মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট ও ঘরোয়া পদ্ধতি
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট ছাড়াও আরো ঘরোয়া পদ্ধতিতে মুখের দুর্গন্ধ দূর
করা যায়। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের পদ্ধতি রয়েছে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য
হোমিওপ্যাথি এবং এলোপ্যাথিক ঔষধ বাজারে বিক্রি করে। এছাড়াও মুখের দুর্গন্ধ দূর
করার জন্য টুথপেস্ট তো আছেই।
মুখে দুর্গন্ধের জন্য এসব টুথপেস্ট ব্যবহার করার ফলে দাঁত ভালো থাকে এবং মুখের
দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পাওয়ার যাই। অনেকে আমরা মুখের দুর্গন্ধ এই সমস্যায়
ভুগে থাকি। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য যে সকল
উপায় রয়েছে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
পোস্ট সূচীপত্রঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট
- স্থায়ীভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করার এলোপ্যাথিক ঔষুধ
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করার আমল
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে নাম
- মুখের দুর্গন্ধ দূর করার খাবার
- পেয়ারা মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
- লেখকের মন্তব্যে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট আমরা অনেকেই খুবই সস্তা অথবা নন ব্যান্ডের
টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকি। এর ফলে কি হয় আমরা মুখে দুর্গন্ধ সহ দাঁতের ক্যাভিটি
জনিত সমস্যা তে ভুগে থাকি। তাই আমাদের ব্র্যান্ডের টুথপেস্ট ব্যবহার করা উচিত।
এছাড়া মুখে যেন গন্ধ না হয় সেজন্য বিভিন্নভাবে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে
পারি। মুখে দুর্গন্ধ থাকার কারণে আপনিও লোক সমাজের মধ্যে কথা বলতে সমস্যায় পড়ে
থাকেন হয়তো। তাহলে দেখে নিই চলুন মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য টুথপেস্ট সমূহ।
টুথপেস্ট এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের রয়েছে। কিছু টুথপেস্ট রয়েছে সেগুলো বাংলাদেশে
পাওয়া যায় আবার কিছু টুথপেস্ট সেগুলো বাংলাদেশে পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু
বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
মেডি প্লাস ডি এস টুথপেস্টঃ এই টুথপেস্ট টি বাংলাদেশ একটি পণ্য। এই
টুথপেস্ট এ মুখের ভেতরের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য যে সকল উপাদান থাকা
প্রয়োজন সে সকল উপাদান রয়েছে। এছাড়াও দাঁত কে সুরক্ষা রাখতে এবং দাঁতের
ক্যাভিটি ধ্বংস করার বিভিন্ন অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান গুলো বিদ্যমান
রয়েছে। আপনি যদি মেডি প্লাস ডি এস টুথপেস্ট ব্যবহার করেন তাহলে মুখের দুর্গন্ধ
থেকে এবং দাঁতের ক্যাভিটিজনিত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
Colgat Total টুথপেস্টঃ Colgat Total টুথপেস্ট এ রয়েছে
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ট্রাইকোসান যেটি মুখের মধ্যে ব্যাকটেরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ
করে। এই টুথপেস্ট টি ব্যবহার করার ফলে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা দেয় এবং মুখকে
ঠান্ডা এবং সজীব রাখে। আপনি যদি এই টুথপেস্ট নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে
মুখের দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রান পাবেন।
পেপসোডেন্টঃ পেপসোডেন্ট এই বাংলাদেশি টুথপেস্ট টি বাংলাদেশের এমন কোন
মানুষ নাই যে এই টুথপেস্টের নাম জানা নাই। এটি খুবই কার্যকরী একটি টুথপেস্ট। এইট
টুথপেস্ট দাঁতের মাড়ির সমস্যা এবং ক্যাভিটি থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি মুখের
দুর্গন্ধ দূর করতে বেশ কার্যকর। টুথপেস্ট ছাড়াও আরো অনেক ভাবে মুখের দুর্গন্ধ
হতে কাটানো যায় সেই বিষয়ে জানতে হলে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণভাবে পড়তে থাকুন।
স্থায়ীভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
স্থায়ীভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় জানার জন্য আমরা অনেক জায়গায় খুঁজতে
থাকি। তাই আপনাদের জন্য স্থায়ীভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় নিয়ে চলে
এসেছে।মুখের দুর্গন্ধ হচ্ছে এক প্রকার লজ্জা জনক সমস্যা। তবে এই সমস্যা সমাধানের
জন্য বেশ কিছু উপায় রয়েছে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট আপনি ব্যবহার করতে
পারেন। আবার আপনি কিছু নিয়ম অবলম্বন করলে মুখের দুর্গন্ধ থেকে চিরতরে পরিত্রাণ
পাবেন।
আরো পড়ূনঃ ১ মিনিটে ঘুম আসার উপায়
উপায় গুলোঃ
- দিনে অন্তত দুইবার ব্রাশ করার অভ্যাস করুন।
-
অনেক সময় জিব্বায় ব্যাকটেরিয়া জমে যার কারণে মুখে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এ
কারণে প্রতিদিন জিহ্বা পরিষ্কার রাখুন।
-
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং শুষ্ক মুখ এড়ানোর জন্য লজেন্স অথবা
চুইংগাম চিবান।
-
ধূমপান ও মদ পান থেকে বিরত থাকুন। কারণ এগুলো মুখের দুর্গন্ধ ব্যাপকভাবে
ছড়ায়।
-
ব্রাশ করার সময়, সময় নিয়ে ব্রাশ করুন যেন কোন জায়গায় ফাক না থেকে
যায়।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার এলোপ্যাথিক ঔষুধ
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার এলোপ্যাথিক ঔষুধ এখন খুঁজে বেড়ান অনেকেই।মুখের
দুর্গন্ধ এমন একটি সমস্যা হয়ে পড়েছে যে মানুষ এখন ঔষধের খোঁজে ঘুরে বেড়ায়।
অনেকেই বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অথবা বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানে কথা বলার
সময় অনেক লজ্জায় পড়ে যান। মুখের দুর্গন্ধের জন্য লজ্জায় কথা বলতে পারেন না।
এজন্য বিভিন্ন জায়গায় মুখের দুর্গন্ধ দূর করার এলোপ্যাথিক ঔষধ খোঁজ করে থাকে।
আসুন তাহলে কিছু ওষুধের নাম জেনে নেওয়া যাক মুখের দুর্গন্ধ এড়ানোর জন্য।
ঔষধ এর নামঃ
- Chlorhexidine Mouthwash
- Metronidazole
- Hydrogen Peroxide Mouthwash
- Zink Gluconeet
- অ্যান্টিবায়োটিক থেরাপি
- সলিভারি সাবস্টিটিউট
- প্রবায়োটিক্স
- Tnidazole
তবে এই সমস্ত ঔষধ সেবন করার আগে নিকটস্থ কোনো স্বাস্থ্য ক্লিনিকে অথবা কোন
সুপরামর্শ ডাক্তারের কাছে অবশ্যই পরামর্শ নিবেন। পরামর্শ না নিয়ে যদি এই
ওষুধসময়ের মধ্যে কোনটি সেবন করেন এবং আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হন তাহলে এই
ওয়েবসাইটের কেউ দায়ী থাকবে না। যদি আপনার এই ঔষধ খাওয়া টি সুবিধা জনক মনে না
হয় তাহলে এই পোস্টে আরো অনেক পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেগুলো আপনি ব্যবহার করতে
পারেন।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার আমল
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার আমল করতে চাইলে আপনি আল কোরআনের ৩০ নং পারাতে সূরাতুল
জিলজাল এই সূরাটি আমল করতে পারেন। এছাড়া হরিণের তস্তুরিতে সূরাতুল জিলজাল লিখে
পান করলে আজীবনের মত মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। মনে রাখবেন আল
কুরআন এবং হরিণের তস্তুরি কখনো মিথ্যা হতে পারে না। কিন্তু একটা বিষয় হচ্ছে
হরিণের তস্তুরি পাওয়া অনেক কঠিন। তবে বিভিন্ন জায়গায় এর বিক্রি রয়েছে যেখান
থেকে ক্রয় করা সম্ভব।
আরো পড়ূনঃ সময়ের সাথে নিজেকে পরিবর্তন
তবে আপনি যদি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে চান তাহলে হরিণের তস্তুরি কিনে তাতে
সুরাতুল জিলজাল লিখে পান করার মাধ্যমে, আপনার মুখের দুর্গন্ধ আজীবনের জন্য
দূর করতে পারবেন। তাই কিছু খরচ হলেও মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য হরিণের
তস্তুরি কিনে তা আপনি পান করতে পারেন।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার হোমিও ঔষধের নাম গুলো চলুন জেনে নাও যাক। এ সকল ঔষধের
শুধু মুখের দুর্গন্ধ নয় আরো অনেক ধরনের উপকার পাওয়া যায়। মুখের দুর্গন্ধ রোধ
করতে হোমিও চিকিৎসা দুই ধরনের রয়েছে একটি হচ্ছে সাধারণ চিকিৎসা এবং অপরটি হচ্ছে
বায়োকেমিক চিকিৎসা। চলুন আগে সাধারণ চিকিৎসাগুলো দেখে নিন। সাধারণ চিকিৎসা গুলোর
মধ্যে অনেক চিকিৎসা রয়েছে অনেক ওষুধ রয়েছে।
হোমিও ঔষদের নামঃ
- অরাম মেটঃ যৌবনকালে স্ত্রী লোকদের মুখ, নাক দিয়ে পচা দুর্গন্ধ বাহির হলে অরাম মেট অব্যর্থ ফলপ্রদ। সেবন বিধিঃ শক্তি ২০০ বা 1m সকাল বিকাল দিনে দুই মাত্রা।
- এসিড নাইটঃ জীর্ণশীর্ণ কোন রোগের ঠোঁটের কোন ঘা বা অল্পতে ঠান্ডা লাগে। একটু অনিয়মিত আহারে পেট খারাপ করে প্রস্রাবে দুর্গন্ধ মুখ থেকে লালা পরে। এদের জন্য ২০০ বা 1m সকাল বিকাল দিনে দুই মাত্রা সেবন করলেই দুর্গন্ধ দূর হয়।
- মার্কুরিয়াস সলঃ জিহ্বা মোটা তাতে দাঁতের দাগ, ঘুমের ঘরে লালা পরে এবং মুখে ভয়ানক দুর্গন্ধ রোগীর সামনে দাঁড়ালে কথা বলা যায় না। সেবন বিধিঃ 1m,10m বা আরো উচ্চশক্তির দুই মাত্রা সেবনে উক্ত দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।
-
কার্বোভেজঃ মুখে পচা দুর্গন্ধ, ঢেকুর টক গন্ধযুক্ত রোগের
জন্য খুবই উপকারী এই ওষুধটি। সেবন বিধিঃ 30 বা 200 শক্তি দিনে দুইবার।
বায়োকেমিক চিকিৎসাঃ মুখে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের দুর্গন্ধ তে এটি উৎকৃষ্ট
ঔষধ। শক্তি 12x হতে উচ্চ শক্তি 2-4 বড়ি একমাত্রা বয়স অনুযায়ী দিনে
দুইবার।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায়
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে বিভিন্ন উপাদান রয়েছে
যেগুলো ব্যবহার করলে মুখের দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। যেমন লবঙ্গ,
দারচিনি, পুদিনা পাতা, লেবুর রস, টক দই, ব্রেকিং সোডা আরো অনেক উপাদান রয়েছে যার
ব্যবহার করলে মুখের দুর্গন্ধ কমে যায়। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মুখে দুর্গন্ধ
দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো কি কি।
লবঙ্গ ও দারচিনিঃ লবঙ্গে থাকার জীবন নাশক উপাদান মুখের ব্যাকটেরিয়া
দূর করতে সাহায্য করে। যা মুখের দুর্গন্ধের অন্যতম কারণ। লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবালে
মুখের দুর্গন্ধ কমে। আপনি প্রতিদি এক থেকে দুইটি লবঙ্গ মুখে
নিয়ে চিবালে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে। এছাড়াও দারচিনিতে উপস্থিত
অ্যান্টিসেপটিক উপাদান মুখের জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম। এক কাপ পানিতে এক চামচ
দারচিনি গুড়ো ফুটিয়ে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া কুলি করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর
হয়।
আরো পড়ূনঃ বারোমাসি সবজির তালিকা
লেবুর রস ও পুদিনা পাতাঃ লেবুর মধ্যে আন্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টি
ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে যেটা কিনা মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়ক। এক
গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে কুলি করলে মুখের
দুর্গন্ধ দূর হয়। এছাড়াও পুদিনা পাতায় থাকা মেনথল মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
এবং মুখ কে সতেজ রাখে। কিংবা পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলে অথবা রস পান করলে ভালো ফল
পাওয়া যায়।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রের নাম
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রের নাম না জেনে সরাসরি আপনার নিকটস্থ কোন ঔষধের
দোকানে গেলে পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্প্রে পাওয়া যায় যেগুলো স্পেস
ফলে মুখ থেকে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়। এটি আপনি আপনার সাথে সব সময় ক্যারি
করতে পারবেন। আপনার পকেটে বা আপনার ব্যাগের ভেতর রেখে যেকোনো সময় ব্যবহার করতে
পারবেন। এর জন্য আপনি আপনার নিকটস্থ কোনো ফার্মেসিতে গিয়ে মাউথ ফ্রেশনার অথবা
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার স্প্রে বললে ই দিয়ে দেবে।
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার খাবার
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার খাবার গুলোর মধ্যে আমাদের সুপরিচিত অনেক খাবার রয়েছে।
তার মধ্যে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো মুখের দুর্গন্ধ এড়াতে ব্যাপকভাবে কার্যকারী
খাবার। আবার মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট পাওয়া যায়। তবে কেউ যদি মনে করেন
কোন ধরনের অর্থ খরচ না করে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে মুখের দুর্গন্ধ দূর করবেন তাহলে
এই খাবারগুলো খেতে পারেন।
- আপেলঃ আপেলের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার মুখে লালা নিঃসরণ বাড়ায় এবং মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি মুখের ভেতরের জমে থাকা খাওয়ার কোন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আর আপেলের গন্ধ সুন্দর এজন্য মুখ থেকে গন্ধ দূর হয়ে যায।
-
শসাঃ শসা খাওয়া মুখের লারা নিঃসরণ বাড়ায় মুখের শুষ্কতা কমায়। এবং
ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
-
কমলাঃ কমলায় থাকা সাইট্রিক এসিড যেটি মুখে লাগা নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। এবং
কমলা থেকে সুন্দর সুঘ্রাণ পাওয়া যায় ফলের মুখের দুর্গন্ধ তা দূর হয়।
-
জলপাই তেলঃ জলপাই তেল মুখের ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক
এবং মুখের ভেতরে একটি প্রাকৃতিক শুষ্কতা দূর করার প্রভাব ফেলে। যার কারণে
দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে।
- গ্রিন টি ।
- গাজর ।
- ধনেপাতা ।
পেয়ারা মুখের দুর্গন্ধ দূর করে
পেয়ারা মুখে দুর্গন্ধ দূর করে মুখে সতেজ রাখে। এর মূল কারণ হচ্ছে পেয়ারায়
বিদ্যমান বিশেষ কিছু উপাদান যা মুখের স্বাস্থ্য উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।
পেয়ারায় থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের মধ্যে থাকা ক্ষতিকর
ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। মুখের দুর্গন্ধ সাধারণত মুখে থাকা
ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। যেটা খাদ্য কনা ভেঙে সালফার যৌগ তৈরি করে।
পেয়ারা এই ব্যাকটেরিয়া গুলো বৃদ্ধিতে দমন করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য
করে।
এছাড়াও পেয়ারা হল একটি আঁশযুক্ত ফল, যেটি মুখের ভিতরের খাদ্য কোন জমাট বাধা ও
প্লাঙ্ক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। মুখের ভেতরে জমে থাকা প্লাঙ্ক এবং
খাদ্য কণা ব্যাকটেরিয়ার জন্য প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে। যা থেকে দুর্গন্ধ
সৃষ্টি হয়। পেয়ারা চিবানোর মাধ্যমে দাঁত ও মাড়ি পরিষ্কার থাকে এর ফলে মুখ থেকে
দুর্গন্ধ বের হয় না।
লেখকের মন্তব্যে মুখের দুর্গন্ধ দূর করার টুথপেস্ট
আশা করি আপনি এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আর্টিকেলটিতে বিভিন্ন
খাবার এবং বিভিন্ন ঔষধের নাম দেওয়া রয়েছে। অনেক গবেষণা এবং বিচার বিশ্লেষণ করে
আপনাদের সামনে এই পোস্টটি নিয়ে এসেছি তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ
সেবন করবেন। এবং আপনার কাছে যেই উপায়টি ভালো মনে হবে সে উপায়টি আপনি ব্যবহার
করতে পারেন।
আমাদের এই পোস্টে আপনার কেমন লেগেছে সেটা আমাদের কমেন্টে জানাবেন। এবং আপনার
বন্ধুদের মধ্যে যদি কারো এই সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে তার কাছে এই পোস্টটি
শেয়ার করবেন। এবং যেকোনো ধরনের সমস্যায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
SHAMSA2Z নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url