থেকে দূরে থাকে, যেভাবে নামাজ আদায় করে ঠিক সেভাবে যেন সারা বছর পাপ থেকে দূরে থাকে তার ট্রেনিং দেওয়া হয়।

রমজান মাসে প্রতিটি মুহূর্তকে ইবাদতের মাধ্যমে পূর্ণ করা যায় এবং আল্লাহর দয়া, ক্ষমা এবং মুক্তির বিশেষ সুযোগ পাওয়া যায়। যেটি অন্য কোন মাসে তেমনভাবে পাওয়া যায় না। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ রমজান এই মাস, যাতে কুরআন নাযিল হয়েছে মানবজাতির হেদায়েত হিসাবে এবং সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য।(সূরা আল বাকারা। আয়াতঃ ১৮৫)। কুরআন মাজীদ শুধু একটি ধর্মীয় বই নয় এটি মানুষের জীবন কিভাবে পরিচালনা করতে হবে তার একটি গাইড বা পূর্ণাঙ্গ নির্দেশিকা।

রমজান মাসের রোজার ফজিলত

রমজান মাসে রোজার ফজিলতঃ রমজানের প্রধান ইবাদত হল রোজা বা সাওম। ম রোজা মানে সকাল থেকে সূর্য অস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে অর্থাৎ খাওয়া থেকে বিরত থাকা। তবে এটি কেবল শারীরিক সীমাবদ্ধতাই নয়, বরং রোজার প্রকৃত অর্থ হলো আত্মশুদ্ধি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের ইচ্ছাকে সংযতক করে রাখা। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ বলেন রোজা আমার জন্য এবং আমি এর প্রতিদান দিব।(সহিহ বুখারী)

রোজা রাখলে শারীরিক উপকারিতাঃ 
  • রোজা রাখার ফলে দেহের বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে আসে। এবং পেট ও পরিপাকতন্ত্রের কাজের জন্য বিশ্রাম হয় যার ফলে দেহকে পুনর্গঠন এর সুযোগ করে দেয়।
  • রোজা রাখার ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, এর ফলে স্মৃতিশক্তির উন্নত হয়।
  • যাদের ওজন বা মেদ বেশি হয়ে গেছে তারা যদি রোজা রাখে তাহলে ওজন কমানোর কাজে রোজা বেশ কার্যকারী।

আরো পড়ূনঃ র দিয়ে সাহাবীদের নাম অর্থসহ

রোজার আত্মিক উপকারিতাঃ

রোজার মাধ্যমে মুমিনরা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে এবং আল্লাহর প্রতি আরো বেশি আন্তরিক হয়। রোজা রাখার মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তিদের ধৈর্য শক্তি আরো বৃদ্ধি পায়। যেটা জীবনের অন্যান্য কাজে ভূমিকা রাখে। রোজা রাখার ফলে নফসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হয়। যেটি মানুষকে পাপ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও আরো অনেক ফজিলত এবং উপকারিতার রয়েছে রোজা রাখা এবং রমজান মাসের জানতে হলে এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

রমজান মাসে তারাবির তাৎপর্য

রমজান মাসে তারাবির তাৎপর্য অসাধারণ গুরুত্ব বহন করেন। ইসলাম ধর্মের তারাবির নামাজের বিশেষ স্থান রয়েছে। তারাবির নামাজ পড়া সুন্নত, তারাবির নামাজ রমজান মাসের প্রতি রাতে এশার নামাজের পর আদায় করা হয়। তারাবির নামাজ হলো রমজান মাসে মুসলিমদের জন্য অতিরিক্ত ইবাদত হিসেবে প্রবর্তিত হয়েছে। আল্লাহর ইবাদত আরো বেশিক্ষণ ধরে করা হয় এই তারাবির নামাজ পড়লে। এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ এবং আত্মশুদ্ধির জন্য এক বিশেষ মাধ্যম।

কোরআন তেলাওয়াতঃ তারাবির নামাজে সাধারণত কোরআনের দীর্ঘ অংশ তেলাওয়াত করা হয়। গোটা রমজান মাসে তারাবিতে কুরআন খতম করার প্রচলন রয়েছেন। ৩০ দিনে কোরআনের ৩০ পারা তারাবি নামাজের মাধ্যমে খতম করা হয় এই তারাবিকে বলা হয় খতম তারাবি। যার ফলে মুসলিমদের জন্য  কোরআনের সাথে সম্পর্ক গভীর করার একটি বড় সুযোগ থাকে। এর ফলে মুসলিমদের কোরআনের জ্ঞান ও শিক্ষা উন্নত হয় এবং এখান থেকে মুসলিমগণ শিক্ষা লাভ করেন।

পাপ মোচনঃ একটি হাদিসে বর্ণিত রয়েছে যে, যারা ঈমান সহকারে ও আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে রমজানের রাতে ইবাদত করে অর্থাৎ তারাবি সহ যে সকল ইবাদত রয়েছে সে ইবাদত গুলো করে তাদের পূর্বের গুনাহগুলো মাফ করে দেন আল্লাহ। এই বিশেষ ফজিলত তারাবিকে আরো তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।

রাতের ইবাদত গুরুত্বপূর্ণঃ রমজানের রাত হল বড়ই বরকত ময় রাত। রমজানের রাতগুলো বিশেষ ফজিলত পূর্ণ হয় এই রাতের ইবাদত গুলো আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। তারাবি সেই রাতের ইবাদতের একটি অংশ যা মুসলিমদের জন্য আল্লাহর ইবাদতে রাত কাটানোর সুযোগ প্রদান করে। রমজানের রাতগুলোকে আরো বরকতময় করে তোলে।

রমজান মাসে ইফতারের ফজিলত ও নিয়ম

রমজান মাসে ইফতারের ফজিলত ও নিয়ম গুলো আমাদের জেনে রাখা খুবই জরুরী। ইফতার হলো সেই মুহূর্ত যখন মুসলিমরা দিনের রোজা ভাঙ্গে, যা সূর্য অস্তের পর করা হয়। এটি শুধুমাত্র শারীরিক উপশমের সময় নয় বরং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মুহূর্ত ইফতারের সময় বিশেষ দোয়া এবং নিয়মাবলী অনুসরণ করলে আল্লাহর থেকে বিশেষ নেকিও রহমত পাওয়া যায়। তাই আমাদের ইফতারের ফজিলত এবং ইফতার কিভাবে করব সেই নিয়মগুলো জেনে রাখা খুবই জরুরী।

ইফতারের ফজিলতঃ হাদিসে বর্ণিত রয়েছে রাসূল সাঃ বলেছেন রোজাদারদের জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। একটি হলো যখন সে ইফতার করে এবং দুই, যখন সে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে।((বুখারী, মুসলিম)। সময় বিশেষ এক ধরনের ফজিলত বোঝানোর জন্য এটি বলেছিলেন আমাদের নবী। রোজাদারদের জন্য দুনিয়াতে এটি আনন্দের সময় এবং আখেরাতে আল্লাহ থেকে পুরস্কারের আশ্বাস প্রদান করে।


হাদিসে আরো বলা রয়েছে রোজাদারদের ইফতারের সময় তারা যে দোয়া করে তা প্রত্যাখ্যান করা হয় না। রাসূল সাঃ বলেছেন তিন ব্যক্তির দোয়া প্রত্যাখ্যান করা হয় না, এক হল রোজাদারদের ইফতারের সময়, দুই হল ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া, এবং তিন নাম্বার হলো মজলুমের দোয়া (তিরমিজি)।

ইফতার করার নিয়মঃ ইফতারের সময় বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। সে সকল নিয়ম সমূহ মেনে আমাদের ইফতার করা উচিত। আসুন তাহলে জেনে নেই রোজা রেখে সারা দিন পর ইফতার করব কিভাবে।
  • সঠিক সময়ে ইফতার করা। অনেকে দেখা যায় দেরি করে ইফতার করে এটি মোটেও ঠিক না একদম সঠিক সময়ে ইফতার করা উচিত। অর্থাৎ সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে।
  • ইফতারের সময় হলে প্রথমে খেজুর খাওয়া এটি সুন্নত। আমাদের নবী ইফতারের সময় সর্বপ্রথম খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। আর যদি খেজুর না থাকে তাহলে পানি পান করা প্রথমে।
  • ইফতারের দোয়া পড়ার পর ইফতার করা।
  • ইফতারের আগে রোজাদারের ব্যক্তিদের দোয়া যেহেতু কবুল হয় তাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে দোয়া করে ইফতার করতে শুরু করা উচিত এ ক্ষেত্রে এটি আপনার জন্যই লাভ জনক হবে।
  • ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকা।
  • মাগরিবের নামাজ আদায়ের সময়ের আগেই ইফতার শেষ করা।

যাকাত ও সদকা করলে কেমন সওয়াব রমজান মাসে

যাকাত ও সদকা করলে কেমন সওয়াব রমজান মাসে জানতে চান জানতে হলে আমাদের এ পোস্টটি সম্পন্ন পড়ুন। রমজান মাসে যাকাত ও সাদকা করলে অন্যান্য মাসে তুলনায় কয়েক গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। ইসলামের পাঁচটি স্তরের মধ্যে যাকাত হল একটি স্তর। যাদের নিসাব পরিমাণ অর্থ রয়েছে অর্থাৎ যাকাত ফরজ হয়ে গেছে তাদের জন্য যাকাত হল বাধ্যতামূলক। তারা যদি যাকাত না দেয় তাহলে গুনাগার হবে। আর রমজান মাসের সাদকা করলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়।
যাকাত ও সদকা করলে কেমন সওয়াব রমজান মাসে
যাকাত আদায় করলে আল্লাহর সন্তুষ্টির অর্জিত হয় এবং রোজাদারদের ঈমান আরো দৃঢ় হয়। রমজান মাসে যাকাত প্রদান করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ নেকি লাভ করা যায় এবং এই মাসে এক আমলের প্রতিদান ৭০ গুণ বেশি। অর্থাৎ আপনি যদি ১ টাকা দান করেন তাহলে সেই দানটি হবে ৭০ টাকা দান করার সমান। অর্থাৎ আপনি ৭০ টাকা দান করলে অন্য মাসে যে সব পেতেন রমজান মাসে ১ টাকা দান করলে ৭০ টাকা দানের সব পাওয়া যাবে।

সাদকা হলো স্বেচ্ছায় দান করা। যেটা বাধ্যতামূলক নয় যাকাতের মত। তবে সাদকা করা রমজান মাসে খুবই ফজিলতপূর্ণ একটি কাজ। হাদিসে বর্ণিত রয়েছে রমজান মাসে আল্লাহ প্রতিটি সৎকর্মের প্রতিদান কে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও যাকাত ও সদকা করলেন আপনি আরো অনেক ফজিলত পাবেন।
যেমনঃ
  • গুনাহ মাফের সুযোগ পাবেন।
  • আখেরাতের জন্য পুঁজি সংগ্রহ করতে পারবেন।
  • কঠিন সময় থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাল্লাহ।

রমজানের পূর্ণ ফজিলত লাভের উপায়

রমজানের পূর্ণ ফজিলত লাভের উপায় আপনি কি জানতে চান তাহলে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। রমজানের পূর্ণ ফজিলত লাভ করতে হলে কিছু আমল এবং আচার-আচরণ মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। রমজান হলো এমন এক মাস যা আত্মশুদ্ধি, সংযম এবং আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য। আমরা করে থাকি। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক রমজানের পণ্য ফজিলত পেতে হলে আমাদের নিয়মিত কি কি করতে হবে।


পূর্ণ ফজিলত লাভের উপায়ঃ
  • সঠিকভাবে রোজা পালন করতে হবে।
  • রমজান যেহেতু কোরআন নাজিলের মাস তাই কোরআন বেশি বেশি পড়তে হবে।
  • নিয়মিত তারাবির নামাজ আদায় করতে হবে।
  • লাইলাতুল কদরের সন্ধান করতে হবে।
  • নাজাতের ১০ দিন মসজিদে ইত্তেকাফে থাকতে পারেন এটি অনেক অনেক বেশি ফজিলত। মেয়েরা তাদের বাড়িতেই থেকে থাকতে পারে একটি ঘরের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে।
  • ইস্তেগফার বেশি বেশি ও তওবা বেশি বেশি পড়া।
  • দান সাদকা বেশি বেশি করা।
  • সঠিক চরিত্র ও সংযম রক্ষা করতে চেষ্টা করা।
  • আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা।

রমজান মাসের গোপন ৮ টি আমল

রমজান মাসে গোপন ৮ টি আমল নয় আরো অনেক আমল রয়েছে যেগুলো আপনি গোপনে করলে আল্লাহ তা'আলা আপনার উপর বেশি খুশি হবেন। গোপন আমল করার জন্য আপনাকে একান্ত ব্যক্তিগতভাবে এই আমলগুলো পালন করতে হবে যেন মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ না হয়। এবং একদম মন থেকে আল্লাহ তাআলার জন্যই আপনি এই আমল গুলো করছেন সেটি মনের মধ্যে রাখতে হবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক রমজান মাসের ফজিলত গুলো এবং আমলগুলো।

গোপন আমলঃ 
  1. সেহরির সময় গোপনে দোয়া করা।
  2. গোপনে কোরআন তেলাওয়াত করা।
  3. গোপনে দান সদকা করা।
  4. গোপনে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।
  5. গোপনে অন্যের জন্য দোয়া করা।
  6. গোপনে ইফতার পাঠানো।
  7. গোপনে কাউকে ক্ষমা করা।
  8. গোপনে আল্লাহর কাছে তওবা করা।
  9. গোপনে কারো অভাব পূরণ করা অর্থাৎ সাহায্য করা।
  10. গোপনে কাউকে ঈমানের পথে উৎসাহিত করা।
  11. গোপনে ইসলাম শিক্ষা গ্রহণ করা।

শবে কদর রমজান মাসে

শবে কদর রমজান মাসে একটি মহিমান্বিত রাত। রমজান মাসের শেষে ১০ দিন অর্থাৎ নাজাতের ১০ দিন এর মধ্যে বিজোড় রাত্রি গুলোর মধ্যে একটি রাত রয়েছে যাকে শবে কদর বা লাইলাতুল কদর বলা হয়। এ রাতের ইবাদত এতটাই ফজিলতপূর্ণ যে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলে বর্ণিত হয়েছে হাদিসে। আল্লাহতালা এই রাতকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন এবং এই রাতে কুরআন নাযিল করেছিলেন।
শবে কদর রমজান মাসে
কুরআনে আল্লাহতালা বলেনঃ " নিশ্চয়ই আমি কুরআন নাযিল করেছি কদরের রাতে। আর আপনি জানেন কি সেই কদরের রাত কি কদরের রাত ১ হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।"(সূরা আল কদর)

লাইলাতুল কদর শব্দের অর্থ হলো ফজিলতের সম্মানের রাত। এ রাতে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের প্রতি অসীম রহমত বর্ষণ করেন। এটি এমন এক ধরনের রাত যা আল্লাহর নৈকট লাভের জন্য বিশেষ  গুরুত্বপূর্ণ। লাইলাতুল কদরকে আল্লাহ এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলে বর্ণিত করেছেন। এটি বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তাআলার এক বিশাল বড় উপহার। যদিও নির্দিষ্ট ভাবে লাইলাতুল কদরের রাত সম্পর্কে জানা যায়নি তবে রমজান মাসের শেষ দশকের বেজের রাত্রি গুলো জেগে থাকার কথা বলা হয়েছে।

রমজান মাসে সেহরি খাওয়ার ফজিলত

রমজান মাসের সেহরি খাওয়ার ফজিলত রয়েছে অনেক। রমজান মাসে সেহেরী খাওয়া হলো একটি সুন্নতি ইবাদত। যে রোজা রাখে অথচ সেহেরী খায় না সে আমাদের নবীর একটি হুকুম অমান্য করল। এটি রোজার শারীরিক এবং আধ্যাত্মিক উভয় দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর তার থেকে বড় কথা আমাদের মহানবী সাঃ এর একটি সুন্নত যেটাকে আমরা অমান্য করতে পারিনা। তাই রোজা রাখতে হলে অবশ্যই আমাদের নবীকে অনুসরণ করতে হবে এবং রমজান মাসের সেহরি খেতে হবে।

আমাদের নবী নিজেও সেহরি খেতেন এবং অন্যদেরকেও সেহেরী খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে গেছেন। সেহেরী শুধু রোজার প্রস্তুতি অংশ নয় এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বরকতময় খাবার। সেহরি খাওয়ার সময় ফেরেশতারা রোজাদারদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। এছাড়া সেহরি খেতে উঠলে শেষ রাতের ইবাদত করা যায়। এবং সেহরি হল রোজার পূর্ণতা। যদি সেহেরী না খাওয়া যায় তাহলে রোজার পূর্ণতা হয় না।

লেখকের মন্তব্যে রমজান মাসের ফজিলত

আশা করি আমাদের এই পোস্টে আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এবং আপনি আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। এবং আপনি জানতে পেরেছেন রমজান মাসে কি কি ফজিলত রয়েছে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কিভাবে আপনি ইবাদত করবেন তাহলে বেশি সওয়াব পাবেন। রমজান মাসের সকল ফজিলত এবং তাৎপর্যতা নিয়ে এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি মনোযোগ সহকারে পড়লে অবশ্যই বুঝতে পারবেন।

তবে এই আর্টিকেলটির মধ্যে কোরআন এবং বিভিন্ন হাদিস এর আয়াত সম্পর্কে বলা হয়েছে যদি এর মধ্যে কোন ভুল থাকে তাহলে আমাদের অফিসে কমেন্টে জানিয়ে দিবেন আমরা পরবর্তীতে আপডেট করে দিব ইনশাআল্লাহ। আপনি নিজে লাভবান হন এবং অন্যকে লাভবান হতে দিলে আপনি তার  সমপরিমাণ সওয়াব পাবেন। তাই আপনিও জানুন এবং ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এবং যেকোনো সমস্যায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url