পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান আপনার নেই? সম্পূর্ণ হবে সাধারণ জ্ঞান নিতে হলে পদ্মা সেতু সম্পর্কে তাহলে আমাদের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। পদ্মা সেতু বিষয়ে আপনার যেগুলো জানা প্রয়োজন এমন সকল বিষয়ে আমরা তুলে ধরেছি এ পোস্টের মধ্যে।

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

পদ্মা সেতু কোথায় অবস্থিত, কোন নদীর তীরে অবস্থিত, কত টাকা ব্যয় হয়েছে এ সকল সকল ধরনের প্রশ্ন এবং উত্তর এবং আপনার অজানা সকল বিষয়ে আমরা এখানে তুলে ধরেছি। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক পদ্মা সেতুর সম্পর্কে। এবং আমাদের সাধারণ জ্ঞানকে বাড়িয়ে নিই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

ভূমিকাতে পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে নির্মাণাধীন একটি সেতু। এই শুধু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটাবে। এই সেতুকে কেন্দ্র করে মনে মনে স্বপ্ন বুনছে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ। সকলের আশা এ পদ্মা সেতু বদলে দেবে দেশের অর্থনীতি এবং উন্নত হবে মানুষের জীবনযাত্রা। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এ প্রকল্প খুলে দেবে নতুন সম্ভাবনার দোয়ার। ঠিক তেমনি দেখা যাচ্ছে এখন।

পদ্মা সেতু হওয়ার পর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। যে পথ পাড়ি দিতে অনেক সময় লাগতো সে পথ পাড়ি দিতে এখন অনেক কম সময় লাগে। অনেক ব্যবসায়ীদের এখন লাভের পরিমাণ বেড়েছে এই পদ্মা সেতুর জন্য কারণ পথের ভাড়া কমেছে, পথের দূরত্ব কমেছে এজন্য। পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান আপনি নিতে চাইলে এই আর্টিকেলটি আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। একদম সত্যি এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য দিয়ে থাকি আমরা।

ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব

ভৌগলিক প্রেক্ষাপটে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এদেশের বুক চিরে বয়ে রয়েছে অসংখ্য নদ নদী। তা যাতায়াত ব্যবস্থা আমাদের প্রতিনিয়তই নৌপথে আশ্রয় নিতে হয়। এতে যোগাযোগব্যবস্থার দীর্ঘ সুত্রিতা ও মন্থর গতি পরিলক্ষিত হয়। এ যাতায়াত ব্যবস্থাকে গতিশীল করার জন্য প্রয়োজন হয় সেতুর। যেমন এখন বাংলাদেশে পদ্মা নদীর উপর দিয়ে অবস্থিত সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরি হয়ে গেছে। যেটি এখন বাংলাদেশের ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটে অনেক গুরুত্ব রেখেছে।


সে তো থাকলে নদীর দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন উন্নতি হয়, তেমনি ব্যবসা বাণিজ্য ভালো হওয়ায় মানুষের জীবনমানেরও উন্নয়ন ঘটে। পদ্মা সেতু হওয়ার ফলে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা পদ্মা সেতুর মাধ্যমে সরাসরি উন্নত হয়েছে। আগে ভেরি ব্যবস্থার মাধ্যমে নদীর পাড়ি দিতে হতো, যেটির অনেক সময় ব্যয় হতো কিন্তু এখন পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মানুষ অল্প সময়ে নদী পাড়ি দিতে পারছে। পদ্মা সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমা অঞ্চলের ২১ টি জেলার সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছে।

পদ্মা সেতুর নির্মাণের প্রেক্ষাপট

পদ্মা সেতুর নির্মাণের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে এখন আসুন জেনে নেয়া যাক। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। এজন্যই এই অঞ্চলের মানুষ স্বাধীনতা উত্তর দেশের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারের কাছে তাদের দাবি বাস্তবায়নের কথা জানিয়ে এসেছে। অবশেষে সেতুর সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় এনে ১৯৯৮ সালে প্রথম সেতুর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সমীক্ষা যাচাইয়ের পর ২০০১ সালে এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

কিন্তু অর্থের জোগান না হওয়ায় সেতুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে যায়। পরবর্তীতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে। পরে ২০১১ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এই সেতুতে রেল পথ সংযুক্ত করে। পদ্মা সেতুর নির্মাণের প্রেক্ষাপটে দেখা যায় পদ্মা সেতুতে রেলপথ নিচে এবং উপরে সড়ক পথ রয়েছে।

প্রতিবন্ধকতা ও বাংলাদেশের সক্ষমতা

প্রতিবন্ধকতা ও বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজে। পদ্মা সেতুর স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প। বিভিন্ন সময় নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে এই প্রকল্পটি। ২০০৯ সালের পর বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদের সাথে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হয়। কিন্তু ২০১২ সালে ঋণ চুক্তি বাতিল করে বিশ্বব্যাংক। এরপর অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে পদ্মা সেতুর প্রকল্প। পরবর্তীতে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেয়।


ষড়যন্ত্রের বাধা জয় করে এগিয়ে চলে পদ্মা সেতুর কাজ। নিজস্ব অর্থায়নের দৃশ্যমান হতে থাকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। আজ ২০২৪ সালে আমরা দেখতে পাই সেই পদ্মা সেতুর দন্ডায়মান রয়েছে পদ্মা নদীর বুকে।

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ও বর্ণনা

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ও বর্ণনা আসুন বিস্তারিত জেনে নিই। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে পদ্মা সেতুই এখন বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য এখন ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ হবে ২১ দশমিক ১০ মিটার। এই সেতুটি দুই তলা বিশিষ্ট অর্থাৎ উপর দিয়ে উপর দিয়ে যায় সড়ক যানবাহন এবং নিজ দিয়ে রেল পথ তৈরি হয়েছে। সেতুটি নির্মিত হয়েছে কংক্রিট এবং স্টিল দিয়ে। সেতুর দুই পাশে বারো কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হয়েছে।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ও বর্ণনা

নদী শাসনের জন্য চীনের সিনহাইড্রো কর্পোরেশন কাজ পেয়েছিল। আর দুই পাশে সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য কাজ দেয়া হয়েছিল বাংলাদেশের আব্দুল মোমেন লিমিটেডকে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বুয়েট এবং কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে কর্পোরেশন এন্ড এসোসিয়েটস সেতুর নির্মাণ কাজ তদারকি করে। পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৪ টি নতুন স্টেশন নির্মাণ এবং ছয়টি বিদ্যমান স্টেশন উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।

নতুন ১৪ টি নির্মাণ হয়েছে-কেরানীগঞ্জ, নিমতলা, শ্রীনগর, মাওয়া, জাজিরা, শিবচর, ভাঙ্গা জংশন, নগরকান্দা, মুকসুদপুর, লোহাগড়া, নড়াইল, জামদিয়া ও পদ্মবিল। এছাড়া অবকাঠামো উন্নয়নের ছয়টি স্টেশন হলো ঢাকা, গেন্ডারিয়া, ভাঙ্গা, কাশিয়ানী, রুপদিয়া এবং সিঙ্গিয়া। মূল সেতুর পিলার হলো ৪২ টি। এর মধ্যে নদীর মধ্যে ৪০টি ও নদীর দুইপাশে দুইটি পিলার রয়েছে। নদীর ভিতরে ৪০টি পিলার ৬ টি করে মোট ২৪০ টি পাইল রয়েছে।

এছাড়া সংযোগ সেতুর দুই পাশে দুটি পিলারের ১২টি করে মোট ২৪টি পাইল থাকবে। পিলারের ওপর ৪১ টি স্প্যান বসানো রয়েছে। সোনার সোনালী রং সূর্যের তাপ কম শোষণ করে বলে পদ্মা সেতুর সোনালীর রঙ করা হয়েছে। মূল সেতুর কাজ পেয়েছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। এই সেতুর স্থায়িত্ব হবে ১০০ বছর বলে জানা গেছে।

পদ্মা সেতুর নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয়

পদ্মা সেতুর নির্মাণ সম্ভাব্য ব্যয় দেখতে গেলে দেখা যায় যে ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার  ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প পাশ করে। এরপর ২০১১ সালে প্রকল্পের সংশোধিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। এরপর ২০১৬ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণের দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধন করা হয়। এ সময় সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

প্রথম দিকে বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, জাইকা, আইডিবি এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০১২ সালে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরপর ২০১৪ সালের ৭ই ডিসেম্বর থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এবং নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০২২ সালের জুন মাসে। এবং উদ্বোধন হয় ২০২২ সালের ২৫শে জুন।

পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব

পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব সুদূর প্রসারিত। এই সেতু বাস্তবায়িত হয়ে এখন বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ টি জেলার মানুষের ভাগ্য বদলে গেছে। কেননা এই সেতুর মাধ্যমে রাজধানীর সাথে এই অঞ্চলের মানুষের সরাসরি সংযোগ সাধন ঘটায় অর্থনৈতিক গতিশীল হয়েছে। নিচের দিকে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব তুলে ধরা হলোঃ

  • শিল্প ক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর গুরুত্বঃ পদ্মা সেতুর নির্মিত হয়ে দেশে দক্ষিণ-পশ্চিমা অঞ্চলের সাথে সরাসরি উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের যোগাযোগ ঘটেছে। ফলে এই অঞ্চলে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন শিল্প খাত। তাছাড়া এই সেতুকে কেন্দ্র করে গতিশীল হয়েছে পায়রা সমুদ্র বন্দর। ফলে ব্যবসায়ের সুবিধার্থে স্থাপিত হয়েছে নতুন শিল্প কলকারখানা।
  • কৃষি ক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর গুরুত্বঃ বর্তমানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে ওই অঞ্চলের মানুষ তাদের উৎপাদ্য ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতো। কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা গতিশীল হয়েছে। ফলে এই অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সহজে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে এখন। ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে ওই অঞ্চলের।
  • দারিদ্র্য বিমোচনের পদ্মা সেতুর প্রভাবঃ পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এর মানুষদের দরিদ্র বিমোচনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় সেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ফলে অনেক মানুষ কর্মসংস্থান পেয়েছে। এবং ব বেকারদের কর্মসংস্থান হয়েছে কিছু।

পদ্মা সেতুর নেতিবাচক প্রভাব

পদ্মা সেতুর নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। পদ্মা সেতুর নানারকম ইতিবাচক দিক থাকলেও এর নেতিবাচক প্রভাব বিদ্যমান। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে দুই নদীর দুই পাড়ের কিছু মানুষের কর্মসংস্থান লোক পেয়ে গেছে। এক্ষেত্রে নদী পারাপারে নিয়োজিত লঞ্চ মালিকদের ব্যবসায়ী বিলুপ্ত হবে। তাছাড়া সবাই সেতু পারাপার করাতে লঞ্চ ও ফেরিঘাটে অবস্থিত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তথা দোকানদার, কুলি প্রভৃতি শ্রেণীর লোকদের ব্যবসায়ের মন্দা দেখা যাচ্ছে।
পদ্মা সেতুর নেতিবাচক প্রভাব
তবে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি সরকার যদি এসব ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করে তাহলে পদ্মা সেতুর নেতিবাচক প্রভাবগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। এ বিষয়েও সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে।

পরিবেশের ভারসাম্যে পদ্মা সেতুর ভূমিকা

পরিবেশের ভারসাম্য পদ্মা সেতুর ভূমিকা রয়েছে ব্যাপক।পদ্মা সেতু প্রকল্পকে কেন্দ্র করে নদীর দুই পাশে বিস্তৃত এলাকায় নদীর পাড় বাধা রয়েছে। ফলে ওই এলাকায় নদী ভাঙ্গন রোধ হয়েছে। এছাড়া নদীর দুইপাশে এবং সংযোগ সড়কের রাস্তার দুই পাশে বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। এতে সব এলাকার পরিবেশের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সবুজায়নের ফলে ওই এলাকা মরুকরণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।

আবার বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ জ্বালানি হিসাবে কাঠ ব্যবহার করে বলে অবাধে বৃক্ষ নিরোধ হচ্ছে। কিন্তু পদ্মা সেতু প্রকল্পের মাধ্যমে ওই অঞ্চলের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ দেওয়া সহজ হচ্ছে। এতে মানুষের জ্বালানির চাহিদা পূরণ হচ্ছে। ফলে বৃক্ষ নিধন কমে যাচ্ছে এবং পরিবেশের ভারসাম্য সুরক্ষিত হচ্ছে।

লেখকের মন্তব্যে পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান মোটামুটি আমরা পেয়েছি। তবে একটা কথা বলতে হয় পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মানুষের একটি স্বপ্নের নাম। বাংলাদেশের অর্থনীতির চেহারায় পাল্টে দিয়েছে। এই সেতুর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের গড়ে উঠেছে ব্যাপক শিল্প কারখানা, গার্মেন্টস এবং গোডাউন ইত্যাদি। ব্যবসা-বাণিজ্য এসেছে নতুন গতি। নানা অনিশ্চয়তাকে পাশ কাটিয়ে নিজেদের টাকায় বাঙালি স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে।

আশা করে আপনি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং পদ্মা সেতু বিষয়ক যে সকল সাধারণ জ্ঞান আপনার প্রয়োজন ছিল সবকিছু পেয়েছেন। তবু ও আরো অন্য কিছু জানা থাকলে বা কোন সাহায্য লাগলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন আমরা বলার চেষ্টা করব। অথবা যে কোন কিছু জানতে হলে কমেন্টে বলে দিতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url